এইচএসসির ফলাফল: টাঙ্গাইলের ৭ কলেজে শতভাগ ফেল
Published: 17th, October 2025 GMT
টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় ১০৭টি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীদের কেউই এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ফলাফল প্রকাশের পর জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
এইচএসসির ফলাফল: রংপুরের ৪ কলেজে পাস করেনি কেউ
এইচএসসির ফলাফল: নীলফামারীর ১০ কলেজে পাস করেনি কেউ
শিক্ষাবিদরা বলছেন, নিয়মিত ক্লাশ না হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা অকৃতকার্য হয়েছে।
শতভাগ অকৃতকার্য কলেজগুলো হচ্ছে- সদর উপজেলার আল্লামা ইয়াকুব আলী কলেজ, টাঙ্গাইল কলেজ, টাঙ্গাইল কমার্স কলেজ, শাহীন কলেজ, মির্জাপুরের ফতেপুর ময়নাল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মধুপুরের মধুপুর মহিলা কলেজ ও গোপালপুরের হাদিরা বাধুরিরচর কলেজ।
জেলার ১০৭ কলেজ থেকে ২৫ হাজার ১৩০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ১১ হাজার ১১৯ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। সে হিসাবে পাসের হার ৪৪.
আলীম পরীক্ষায় ১ হাজার ৪৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৯৯৭ জন পাস করেছে। পাসের হার ৬৬.৯১ শতাংশ। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৩ জন।
বিএম পরীক্ষায় দুই হাজার ২৬৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১ হাজার ৩৯৫ জন পাস হয়েছে। পাসের হার ৬১.৫৯ শতাংশ। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচজন। ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৫৩৮ জন অংশ নিয়ে ২৪০ জন পাস হয়েছে। পাসের হার ৪৪.৬১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন।
শতভাগ ফেল করা কলেজগুলোর মধ্যে আল্লামা ইয়াকুব আলী কলেজ থেকে ১৬ জন, গোপালপুরের হাদিরা বাধুরিরচর কলেজ থেকে ১৬ জন, টাঙ্গাইল কলেজ থেকে ৯ জন, টাঙ্গাইল কমার্স কলেজ, শাহীন কলেজ ও মধুপুর মহিলা কলেজ থেকে ২ জন করে, মির্জাপুরের ফতেপুর ময়নাল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।
শতভাগ অকৃতকার্য হওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি।
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক এসএম সাইফুল্লাহ বলেন, “অভ্যুত্থানের পর শিক্ষাব্যবস্থাকে অনেক গুরত্ব দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে।”
তিনি বলেন, “কলেজে না গিয়ে বাসায় নামমাত্র পড়াশোনা করলে পাস করা যায় না। নিয়মিত শ্রেণী কক্ষে গিয়ে ক্লাস করতে হবে। কলেজ বা শ্রেণী কক্ষে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি শিক্ষাদানের আমুল পরিবর্তন আনতে হবে।”
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা বলেন, “বিষয়টি জেলা প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ঢাকা/কাওছার/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এইচএসস ফল জন শ ক ষ র থ কল জ থ ক পর ক ষ য় প স কর শতভ গ ফল ফল
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে দুই কলেজে শতভাগ ফেল
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে গোপালগঞ্জ জেলার দুই কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফলে এমন তথ্য জানা গেছে।
শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপালগঞ্জ আইডিয়াল কলেজ। এ কলেজ থেকে ৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছেন।
অপরটি টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কবীর হোসেন আইডিয়াল কলেজ। এ কলেজ থেকে ৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন।
ফলাফল প্রকাশের পরে সরেজমিন গোপালগঞ্জ আইডিয়াল কলেজে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের গেটে তালা ঝুলছে। প্রায় এক ঘন্টা অবস্থান করেও কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর দেখা মেলেনি। একই অবস্থা দেখা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কবীর হোসেন আইডিয়াল কলেজের। তবে, এ কলেজের গেট খোলা থাকলেও পাওয়া যায়নি কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থীকে।
এ বিষয়ে জানতে দুই কলেজের অধ্যক্ষের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।
গোপালগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, ‘‘এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সারা দেশের মতো গোপালগঞ্জেও হতাশাজনক। এর মধ্যে, দুই কলেজ থেকে কেউ পাশ করেনি। ওই কলেজগুলোর বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে এবং ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হবে।’’
ঢাকা/বাদল/রাজীব