রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট-এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ১০ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেল।

রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।

আরো পড়ুন:

রাকসুর ভোট গণনায় সর্বোচ্চ ১৫ ঘণ্টা সময় লাগবে: রাবি উপাচার্য

নবীনবরণ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা অভিযান রাকসু প্রার্থীর

ইশতেহারগুলোর মধ্যে রয়েছে—১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পাকবাহিনীর গুলিতে ড.

শামসুজ্জোহা স্যারের শহীদ হওয়ার দিনটিকে ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে একাডেমিক উৎকর্ষ নিশ্চিতকরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্ত জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরি, ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সেবা উন্নয়ন, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।

বাকিগুলো হলো- ক্যাম্পাসের চিকিৎসা কেন্দ্র আধুনিকায়ন, নারী শিক্ষার্থী এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ, ক্যাম্পাসে সব শিক্ষার্থীদের সামাজিক সহাবস্থান এবং মুক্ত সাংস্কৃতিক চর্চার পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, আবাসন সংকট নিরসন, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করা, দূরবর্তী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাবি রেলস্টেশন সচল করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ডিসকাউন্ট টিকিটের ব্যবস্থা করা, ক্যাম্পাস বাসের রুট এবং ট্রিপ সংখ্যা বৃদ্ধি করা।

ইশতেহার ঘোষণা শেষে ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী শেখ নূর-উদ্দীন আবির বলেন, “আমাদের ইশতেহার ঘোষণা করতে একটু বিলম্ব হয়েছে। কারণ আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে, তাদের মতামত নিয়ে ইশতেহারগুলো সাজিয়েছি। আমরা যে ইশতেহারগুলো দিয়েছি, তা কোনোটাই অসম্ভব নয়। শিক্ষার্থীরা যদি আমাদের সঙ্গে থাকেন এবং প্রশাসনের সঙ্গে যদি আমরা সমন্বয় করতে পারি তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলো বাস্তবায়ন করতে পারব।”

রাকসু নির্বাচনে ২৩টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ এবং এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন। ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিতসহ মোট ১২টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও, সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের পাঁচটি পদে ৫৮ জন প্রার্থী ও হল সংসদ নির্বাচনে ১৫টি পদে মোট ১৭টি হলে ৫৯৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

রাকসু ও সিনেট নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ এবং পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। পূনর্বিন্যস্ত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। গণনা শেষে সেদিনই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন শ চ তকরণ

এছাড়াও পড়ুন:

হংকংয়ে আবাসিক ভবনে আগুনে মৃত্যু বেড়ে ৪৪, নিখোঁজ ২৭৯ 

হংকংয়ের উত্তরাঞ্চলীয় তাই পো এলাকায় আবাসিক ভবনে ছড়িয়ে পড়া অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২৭৯ জন। 

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিবিসির লাইভ রিপোর্টে বলা হয়, আগুন ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছে। ৮০০ জনেরও বেশি অগ্নিনির্বাপক কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। 

আরো পড়ুন:

কড়াইল অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা নিশ্চিতের আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার

করাইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড: ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি

বুধবার হংকংয়ের উত্তরাঞ্চলীয় তাই পো জেলার ওয়াং ফুক কোর্টে আগুনের সূত্রপাত। এটি আটটি ব্লক নিয়ে গঠিত দুই হাজার ইউনিটের একটি আবাসিক কমপ্লেক্স। স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় দমকল  বিভাগ। 

আগুন নেভাতে গিয়ে ৩৭ বছর বয়সী এক অগ্নিনির্বাপক কর্মী মারা গেছেন।  সরকার তাকে ‘নিষ্ঠাবান ও সাহসী’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। 

বিল্ডিংগুলোর ভেতর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া আত্মীয়দের খোঁজে সহায়তা চেয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছেন বাসিন্দারা। 

বিবিসিতে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা কালো হয়ে যাওয়া টাওয়ারগুলোতে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। দমকল সদস্যরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে আগুনের তীব্রতা কমাতে কাজ করে যাচ্ছেন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৩টি স্কুল আজ ক্লাস স্থগিত করেছে। 

এদিকে, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ‘হত্যার’ অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুজন একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও একজন প্রকৌশল পরামর্শক।

পুলিশের মুখপাত্র বলেন, “আমাদের বিশ্বাস, কোম্পানির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা গুরুতর অবহেলার পরিচয় দিয়েছেন। তাদের অবহেলাই এই দুর্ঘটনার কারণ এবং আগুন অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে।”

ঢাকা/ইভা   

সম্পর্কিত নিবন্ধ