চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে গোপালগঞ্জ জেলার দুই কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফলে এমন তথ্য জানা গেছে।
শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপালগঞ্জ আইডিয়াল কলেজ। এ কলেজ থেকে ৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছেন।
অপরটি টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কবীর হোসেন আইডিয়াল কলেজ। এ কলেজ থেকে ৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন।
ফলাফল প্রকাশের পরে সরেজমিন গোপালগঞ্জ আইডিয়াল কলেজে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের গেটে তালা ঝুলছে। প্রায় এক ঘন্টা অবস্থান করেও কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর দেখা মেলেনি। একই অবস্থা দেখা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কবীর হোসেন আইডিয়াল কলেজের। তবে, এ কলেজের গেট খোলা থাকলেও পাওয়া যায়নি কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থীকে।
এ বিষয়ে জানতে দুই কলেজের অধ্যক্ষের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।
গোপালগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, ‘‘এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সারা দেশের মতো গোপালগঞ্জেও হতাশাজনক। এর মধ্যে, দুই কলেজ থেকে কেউ পাশ করেনি। ওই কলেজগুলোর বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে এবং ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হবে।’’
ঢাকা/বাদল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ দ ই কল জ পর ক ষ কল জ র ফল ফল
এছাড়াও পড়ুন:
এইচএসসিতে শতভাগ জিপিএ-৫ পেল মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল এস.এম ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
‘এবার এইচএসসির ফলে বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে’
দিনাজপুরের ৪৩ কলেজের সবাই ফেল
চলতি বছর এই ক্যাডেট কলেজ থেকে ৪৬ জন শিক্ষার্থী এচইএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদরে মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ছিলেন ৪২ জন এবং চারজন ছিলেন মানবিক বিভাগে।
কলেজ সূত্র জানায়, এই কলেজ ৪৬ জন ক্যাডেট এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে তাদের প্রত্যেকেই জিপিএ-৫ পেয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের ২২ জন পেয়েছেন গোল্ডেন এ প্লাস।
মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল এস. এম ফয়সাল বলেন, “১৯৬৩ সালে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই অসাধারণ অর্জনের পেছনে রয়েছে একাগ্র অধ্যাবসায় ও নিষ্ঠা, কলেজ কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক তদারকি। এই কৃতিত্ব ভবিষ্যতেও ক্যাডেট কলেজের গৌরব ও ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখবে এমনটি আশা রাখছি।”
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ