জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাকুরা সায়েন্স প্রোগ্রাম অব জাপান সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এজেন্সিতে (জেএসটি) ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে যাচ্ছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) একজন শিক্ষক ও সাতজন শিক্ষার্থী।

সাতদিনের এ নলেজ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.

শেখ রাসেল আল আহম্মেদ। আট সদস্যের এই দলটি আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক এবং ল্যাবগুলোতে বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন। দেশে এসে তারা সেই অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগাবেন।

আরো পড়ুন:

সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জাবিতে শোক

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৬৬ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

পাবিপ্রবি থেকে শিক্ষার্থীসহ এমন একটি গবেষক দল প্রথমবারের মতো বিদেশের কোনো বিশ্বদ্যিালয়ে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে দুই প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়ালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসানসহ সব অনুষদের ডিনগণ উপস্থিত ছিলেন।

পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধায়ন করছেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান। তিনি বলেন, “এই প্রথম আমরা এই গবেষক দলটি পাঠাচ্ছি জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রম থেকে জ্ঞান আহরণের জন্য। এর মাধ্যমে আমরা গবেষণায় সমৃদ্ধ হতে পারবো। সাতজন শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষক নিয়ে এটি এক সপ্তাহের প্রোগ্রাম।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়টির তিন সপ্তাহের প্রোগ্রামও আছে; পরবর্তীতে সেটাও আমরা চেষ্টা করবো। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে। ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি কার্যকর সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করার প্রত্যাশা করছি। চুক্তি হলে প্রতি বছর পাবিপ্রবি থেকে অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী মাস্টার্স ও পিএইচডিতে গবেষণার সুযোগ পাবেন।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল-আওয়াল বলেন, “আমাদের প্রধানত তৈরি পোশাক ও জনশক্তি রপ্তানি করি। এআই ও মেশিন লার্নিং শেখার মাধ্যমে আমরা কৃষি পণ্য রপ্তানি করতে পারব। স্বাধীনতার পর থেকেই জাপান আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। তাদের প্রযুক্তি বিশ্বের সেরা।”

তিনি বলেন, “তাদের এই নলেজ শেয়ারিং তোমরা ক্যারিয়ার গঠনে কাজে লাগাতে পারবে। তোমাদের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছাবে। আমরা এখানে যোগদানের পর থেকেই গবেষণায় অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি এবং পাবিপ্রবি গবেষণায় ভালো করছে।”

ঢাকা/শাহীন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ব প রব

এছাড়াও পড়ুন:

হবিগঞ্জে জামায়াত নেতা মহিবুর হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু ও ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

হবিগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মহিবুর রহমান চৌধুরী (৩৮) হত্যার এক যুগ পর আজ মঙ্গলবার একজনের আমৃত্যু ও ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (প্রথম আদালত) বিচারক সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার ইউসূফ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে মামলার প্রধান আসামি শফিকুল আলম চৌধুরীকে (৫৭) আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি হবিগঞ্জ শহরের পুরান মুন্সেফী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন শহিদুল আলম আকিক, জাহাঙ্গীর আলম, শেবুল মিয়া, রুবেল মিয়া, শামিম আহমেদ, আবদুল মুকিত, আলমগীর মিয়া, শামছুল হুদা, মকছুদ ওরফে ছাও মিয়া, তারা মিয়া, রতিশ দাস, ছায়েদ মিয়া ও নাহিদ মিয়া। তাঁরা বানিয়াচং উপজেলার বাসিন্দা। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শফিকুল আলম ও শহিদুল আলম নিহতের চাচাতো ভাই।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মকা গ্রামের বাসিন্দা মহিবুর রহমান চৌধুরী পরিবার নিয়ে হবিগঞ্জ শহরের শ্যামলী এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি জামায়াতের হবিগঞ্জ পৌর শাখার ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। গ্রামের একটি জলাশয় নিয়ে চাচাতো ভাই শফিকুল আলম চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। তাঁদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। ২০১৩ সালের ১৭ জুন রাত সাড়ে আটটার দিকে হবিগঞ্জ শহরের পুরান মুন্সেফী আবাসিক এলাকার বড় পুকুরপাড়ে মহিবুর রহমানকে একা পেয়ে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মুজিবুর রহমান চৌধুরী পরদিন হবিগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার এক যুগ পর আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে এ রায় দিয়েছেন আদালত। আসামিদের উপস্থিতিতে ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।

মামলায় জুয়েল মিয়া ও বুলবুল মিয়া নামের দুজনকে খালাস দেওয়া হয়। এ ছাড়া মামলা চলামান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় আসামি আকবর হোসেন, শাহজাহান ও আবদুল কাইয়ুমকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গুলজার খান বলেন, মহিবুর রহমান চৌধুরীর হত্যাকাণ্ডের রায়ে তিনি সন্তুষ্ট। তবে নিহতের ছোট ভাই মাহফুজ চৌধুরী অভিযোগ করেন, এ রায়ে তাঁদের পরিবার সন্তুষ্ট না। তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুসলিম জীবনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ৯ উপায়
  • ১৭ ঘণ্টার মধ্যেই রাকসুর ফল প্রকাশ: প্রধান নির্বাচন কমিশনার
  • দেশে প্রথম পুনর্ব্যবহারযোগ্য ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড এনেছে মেঘনা ব্যাংক
  • গুগল ম্যাপে দেখানো পথে হাঁটতে গিয়ে পড়লেন খালে
  • অ্যানথ্রাক্স ঝুঁকি: ঝালকাঠিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই চলছে পশু জব
  • ‘৯৫ শতাংশ পুরুষ দ্বিতীয় বিয়ে করতে চান’
  • শ্রীনগরে চার যুবকের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণের ভিডিও ভাইরাল
  • আলীকদম সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে মিয়ানমারের নাগরিক নিহত
  • হবিগঞ্জে জামায়াত নেতা মহিবুর হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু ও ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড