২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এবার মাত্র ৩৪৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থী পাস করেছে, যেখানে গত বছর (২০২৪) ছিল ১ হাজার ৩৮৮টি। এক বছরের ব্যবধানে ১ হাজার ৪৩টি কম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের তালিকায় এসেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের সব শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফলাফল প্রকাশ করে। প্রকাশিত ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সারাদেশে ২,৮০০টি কেন্দ্রে ৯,৩০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেন। 

এর মধ্যে ২০২টি প্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি, যা শিক্ষার মান ও প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

এ বছর মোট ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬ জন। আর ছাত্র ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৪ জন। ছাত্রীদের গড় পাসের হার ৬২.

৯৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৫৪.৬০ শতাংশ।

এবারের এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৮.৬৭ শতাংশ, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৫৫.৫২ শতাংশ ও মানবিক বিভাগে ৫০.৫৪ শতাংশ। 

এদিকে, ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd-এর মাধ্যমে ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ য় প স কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘এবার এইচএসসির ফলে বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে’ 

২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার এবং গ্রেড অর্জনে বড় ধরনের পতন দেখা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেছেন, এবারের ফল খারাপ নয়, বরং এটি বাস্তবতার প্রতিফলন। আমরা ফল বানাইনি, বাস্তব চিত্রটাই সামনে এসেছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন অনেকটাই পড়ার টেবিল থেকে দূরে সরে গেছে, যার প্রতিফলন ফলাফলে দেখা গেছে। অভিভাবকদেরও বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।

আরো পড়ুন:

দিনাজপুরের ৪৩ কলেজের সবাই ফেল

চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ কমে অর্ধেক

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর বকশিবাজারে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।

ইংরেজি ও আইসিটিতে সবচেয়ে বেশি ফেল
বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। ইংরেজিতে পাসের হার যেখানে আগে ছিল ৭৭ শতাংশ, তা এবার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৮ শতাংশে। এটি গত দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন।

খন্দোকার এহসানুল কবির বলেছেন, ইংরেজিতে এমসিকিউ (বহুনির্বাচনি প্রশ্ন) বাদ পড়ায় পরীক্ষাটি তুলনামূলক কঠিন হয়ে উঠেছে। যেহেতু, ইংরেজি একটি বিদেশি ভাষা, তাই এতে শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা থাকাটাই স্বাভাবিক।

সহানুভূতির নির্দেশনা ছিল না
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা শুনেছি, অতীতে পরীক্ষকদের নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা ‘সহানুভূতিমূলক নির্দেশনা’ থাকত। এবার এমন কোনো নির্দেশনা ছিল না।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, বোর্ড থেকে পরীক্ষকদের কোনো চাপ বা ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। ফলাফলে সঠিক মূল্যায়ন হয়েছে বলেই বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে।

ঢাকা/এএএম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভিকারুননিসায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে
  • রাজশাহীতে পাসের হার ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ 
  • এইচএসসিতে সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ
  • সিলেট বোর্ডে ১৯ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পাসের হার, কমেছে জিপিএ-৫
  • এইচএসসিতে শতভাগ জিপিএ-৫ পেল মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ
  • ২১ বছরে এইচএসসিতে সর্বনিম্ন পাস: শিক্ষায় ‘গলদ’ না অন্য কিছু
  • ফল খারাপের কারণ পর্যালোচনা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
  • এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ, দেখুন ছবিতে
  • ‘এবার এইচএসসির ফলে বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে’