ডিনস্টন সিমেট্রির স্মৃতি ও ‘টম্বস ইন টি’ বইয়ের সঙ্গে আমার সংযোগ
Published: 12th, October 2025 GMT
ইতিহাসের প্রতি আমার টান ছোটবেলা থেকেই। যদিও পড়াশোনা ছিল বিজ্ঞান বিষয়ে, তবু মানুষের জীবন, শ্রম আর স্মৃতির বৃত্তে বাঁধা ইতিহাসই সব সময় আমাকে বেশি টেনেছে। বিশেষ করে চা-বাগান, তার প্রকৃতির সুষমা, পরিশ্রমী মানুষ আর নীরবে গড়ে ওঠা ঐতিহ্য আমার চিন্তায় আজও গেঁথে আছে।
ডিনস্টন সিমেট্রির স্মৃতি১৯৭৫ সাল। আমি তখন ডিনস্টন চা-বাগানের খেজুরিছড়ায় ‘ছোট সাহেব’ হিসেবে কর্মরত। এটি ছিল একটি সেন্টার গার্ডেন যেখানে অবস্থিত ব্রিটিশ প্ল্যান্টারদের এক বড় কবরস্থান, ‘ডিনস্টন সিমেট্রি’ নামে পরিচিত। আমার নিয়মিত কাজের পাশাপাশি এই কবরস্থানের রক্ষণাবেক্ষণ করাও ছিল আমার দায়িত্বের অংশ।
অবসর সময়ে প্রায়ই চলে যেতাম সেখানে। একা দাঁড়িয়ে পড়তাম টম্বস্টোনের ইংরেজিতে লেখা এপিটাফগুলো। ধীরে ধীরে অনেকগুলো মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। ভাবতাম, এই বিলাতি সাহেবরা কত দূরদেশ থেকে, স্কটল্যান্ড থেকে এসেছিলেন জীবিকার সন্ধানে। যেমন আজ আমরা বিদেশে যাই ভাগ্য অন্বেষণে, তেমনি তাঁরা এসেছিলেন অনিশ্চিত জীবনের পথে। তখন স্কটল্যান্ডে অর্থনৈতিক মন্দা, যুদ্ধোত্তর সংকট, আহত সৈনিকদের হতাশা, সব মিলিয়ে চা-বাগানই হয়ে উঠেছিল অনেকের শেষ ভরসা। কিন্তু এখানকার জীবন ছিল কঠিন; জঙ্গল, ম্যালেরিয়া, কলেরা আর অজানা রোগে ভরা। অনেকেই মারা গেছেন অল্প বয়সে; কেউ রোগে, কেউ দুর্ঘটনায়, কেউ বা সাপের কামড়ে। পরিণত বয়সে মৃত্যু তখন ছিল বিরল ঘটনা।
একা দাঁড়িয়ে পড়তাম টম্বস্টোনের ইংরেজিতে লেখা এপিটাফগুলো। ধীরে ধীরে অনেকগুলো মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। ভাবতাম, এই বিলাতি সাহেবরা কত দূরদেশ থেকে, স্কটল্যান্ড থেকে এসেছিলেন জীবিকার সন্ধানে। যেমন আজ আমরা বিদেশে যাই ভাগ্য অন্বেষণে, তেমনি তাঁরা এসেছিলেন অনিশ্চিত জীবনের পথে। ডিনস্টন সিমেট্রি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এস ছ ল ন
এছাড়াও পড়ুন:
আদমজী কবরস্থান কমপ্লেক্সের সাধারণ সম্পাদক মাহিল মাস্টার আর নেই
না ফেরার দেশে চলে গেলেন আদমজী হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক, সোনামিয়া বাজারের ব্যবসায়ী, আদমজী কবরস্থান কমপ্লেক্স মসজিদের সাধারণ সম্পাদক জনাব মাহিল উদ্দিন স্যার (মাহিল মাষ্টার)। শনিবার (২২ নভেম্বর) রাতে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি ৭নং ওয়ার্ডের কদমতলী উত্তপাড়া গ্যাস লাইন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় আদমজী এমডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
মরহুমের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিপুল সংখ্যক মানুষ জানাজায় অংশ নিয়েছেন।
এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, আদমজী কবরস্থান কমপ্লেক্স মসজিদের প্রধান উপদেষ্টা এম এ মাসউদ বাদল, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিল্লাল হোসেন রবিন, আদমজী কবরস্থান কমপ্লেক্স মসজিদের সভাপতি তানভীর কবির মুন্না, আদমজী এমডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক শাজাহান, তরুণ সমাজ সেবক এডভোকেট রাকিবুল ইসলাম সাগর, শামীম ঢালী প্রমুখ।
বক্তারা মরহুম মাহিল উদ্দিন মাস্টারের জীবনের অনেক সমাজসেবামূলক কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ ছিলেন। ছোট বড় সবার সাথে হাসিমুখে কুশল বিনিময় করতেন।
জানাজা শেষে মরহুম মাহিল উদ্দিন মাস্টারের মরদেহ আদমজী কবরস্থান কমপ্লেক্সে দাফন করা হয়।