রাস্তা অবরোধ করা ‘বন্ধ করতে’ চায় পুলিশ
Published: 15th, October 2025 GMT
জনদুর্ভোগ ঠেকাতে রাস্তা অবরোধ করা বন্ধ করতে চায় পুলিশ। পুলিশ মনে করছে, তারা রাস্তা অবরোধ এবং বিভিন্ন দাবিদাওয়ার আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া ব্যাহত হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গত রোববার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় দাবিদাওয়া আদায়ে রাস্তা বন্ধ করা প্রতিরোধের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে পরামর্শ আসে, দাবিদাওয়া যাতে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের কাছে উপস্থাপন করা হয়, সেই আহ্বান জানানো দরকার। বিষয়টি গত সোম ও মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আরও পড়ুনএবার শাহবাগ ‘ব্লকেড কর্মসূচি’ পালনের ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের১৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের অবরোধ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের ‘এরিয়া ৫১’ সম্পর্কে জানলে চমকে যাবেন
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে রয়েছে গোপন ও রহস্যময় স্থান ‘এরিয়া ৫১’ । এখানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর বিভিন্ন এয়ারক্রাফট ও ওয়েপন সিস্টেম নিয়েই পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো হয় এ জায়গাটিতে। শুরু থেকেই গোপনীয়তার দুর্ভেদ্য চাদরে মোড়ানো এরিয়া ৫১।
এরিয়া ৫১ সম্পর্কে কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না বলে- এ নিয়ে নানা রকম কন্সপিরেসি থিওরি তৈরি হয়েছে। এরিয়া ৫১ নিয়ে কন্সপিরেসি থিওরিগুলো আপনাকে চমকে দেবে।
আরো পড়ুন:
ভেনেজুয়েলার উপকূলে নৌকায় ফের মার্কিন হামলা, নিহত ৬
গাজা চুক্তির ‘দ্বিতীয় পর্যায়’ শুরুর ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প
কন্সপিরেসি থিওরি—এক
১৯৮৯ সালের কথা। বব লাজার নামের এক দাবী করে বসেন যে, তিনি কিছুদিনের জন্য ‘এরিয়া ৫১’ এর অংশ হিসেবে কাজ করেছিলেন। যার নাম এস-৪।এটি এমন একটি জায়গা যেখানে কর্মীদের এমন বাসে করে নেওয়া হয়েছিলো, যাতে বাইরের কোনো দৃশ্য না দেখা যায়, এবং কর্মীরা যাতে যাতায়াতের রাস্তা মনে রাখতে না পারে।
লাজারের মন্তব্য মানুষকে চমকে দিয়েছিলো। কারণ তিনি বর্ণনা করেছিলেন, সেখানে এমন সব ফ্লাইং সসার দেখেছেন যেগুলো কোনোভাবেই পৃথিবীতে তৈরি হতে পারে না। লাজার একবার বন্ধুদের নিয়ে সেসব সসারের টেস্ট ফ্লাইট দেখতে গিয়ে ধরা পড়ে যান। এরপরই তার চাকরি চলে যায়।
কন্সপিরেসি থিওরি—দুই
ভিনগ্রহের প্রাণীদের নাকি জেলখানার আসামীর মতোই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এরিয়া-৫১ এ! এমনটাই দাবি করেছেন ঐ ইউএফও তত্ত্বের প্রবক্তা বব লাজার। তিনি একবার দেখতে পেয়েছিলেন, ছোট, ধূসর বর্ণের একটি প্রাণীকে সাদা কোট পরিহিত দুজন মানুষের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে।
কন্সপিরেসি থিওরি—তিন
১৯৯৭ সালে ভিক্টর নামের এক ব্যক্তি দাবি করেন—তিনি এরিয়া ৫১ এ চাকরি করেন। তিনিও এলিয়েনদের জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারটি দেখেছেন। শুধু তাই না, একটি ঝাপসা ভিডিও করেছিলেন। যেখানে দেখা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর হাতে গুলি খাওয়া এক বহির্জাগতিক পাইলটের সাথে টেলিপ্যাথির মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছেন— এরিয়া ৫১ এর একজন অফিসার।
কন্সপিরেসি থিওরি—চার
নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করে সতের মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিলো। যেখানে দেখা যায় বায়ো-হ্যাজার্ড প্রোটেকশন স্যুট পরিহিত একদল মানুষ ছোটখাট একটি এলিয়েনের শরীরে নিয়ে গবেষণা করছেন। তবে ভিডিওটি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন।
কন্সপিরেসি থিওরি—পাঁচ
কোনো কোনো কন্সপিরেসি থিওরিস্ট মনে করেন, এরিয়া ৫১ এর মাটির নিচে ৪০ তলা ভবনের সমান উঁচু বিশাল বাঙ্কার গড়ে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। অত্যাধুনিক বিমানগুলো লুকিয়ে রাখা আছে ব্যাঙ্কারে, যাতে স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও সেগুলোর কোনো হদিস কেউ না পায়।
কন্সপিরেসি থিওরি—ছয়
একটি আশ্চর্য হবার মতো থিওরি হলো এরিয়া ৫১ এ আসলে একসাথে কাজ করছে আমেরিকান সরকার এবং ভিনগ্রহের প্রাণীরা। তাদের ধারণানুযায়ী, সেখানে দুই পক্ষের মিলিত প্রচেষ্টায় মানুষ ও এলিয়েনের এমন সংকর প্রজাতি বানাতে কাজ চলছে যাদের দেখলে মনে হবে তারা মানুষ। কিন্তু শারীরিক ও মানসিকভাবে তারা হবে সেই এলিয়েনদের মতোই! তারাই নাকি ভবিষ্যতের পৃথিবীতে নেতৃত্ব দিবে।
কন্সপিরেসি থিওরি—সাত
‘ম্যাজেস্টিক ১২’ নামে সুপরিচিত একটি টার্ম আছে, যা দিয়ে আমেরিকার একটি গোপন দলকে বোঝায়। বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত সেই দলটি নাকি গত ছয় দশক ধরে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা করার জন্য যাতে আমাদের এই ধরণীটি একইসাথে মানুষ এবং অভিজাত এলিয়েনরা পরিচালনা করতে পারবে! ম্যাজেস্টিক ১২ নাকি ইতোমধ্যেই এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছে। ১৯৪৭ সালে সূত্রপাত হওয়া এ প্রজেক্টের মাধ্যমে এলিয়েনদের বিভিন্ন প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের হাতে এসেছে বলে দাবি কনস্পিরেসি থিওরিস্টদের। এর বিনিময়ে এলিয়েনরা পেয়েছিলো বিভিন্ন পশুপাখি, এমনকি মানুষের উপর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালানোর অধিকার!
সময় পরিভ্রমণ ও টেলিপোর্টেশনের মতো মানব কল্পনার এ বিষয় নিয়ে এরিয়া ৫১ এ কাজ চলছে বলে মনে করেন অনেকে। এরিয়া ৫১ সত্যিকার অর্থেই এসব কাজ করছে নাকি করছে না, সেই সঠিক উত্তরটা কী আদৌ পাওয়া সম্ভব?
সূত্র: নিউজ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, উইকিপিডিয়া ও রোর বাংলা অবলম্বণে
ঢাকা/লিপি