এইচএসসিতে সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ
Published: 16th, October 2025 GMT
সিলেট বোর্ডে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে ধস নেমেছে। এ বছর সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬০২ জন। যা বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল।
গত বছর সিলেট বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬,৬৯৮ জন।
এ বছর সিলেট বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ৬৯ হাজার ১৭২ জন। তার মধ্যে পাস করেছে ৩৫ হাজার ৮৭১ জন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এইচএসসির ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর শতভাগ পাস করেছে তিনটি প্রতিষ্ঠান। এর আগের বছর শতভাগ পাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল আটটটি। এবার একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা চারটি। এটি বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম।
ফলাফল ধসের কারণ হিসেবে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো.
ঢাকা/নূর/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘এবার এইচএসসির ফলে বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে’
২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার এবং গ্রেড অর্জনে বড় ধরনের পতন দেখা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেছেন, এবারের ফল খারাপ নয়, বরং এটি বাস্তবতার প্রতিফলন। আমরা ফল বানাইনি, বাস্তব চিত্রটাই সামনে এসেছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন অনেকটাই পড়ার টেবিল থেকে দূরে সরে গেছে, যার প্রতিফলন ফলাফলে দেখা গেছে। অভিভাবকদেরও বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।
আরো পড়ুন:
দিনাজপুরের ৪৩ কলেজের সবাই ফেল
চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ কমে অর্ধেক
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর বকশিবাজারে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
ইংরেজি ও আইসিটিতে সবচেয়ে বেশি ফেল
বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। ইংরেজিতে পাসের হার যেখানে আগে ছিল ৭৭ শতাংশ, তা এবার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৮ শতাংশে। এটি গত দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন।
খন্দোকার এহসানুল কবির বলেছেন, ইংরেজিতে এমসিকিউ (বহুনির্বাচনি প্রশ্ন) বাদ পড়ায় পরীক্ষাটি তুলনামূলক কঠিন হয়ে উঠেছে। যেহেতু, ইংরেজি একটি বিদেশি ভাষা, তাই এতে শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা থাকাটাই স্বাভাবিক।
সহানুভূতির নির্দেশনা ছিল না
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা শুনেছি, অতীতে পরীক্ষকদের নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা ‘সহানুভূতিমূলক নির্দেশনা’ থাকত। এবার এমন কোনো নির্দেশনা ছিল না।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বোর্ড থেকে পরীক্ষকদের কোনো চাপ বা ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। ফলাফলে সঠিক মূল্যায়ন হয়েছে বলেই বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে।
ঢাকা/এএএম/রফিক