‘ডিএসই-বিজিএমইএ পুঁজিবাজারের উন্নতি নিশ্চিত করতে পারে’
Published: 16th, October 2025 GMT
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেছেন, “বর্তমানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টেড কোম্পানিগুলোর মধ্যে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইলস খাতে ৫৮টি প্রতিষ্ঠান আছে। ২০২৩ সালে বিজিএমইএ-এর সঙ্গে ডিএসইর একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ দুটি প্রতিষ্ঠান একসাথে কাজ করে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নতি নিশ্চিত করতে পারে।”
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সাথে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
বিডি থাই ফুডে নতুন ভারপ্রাপ্ত এমডি নিয়োগ
নয় মাসে মুনাফা থেকে লোকসানে এনআরবি ব্যাংক
ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো.
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিএসই পরিচালনা পর্ষদের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সাথে বৈঠক করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর পরিচালক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, রিচার্ড ডি রোজারিও, মিনহাজ মান্নান ইমন, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইনামুল হক খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) মিজানুর রহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৈঠকে ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে গার্মেন্টস শিল্প কাজ করছে, যা দেশের ফরেন এক্সচেঞ্জ আর্নিং, কর্মসংস্থান এবং অন্যান্য সহায়ক শিল্পগুলোর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। দেশের আর্থিক খাতও উল্লেখযোগ্যভাবে গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ওপর নির্ভরশীল।”
তিনি বলেন, “বর্তমান বোর্ড গত বছরের অক্টোবর মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা চেষ্টা করছি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে একটি গতিশীল, স্বচ্ছ ও প্রাণবন্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে। আমরা চাই দেশের পুঁজিবাজার শক্তিশালী হয়ে দীর্ঘমেয়াদি মূলধনের উৎস হিসেবে ব্যবসা-বাণিজ্যে অবদান রাখতে পারে। আমরা অভ্যন্তরীণভাবে কর্পোরেট গভর্নেন্স ও ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাকচার শক্তিশালী করার দিকে কাজ করছি। পাশাপাশি, রেগুলেটর, সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা, লিস্টেড ও সম্ভাব্য লিস্টিং-যোগ্য কোম্পানি এবং বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও সহযোগিতা করছি। লিস্টিং প্রক্রিয়া সহজ করা, ডিএসইকে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান থেকে কাস্টমার সেন্ট্রিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে ডিএসই'র পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। আমরা আমাদের কাজের মূল্যায়ন করি, কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করি এবং তা বাস্তবায়ন করছি। যদিও আমরা এখনো কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারিনি, আপনারা আমাদের সাহায্য, পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করলে তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
বৈঠকে বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, “বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ব্যবসা মূলত ক্রেতার সঙ্গে সম্পর্ক মার্কেটিং ভিত্তিক। বিজিএমই-এর পক্ষ থেকে আমরা সদস্যদের জন্য যে সাপোর্ট দিই, তার মধ্যে অন্যতম হলো—ভালো ক্রেতা এবং ব্যবসায়িক অংশীদার চিহ্নিত করা, যাতে আমরা জানি কার সঙ্গে কাজ করা উচিত এবং কার সঙ্গে নয়। এভাবে, এখন আমাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কেউ সহজে আমাদেরকে এক্সপ্লয়েট করতে পারে না। আমাদের মূল নীতি হলো—যে কোম্পানি ভার্টিকাল বা সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করে, তাদেরকে উত্সাহিত করা হবে পাবলিক লিস্টেড হতে।”
ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, “পুঁজিবাজার দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। ব্যাংকিং সেক্টরের বাইরে ব্যবসার জন্য বিকল্প তহবিলের উৎস হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশে এখনো আন্তর্জাতিক মানের ভ্যালুয়েশন ও ইনভেস্টমেন্ট কাঠামোর ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরের রপ্তানি সম্ভাবনা ও পুঁজিবাজারের মধ্যে সুষ্ঠু সংযোগ স্থাপন করা গেলে আমরা বৈশ্বিক পর্যায়ে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব।”
ডিএসইর পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, “গার্মেন্টস সেক্টরে বিপুলসংখ্যক মানুষ কর্মরত-যারা দেশের সাধারণ জনগণেরই অংশ। যদি এই সাধারণ জনগণকেই আমরা বিনিয়োগকারীর ভূমিকায় যুক্ত করতে পারি, তাহলে এটি হবে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন। এতে শুধু গার্মেন্টস শিল্প নয়, পুরো দেশের অর্থনীতিই আরও শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো গার্মেন্টস খাতে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে একা চলার নীতি আমাদের জন্য কার্যকর হবে না। সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার মাধ্যমেই আমরা টেকসই অগ্রগতি অর্জন করতে পারব।”
ঢাকা/এনটি/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র ম ন টস ব জ এমইএ ড এসইর র জন য আম দ র র পর চ ক জ কর ব যবস ড এসই
এছাড়াও পড়ুন:
অক্টোবরে ডিএসইর সূচকে যুক্ত হয়নি নতুন সিকিউরিটিজ
প্রতি তিন মাস পরপর দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক সমন্বয় করা হয়। তবে এবার চলতি বছরের ত্রৈমাসিক প্রান্তিকে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ও এসএমই প্ল্যাফর্মের সূচক ডিএসএমইএক্সে নতুন কোনো সিকিউরিটিজ যুক্ত হয়নি।
ডিএসইর জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত আইপিও সংযোজনের জন্য ডিএসই বাংলাদেশ ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) এবং ডিএসই এসএমই গ্রোথ ইনডেক্স (ডিএসএমইএক্স) এর ত্রৈমাসিক পর্যালোচনার সময় নতুন সিকিউরিটিজের কোনো তালিকা পাওয়া যায় নেই। তাই, অক্টোবর, ২০২৫ এর জন্য ডিএসইএক্স এবং ডিএসএমইএক্স এর বিদ্যমান উপাদান তালিকায় কোনো সংযোজন হবে না।
ডিএসইএক্স এবং ডিএসএমইএক্স সূচকে নতুন কোম্পানি যুক্ত করার প্রধান ভিত্তি হলো- নির্দিষ্ট সময়ে নতুন আইপিও’র মাধ্যমে মূল বোর্ড বা এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্তি। ফলে নতুন কোনো কোম্পানির আগমন না ঘটায় বিদ্যমান সূচকের তালিকায় নতুন করে কোনো সংযোজন হচ্ছে না।
বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে সূচকগুলো নির্দিষ্ট সময় অন্তর পর্যালোচনা করা হয়। এই পর্যালোচনা বাজার ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রতিফলিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূচকে অন্তর্ভুক্তি বা অপসারণের বিষয়টি মূলত বাজারের গতিশীলতা, কোম্পানির বাজার মূলধন, তারল্য এবং অন্যান্য নির্দিষ্ট শর্তের ওপর নির্ভর করে।
ডিএসইএক্স: এটি ডিএসই'র প্রধান সূচক, যা বাজারে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ বড় ও মাঝারি মূলধনী কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করে। এই সূচকের স্থিতিশীলতা সার্বিক শেয়ারবাজারের অবস্থা নির্দেশ করে।
ডিএসএমইএক্স: এটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের কোম্পানিগুলোর জন্য তৈরি একটি বিশেষায়িত সূচক, যা এই উদীয়মান খাতটির পারফরম্যান্স তুলে ধরে।
গত এক বছরের বেশি সময় যাবত দেশের শেয়ারবাজারে নতুন কোন কোম্পানি যুক্ত হয়নি।
ঢাকা/এনটি/ইভা