অপারেশন কিলোফ্লাইটের ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীর উত্তম আর নেই
Published: 16th, October 2025 GMT
মুক্তিযুদ্ধের অপারেশন কিলোফ্লাইটের অন্যতম বৈমানিক ক্যাপ্টেন (অব.) সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীর উত্তম মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
ক্যাপ্টেন (অব.) সাহাবউদ্দিনের বন্ধু ক্যাপ্টেন (অব.) আলমগীর সাত্তার বীর প্রতীক প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
আলমগীর সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে ঘুমের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সকালে বিছানা না ছাড়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ডাকতে যান। কিন্তু তাঁকে নিথর অবস্থায় পাওয়া যায়। তখন চিকিৎসককে ডাকা হয়। সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসক এসে জানান যে তিনি মারা গেছেন।
আজ বাদ জোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে সাহাবউদ্দিন আহমেদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বলে জানান আলমগীর সাত্তার। তিনি জানান, এরপর বিকেল পৌনে ৫টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বাশারে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা ও রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়। এরপর তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ফরিদপুরে। এই শহরের চরকমলাপুরে সাহাবউদ্দিন আহমেদের জন্ম।
সাহাবউদ্দিন আহমেদের ছেলে তাপস আহমেদ বাংলাদেশ বিমানের ৭৮৭ উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেন। মেয়ে শিপ্রা আহমেদ একটি বেসরকারি ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলে জানান আলমগীর সাত্তার।
১৯৭১ সাল পর্যন্ত সাহাবউদ্দিন আহমেদ পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসে (পিআইএ) বৈমানিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পর্যায়ে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার পর তিনি স্থলযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। হবিগঞ্জের শাহজিবাজারের টারবাইন বিদ্যুৎকেন্দ্র বিস্ফোরণের অপারেশনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বেসামরিক পাইলট হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি।
অপারেশন কিলোফ্লাইটের মোট ৮৫টি অপারেশনের মধ্যে ১২টি অপারেশনে ছিলেন ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ। তিনি প্রথম হামলায় অংশ নেন ৬ ডিসেম্বর। এদিন ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ এবং ফ্লাইং অফিসার বদরুল আলম অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার নিয়ে সিলেট, মৌলভীবাজার, শেরপুর ও সাদিপুরের দুটি ফেরিঘাটে থাকা পাকিস্তানি অবস্থান ধ্বংস করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আলমগ র স ত ত র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
মসজিদে বিয়ে, স্বামীর বয়স নিয়ে আলোচনা, মুখ খুললেন ফারিয়া
কয়েক মাস আগে দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। তার বরের নাম তানজিম তৈয়ব। রাজধানীর একটি মসজিদে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা। মসজিদে বিয়ে করায় নেটিজেনদের একাংশ্যের কটূ কথাও শুনতে হয়েছে তাকে। কেবল তাই নয়, বরের বয়স নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ‘দেবী’খ্যাত এই অভিনেত্রী।
এতদিন ব্যাপারটি নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করেননি শবনম ফারিয়া। কয়েক দিন আগে একটি টিভি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন:
‘নয়ছয়’-এর নির্মাতা রাফায়েলকে বিয়ে করলেন অভিনেত্রী মম
বিয়েতে কনে উপহার পেলেন ১০০ খাটাশ
মসজিদে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছিলেন, তার কারণ ব্যাখ্যা করে শবনম ফারিয়া বলেন, “বাংলাদেশে কোনো ছেলে বা মেয়ে যখন বিয়ে করেন তখন কি ছেলে বা মেয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেন? আমার যেহেতু বাবা নেই, তাই জীবনের যেকোনো সিদ্ধান্ত মা ও বড় দুই বোন-বোন জামাইয়ের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে আসতে হয়।”
মসজিদে বিয়ের ব্যাপারটা গোপন রাখতে চেয়েছিলেন ফারিয়া। বিবাহোত্তর সংবর্ধনা দিয়েই বিয়ের খবর জানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। ব্যাপারটা মসজিদ থেকেই কোনো এক গণমাধ্যমে জানানো হয়েছিল। এরপর মসজিদে তোলা একটি ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। না জানিয়ে বিয়েটা মানুষ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি; পরে স্বামীর পরামর্শে ফেসবুকে বিয়ের খবর দেন বলেও জানান শবনম ফারিয়া।
শবনম ফারিয়ার স্বামীর বয়স নিয়েও সমালোচনা হয়েছে। অনেকে দাবি করেন, তার বর তার চেয়ে বয়সে ছোট। এ বিষয়ে শবনম ফারিয়া বলেন, “আমার হাজব্যান্ড অনেক ফিট। সে কারণে তাকে তরুণ দেখায়। কিন্তু ওর অনেক বয়স। সেটা একদমই বোঝা যায় না। আমার থেকে বয়সে বেশ বড়।”
এ পরিস্থিতিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজনরে কাছ থেকে খুব সহযোগিতা পেয়েছিলেন ফারিয়া। শ্বশুর-শাশুড়ি অভিনেত্রীকে বলেছেন, “এসবে পাত্তা না দিতে, তিন–চার দিন পর এমনিতেই মানুষ ভুলে যাবে।”
২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে হারুন অর রশীদ অপুর সঙ্গে পরিচয় হয় শবনম ফারিয়ার। এরপর দুজনের মাঝে তৈরি হয় ভালো বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের সীমানা পেরিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আংটি বদল করেন তারা। ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই জুটি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সংসার ভাঙার ঘোষণা দেন ফারিয়া। এরপর অপু বিয়ে করলেও একা ছিলেন ফারিয়া।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন শবনম ফারিয়া। সেদিন বাদ আসর রাজধানীর মাদানি অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত মসজিদ আল মুস্তাফায় দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এই অভিনেত্রী। এসময় তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও নিকট আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। তার বর তানজিম তৈয়ব বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা। চলতি বছরের শেষে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন ফারিয়া।
ঢাকা/শান্ত