ঢাকার সাভারে ধর্ষণের শিকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৯ অক্টোবর) ভোরের দিকে ঢাকার তেজগাঁও থানার তেঁজকুনি পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মিঠু বিশ্বাস (৩৫) সাভারের কমলাপুর গোয়ালিওপাড়া এলাকার দেবেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে।

আরো পড়ুন:

বঙ্গোপসাগরে ১৪ ভারতীয় জেলে গ্রেপ্তার

বাসায় ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

আরো পড়ুন: বাসায় ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

মামলার অপর দুই আসামি হলেন- সোহেল রোজারিও (৩৭) ও বিপ্লব রোজারিও (৪০)। আসামিদের মধ্যে সোহেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং বিপ্লব ও মিঠুর বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সাভার মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি ধারায় ভুক্তভোগী মামলা করেন। এর আগে, মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে সাভারের কমলাপুরের গোয়ালিওপাড়া এলাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারে বলা হয়েছে, ১৪ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে সাভারের বেগুনবাড়ি এলাকায় টিউশন শেষে বাসায় ফেরেন ওই শিক্ষার্থী। গিয়ে দেখেন, বাসা তালাবদ্ধ। পরে জানতে পারেন, তার মা তালা দিয়ে পাশের এক চা দোকানির কাছে চাবি রেখে গেছেন। দোকান থেকে চাবি নিয়ে ফেরার সময় পথে সোহেল রোজারিও ও বিপ্লব রোজারিও থামিয়ে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন। তরুণী বিষয়টি এড়িয়ে বাসার পথে এগোলে তারা অনুসরণ করে এবং পরিচিতির কথা জানায়।

একপর্যায়ে তিনজন মিলে মেয়েটিকে জোর করে একটি মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে সোহেল রোজারিও ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ভয়ভীতি দেখিয়ে গোয়ালিওপাড়ার নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। পরে সোহেল রোজারিও সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় অন্য দুই আসামি তাকে সহযোগিতা করেন। ধর্ষণের পর ঘটনাটি জানালে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।

সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা বলেন, “রাজধানীর তেজগাঁও থানার তেঁজকুনি পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজ রবিবার ভোরে মিঠুকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

এদিকে, আজ বিকেল ৪টায় সাভার মডেল থানা প্রাঙ্গণে তিন দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে ঢাকা জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দাবির মধ্যে রয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সাভারে নিরব-গহীন এলাকায় পর্যাপ্ত লাইটিং, সিসিটিভি ক্যামেরা ও পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সাভারে খুন-গুম-ধর্ষণের জন্য যৌথ বাহিনীর স্পেশাল সেল তৈরি করতে হবে।

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আস ম গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে গণফোরাম

‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’- এ স্বাক্ষর করেছে গণফোরাম। রবিবার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গণফোরামের পক্ষে স্বাক্ষর করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান। 

এ সময় দলটির সভাপতি পরিষদের সদস্য জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট এ. কে. এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিলা গণফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাগরিকা ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা হাসান উপস্থিত ছিলেন। 

ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিনির্মাণের দীর্ঘদিনের সংগ্রামে গণফোরাম সবসময় যুক্ত থেকেছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের প্রক্রিয়ার সঙ্গে ওতোপ্রোতোভাবে যুক্ত থাকায় তিনি দলটিকে কমিশনের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ জানান। 

গণফোরামের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্যদের মধ্যে ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/এএএম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ