অভিনেত্রী জয়া আহসানের বৃহস্পতি তুঙ্গে তা নিয়ে মোটেও সন্দেহ নেই। এপার-ওপার বাংলা একাধারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী। কিন্তু তার এই অবস্থান সহজে ধরা দেয়নি।

কয়েক দিন আগে একটি পডকাস্টে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন জয়া আহসান। এ আলাপচারিতায় ‘গেরিলা’খ্যাত এই তারকা বলেন, “নিজের কাছে নিজেকেই পরীক্ষা দিতে দিতে এগিয়ে যেতে হয়। তাহলেই সাফল্য আসে। অভিনয়ের প্রথম দিকে ক্যামেরার অ্যাঙ্গেলও চিনতাম না। গুণী নির্মাতাদের সান্নিধ্য ও পরিশ্রমের ফলেই আজকের অবস্থান।” 

আরো পড়ুন:

আমরা বহু বছর ধরে একসঙ্গে আছি, প্রেম জীবন নিয়ে জয়া

বরাবর নারীকেই কামনা-বাসনার বস্তু হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে: জয়া

অতীত ভুলেন না জয়া আহসান। ব্যাখ্যা করে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি পুরোনোতে বাঁচি। পুরোনো শুধু অতীত নয়, বর্তমান আর ভবিষ্যতের সেতুবন্ধ।”  

জয়ার বাসায় এখনো সংরক্ষিত রয়েছে প্রায় ২০০ বছর পুরোনো একটি আলমারি। এমনকি যে খাটে তার জন্ম, সেটিও এখনো রয়ে গেছে বলেও জানান জয়া। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দারুণ সরব জয়া আহসান। ফলে নিয়মিত ‘নোংরা’ মন্তব্যেরও শিকার হন। এ নিয়ে জয়া আহসান বলেন, “কমেন্ট বক্স বেশি দেখি না। কিন্তু যখন দেখি, খারাপ লাগে সেইসব মানুষের জন্য, যারা পৃথিবীতে বাজে মন্তব্য রেখে যাচ্ছেন। তারা একদিন হয়তো চলে যাবেন। কিন্তু কথাগুলো থেকে যাবে। পাপ হবে তার, আমার কিছু হবে না।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জয় আহস ন আহস ন

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষকের পিটুনিতে আহত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি

ঝালকাঠির রাজাপুরে আবু বকর (১২) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে বেদম পিটিয়ে আহত করেছেন তার শিক্ষক। ওই শিক্ষার্থী রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে রাজাপুর উপজেলার গালুয়া দারুল কুরআন নূরানি কওমি মাদ্রাসায় ওই ছাত্রকে পেটানো হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। 

অভিযুক্ত শিক্ষক জুনায়েদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। 

আবু বকর রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়ার মিঞা বাড়ি এলাকার মহসিনের ছেলে। সে গালুয়া দারুল কুরআন নূরানি কওমি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। শিক্ষক জুনায়েদ (২৬) সাতুরিয়া এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে।

আবু বকর সাংবাদিকদের বলেছে, বাবা-মায়ের সাথে আমাকে কথা বলতে দিতেন না জুনায়েদ হুজুর। তিনি বলতেন, বার বার বাড়িতে কথা বললে মায়া বাড়ে। তাই, লুকিয়ে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার ছেলে তানভীরের মোবাইল ফোন থেকে আমার বাবার সাথে কথা বলায় শিক্ষক জুনায়েদ ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরে গাব গাছের লাঠি দিয়ে আমার সারা শরীরে পেটায়। 

আবু বকরের বাবা মহসিন বলেছেন, শিক্ষককে ফোন করে আমার ছেলেকে না মারার জন্য অনুরোধ করছি। তারপরও তাকে চরমভাবে মেরেছে। আমি তার শাস্তি চাই। 

তবে, অভিযুক্ত শিক্ষক জুনায়েদ বলেছেন, আবু বকর কথা শোনে না। তাই, তাকে কয়েকটি পিটুনি দিয়েছি। কিন্তু, রাগের মাথায় মাইর বেশি হয়ে গেছে। 

মাদ্রাসার পরিচালক মো. মজিবুর রহমান বলেছেন, আবু বকরকে যেভাবে মারা উচিত ছিল, তার চেয়ে বেশি মারা হয়েছে। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি কমিটির সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। এখন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিটিংএ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেছেন, আবু বকরের বিষয়ে খোঁজ নিতে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/অলোক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ