রাজশাহীতে পাসের হার ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ
Published: 16th, October 2025 GMT
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ১৩৭ জন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে চেয়ারম্যান প্রফেসর আ.ন.ম মোফাখখারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, “গত বছর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ২৪ হাজার ৯০২ জন। অর্থাৎ এ বছর জিপিএ-৫ কমেছে ১৪ হাজার ৭৬৫ জন।”
তিনি বলেন, “এবছর জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ৫ হাজার ৬৮২ জন ছাত্রী ও ৪ হাজার ৪৫৫ জন ছাত্র। আর ছাত্র পাসের হার ৫০ দশমিক ৬৯ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ৬৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। অর্থাৎ জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ও পাসের হারে এ বছরও এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা।”
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমার কাছে বিগত ৫-৭ বছরের ফলাফল আছে। এবারের ফল সর্বনিম্ন। আরো বেশি সময়ের মধ্যেও এটি সর্বনিম্ন ফল হতে পারে। এর প্রধান কারণ এখনকার শিক্ষার্থীরা বইমুখী না। বিশেষ করে ছেলেদের অবস্থা খুব খারাপ। মানবিক বিভাগে তাদের পাশের হার মাত্র ৪১ শতাংশ। ছেলে-মেয়ে উভয়েই বইমুখী হলে এত খারাপ রেজাল্ট হতো না।”
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের আওতায় বিভাগের আট জেলায় ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৭৭ হাজার ৭৪২ জন শিক্ষার্থী পাস করেছেন। এবার শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ১৮টি কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। আর ৩৫টি কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে মোট ৭৫০টি কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০৭টি পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল বলেও জানান বোর্ড চেয়ারম্যান।
ঢাকা/কেয়া/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
‘এবার এইচএসসির ফলে বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে’
২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার এবং গ্রেড অর্জনে বড় ধরনের পতন দেখা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেছেন, এবারের ফল খারাপ নয়, বরং এটি বাস্তবতার প্রতিফলন। আমরা ফল বানাইনি, বাস্তব চিত্রটাই সামনে এসেছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন অনেকটাই পড়ার টেবিল থেকে দূরে সরে গেছে, যার প্রতিফলন ফলাফলে দেখা গেছে। অভিভাবকদেরও বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।
আরো পড়ুন:
দিনাজপুরের ৪৩ কলেজের সবাই ফেল
চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ কমে অর্ধেক
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর বকশিবাজারে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
ইংরেজি ও আইসিটিতে সবচেয়ে বেশি ফেল
বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। ইংরেজিতে পাসের হার যেখানে আগে ছিল ৭৭ শতাংশ, তা এবার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৮ শতাংশে। এটি গত দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন।
খন্দোকার এহসানুল কবির বলেছেন, ইংরেজিতে এমসিকিউ (বহুনির্বাচনি প্রশ্ন) বাদ পড়ায় পরীক্ষাটি তুলনামূলক কঠিন হয়ে উঠেছে। যেহেতু, ইংরেজি একটি বিদেশি ভাষা, তাই এতে শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা থাকাটাই স্বাভাবিক।
সহানুভূতির নির্দেশনা ছিল না
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা শুনেছি, অতীতে পরীক্ষকদের নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা ‘সহানুভূতিমূলক নির্দেশনা’ থাকত। এবার এমন কোনো নির্দেশনা ছিল না।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বোর্ড থেকে পরীক্ষকদের কোনো চাপ বা ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। ফলাফলে সঠিক মূল্যায়ন হয়েছে বলেই বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে।
ঢাকা/এএএম/রফিক