ছবি-বন্দরের কাজ বন্ধ এমন ফাইল ছবি

বন্দরে সেবার মাশুল বাড়ানোর প্রতিবাদে আজ রোববার সকাল নয়টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। কর্মসূচি অনুযায়ী, এ সময়ে বন্দর–সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম থেকে বিরত ছিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস।

গতকাল শনিবার এক প্রতিবাদ সভা থেকে সপ্তাহব্যাপী প্রতীকী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন পোর্ট ইউজার্স ফোরামের আহ্বায়ক আমীর হ‌ুমায়ূন মাহমুদ চৌধুরী। নগরের নেভি কনভেনশন হলে ওই প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা অনুযায়ী, এক সপ্তাহে মাশুল স্থগিতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হলে বড় আন্দোলন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, মাশুল বাড়ানোর প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

চার ঘণ্টার কর্মসূচিতে মূলত পণ্য খালাসের মতো কার্যক্রম থেকে বিরত ছিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস। ফলে কর্মসূচির কারণে বন্দর থেকে পণ্য খালাস ব্যাহত হলেও দিনের শেষ ভাগে তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের মতো গাড়িমালিকদের সংগঠনগুলোও বন্দর দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখে। এ কারণে বন্দর দিয়ে পণ্য ও কনটেইনার পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের আপত্তি উপেক্ষা করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বন্দরের নতুন মাশুলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। ১৫ অক্টোবর থেকে এই নতুন মাশুল কার্যকর হয়। আগের তুলনায় গড়ে প্রায় ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানো হয়েছে। বিদেশি অপারেটরদের সুবিধা দিতে নতুন মাশুল কার্যকর করা হচ্ছে বলে সমালোচনা রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

থাইল্যান্ড: পরাধীনতাকে জয় করা এক জাতির গল্প

বিশ্বের মানচিত্রে বিজয়ের সংজ্ঞা সব সময় যুদ্ধক্ষেত্র বা বারুদের গন্ধে সীমাবদ্ধ থাকে না। কখনো কখনো বিজয় মানে হলো হাজারো ঝড়ের মধ্যেও মাথা নত না করা। আজ ৫ ডিসেম্বর, আমাদের প্রতিবেশী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের ‘জাতীয় দিবস’। একই সঙ্গে দিনটি উদ্‌যাপিত হয় দেশটির ‘ফাদার্স ডে’ বা বাবা দিবস হিসেবেও। কারণ, ১৯২৭ সালের এই দিনেই জন্ম নিয়েছিলেন থাইল্যান্ডের আধুনিক ইতিহাসের রূপকার প্রয়াত রাজা ভূমিবল অতুল্যতেজ (নবম রামা)।

ডিসেম্বর মাসের বিজয়ের গল্পে থাইল্যান্ডের নাম উঠে আসে এক অনন্য কারণে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে থাইল্যান্ড (সাবেক নাম ‘শ্যামদেশ’) কখনোই ইউরোপীয় কোনো শক্তির উপনিবেশ ছিল না। যখন প্রতিবেশী মিয়ানমার, লাওস, কম্বোডিয়া বা ভিয়েতনাম ব্রিটিশ কিংবা ফরাসি শাসনের শৃঙ্খলে বন্দী ছিল, তখন থাইল্যান্ড তার কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও জাতীয় ঐক্যের জোরে স্বাধীন অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল। তাদের এই স্বাধীনতা রক্ষা করাটাই ছিল সবচেয়ে বড় বিজয়। আর আধুনিক যুগে সেই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে আগলে রাখার প্রতীক ছিলেন রাজা ভূমিবল।

থাইল্যান্ডের আধুনিক ইতিহাসের রূপকার রাজা ভূমিবল অতুল্যতেজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ