বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত কক্ষে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ নারীর সন্তান প্রসব
Published: 19th, October 2025 GMT
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের লংগরপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ এক নারী সন্তান প্রসব করেছেন। গতকাল শনিবার রাতে মা ও নবজাতককে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, ওই নারীর নাম শাবানা বেগম (২৫)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্রীবরদীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এবং মাঝেমধ্যে বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে রাত কাটাতেন। গতকাল সন্ধ্যায় হঠাৎ বিদ্যালয় ভবন থেকে নবজাতকের কান্না শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা শাবানার কোলে নবজাতককে দেখতে পান। স্থানীয় লোকজন দ্রুত মা ও শিশুকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান এবং প্রাথমিক সেবা ও খাবারের ব্যবস্থা করেন। নবজাতকটি সুস্থ থাকলেও শাবানার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে ওই নারীর বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
এ সম্পর্কে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো.
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসিব-উল-আহসান বলেন, মা ও নবজাতকের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সমাজসেবা কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে এবং নারীর পরিচয় অনুসন্ধান চলছে।
শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক তানবির আহমেদ বলেন, গতকাল রাতে মা ও সন্তানকে ভর্তি করা হয়েছে। নবজাতক ভালো আছে, তবে মা শারীরিকভাবে দুর্বল। তাঁকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
থাইল্যান্ড: পরাধীনতাকে জয় করা এক জাতির গল্প
বিশ্বের মানচিত্রে বিজয়ের সংজ্ঞা সব সময় যুদ্ধক্ষেত্র বা বারুদের গন্ধে সীমাবদ্ধ থাকে না। কখনো কখনো বিজয় মানে হলো হাজারো ঝড়ের মধ্যেও মাথা নত না করা। আজ ৫ ডিসেম্বর, আমাদের প্রতিবেশী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের ‘জাতীয় দিবস’। একই সঙ্গে দিনটি উদ্যাপিত হয় দেশটির ‘ফাদার্স ডে’ বা বাবা দিবস হিসেবেও। কারণ, ১৯২৭ সালের এই দিনেই জন্ম নিয়েছিলেন থাইল্যান্ডের আধুনিক ইতিহাসের রূপকার প্রয়াত রাজা ভূমিবল অতুল্যতেজ (নবম রামা)।
ডিসেম্বর মাসের বিজয়ের গল্পে থাইল্যান্ডের নাম উঠে আসে এক অনন্য কারণে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে থাইল্যান্ড (সাবেক নাম ‘শ্যামদেশ’) কখনোই ইউরোপীয় কোনো শক্তির উপনিবেশ ছিল না। যখন প্রতিবেশী মিয়ানমার, লাওস, কম্বোডিয়া বা ভিয়েতনাম ব্রিটিশ কিংবা ফরাসি শাসনের শৃঙ্খলে বন্দী ছিল, তখন থাইল্যান্ড তার কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও জাতীয় ঐক্যের জোরে স্বাধীন অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল। তাদের এই স্বাধীনতা রক্ষা করাটাই ছিল সবচেয়ে বড় বিজয়। আর আধুনিক যুগে সেই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে আগলে রাখার প্রতীক ছিলেন রাজা ভূমিবল।
থাইল্যান্ডের আধুনিক ইতিহাসের রূপকার রাজা ভূমিবল অতুল্যতেজ