ভিকারুননিসায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে
Published: 16th, October 2025 GMT
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছেন ২ হাজার ৪৩৪ শিক্ষার্থী। এখান থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ২ হাজার ৪৯৫ শিক্ষার্থী। অকৃতকার্য হয়েছেন ৬১ জন। এতে পাশের হার ৯৭ দশমিক ৫৬। গত বছর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাসের হার ছিল ৯৯ দশমিক শূন্য ৬। এ বছর জিপিএ–৫ পেয়েছেন মোট ৯৮৬ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১৭৩৭ জন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দেশের সব শিক্ষা বোর্ড থেকে একযোগে প্রকাশ করা হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বোর্ডের ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারছেন। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সকালেই শিক্ষার্থীদের ফলাফল টাঙিয়ে দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে যে ফলাফল হয়েছে, এতে মেধার মূল্যায়ন ঘটেছে। সরকার চেয়েছে শিক্ষার্থীদের মেধার মূল্যায়ন হোক। অধ্যক্ষ এ সময় জানান, এ বছর এই প্রতিষ্ঠানের তিন বিভাগ থেকে মোট এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ২ হাজার ৫১৪ জন। এরমধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ১৯ জন। অকৃতকার্য হয়েছেন ৬১ জন। এ বছর জিপিএ-৫ এর হার ৩৯ দশমিক ৫২। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ‘স্কুল ওরিয়েন্টেড’। ফলে এখানকার সব শিক্ষার্থী লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে ভর্তি হন। ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে শুধু বাছাই করা শিক্ষার্থীই এখানে পড়েন না।
আরও পড়ুন২১ বছরে এইচএসসিতে সর্বনিম্ন পাস: শিক্ষায় ‘গলদ’ না অন্য কিছু১ ঘণ্টা আগেভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ১ হাজার ৮৫৮ জন। জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৭৯৭ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৩২২ জন। জিপিএ–৫ পেয়েছেন ১০৫ জন। মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থী ছিল ৩১৫ জন। জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৮৪ জন।
বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফলাফল জানতে উপস্থিত হযেছিলেন কয়েক শ শিক্ষার্থী আর তাঁদের অভিভাবকেরা। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সামিয়া সুলতানা জিপিএ–৫ পেয়েছেন। গণমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন তিনি। এই শিক্ষার্থীর বাবা রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার মেয়ের এসএসসির রেজাল্টও এমনই ছিল। ওর সবচেয়ে বড় কোয়ালিটি সে প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করে। যত রাত হোক, সে পড়া পরের দিনের জন্য ফেলে রাখে না।’
ফল প্রকাশের পর দলগত সেলফি। ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে, ঢাকা, ১৬ অক্টোবর.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ন স ক ল অ য ন ড কল জ ভ ক র নন স পর ক ষ র এ বছর ফল ফল
এছাড়াও পড়ুন:
মানবিক থেকে পড়েও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, শাহীন আক্তারের গল্প যেন অনুপ্রেরণার
সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত গ্রামে শৈশব কাটানো শাহীন প্রথম কম্পিউটারে হাতেখড়ি ২০০৫ সালে, স্কুলে সরকারের দেওয়া কম্পিউটারে গেম খেলার মাধ্যমে। সেই সময় থেকেই মনে জন্ম নেয় এক স্বপ্ন—একদিন কম্পিউটার নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবেন। তবে প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলে পড়ার কারণে তিনি জানতেন না, কম্পিউটার বিষয়ে পড়তে হলে এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে থাকতে হয়। ফলে তিনি মানবিক বিভাগ থেকেই এসএসসি ও এইচএসসি সম্পন্ন করেন এবং কম্পিউটার বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ না থাকার কারণে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তবু প্রযুক্তির প্রতি তাঁর আগ্রহ ও আকর্ষণ কখনই কমেনি।
একদিন হঠাৎ ফেসবুকে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-বাংলাদেশ ইসলামিক সলিডারিটি এডুকেশন ওয়াক্ফ (আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ) আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানতে পারেন। এরপর আবেদন করেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে রাউন্ড ৪২-এ ‘এন্টারপ্রাইজ সিস্টেমস অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিজাইন-সি#.নেট (Enterprise Systems Analysis & Design-C#) কোর্সে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন। ১৪ মাসের কোর্স শেষে প্রোগ্রামের প্লেসমেন্ট সেলের সহায়তায় একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে নেক্সটেল কমিউনিকেশনে পেশাগত জীবন শুরু করেন। এখানে চাকরিরত থেকে ইউনির্ভাসিটি অব সাউথ এশিয়া থেকে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। নিজের দক্ষতাকে আরও উচ্চতায় নেওয়ার জন্য তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাপ্লাইড পরিসংখ্যান অ্যান্ড ডেটা সায়েন্স বিষয়ে আরও একটি মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি স্বাধীন মিউজিক লিমিটেড নামের একিট প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন।
তরুণদের শাহীন আক্তার বলেন, প্রতিদিন একটু একটু করে শেখার চেষ্টা করুন। সুযোগ কখন, কোথা থেকে আসবে, কেউ জানেন না; কিন্তু প্রস্তুত থাকলে সেটিই আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই শাহীন আক্তার একজন প্রতিভাবান সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং একটি প্রতিযোগিতামূলক বেতনে স্বাধীন মিউজিক লিমিটেডে কাজ শুরু করেন। তবে উদ্যোক্তা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা সব সময়ই তাঁর মধ্যে ছিল।
নিজ অফিসে কাজ করছেন শাহীন আক্তার