তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন লিটন দাস। তবে পূর্ণ মেয়াদে তিনি দায়িত্ব পেয়েছেন শুধু টি-টোয়েন্টির জন্য। এই সংস্করণে তাঁর অধীনে সর্বশেষ ৪টি সিরিজে জিতেছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপেও ফাইনালের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল তাঁরা। সব মিলিয়ে লিটনের অধীনে টি-টোয়েন্টি দল ভালোই করছে বলা যায়।

লিটন বাংলাদেশের টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য। গত জুনে শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর নাজমুল হোসেন টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর কে হবেন টেস্ট অধিনায়ক এই আলোচনায় তাই লিটনও আছেন। আগামী মাসের শুরুতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের আগেই অধিনায়ক খুঁজে নিতে হবে বিসিবিকে।

তবে এ নিয়ে এখনো তাঁর সঙ্গে বিসিবির আলাপ হয়নি বলে জানিয়েছেন লিটন। আজ চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে সংবাদ সম্মেলনে টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়ে লিটন বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে নিয়ে আমি কিছু জানি না। তাঁরা যদি যোগ্য মনে করে, অবশ্যই তাঁরা আমার সঙ্গে কথা বলবে। দেখা যাক, কী সিদ্ধান্ত হয়।’

২০২৩ সালে সাকিব আল হাসান চোট পেলে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি ম্যাচে নেতৃত্ব দেন লিটন। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ রেকর্ড ৫৪৬ রানে জয় পায়। ২০২৩ সালের শেষদিকে লিটন আলোচনায় থাকলেও তখন নেতৃত্ব দেওয়া হয় নাজমুলকে।

নতুন করে টেস্ট অধিনায়কত্বের ভার এলে তা নিতে যে আগ্রহ আছে সেটি স্পষ্ট লিটনের কথাতেও, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আপনি যখন খেলবেন, টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব (আপনার কাছে) অনেক বড় পাওয়া। আমার মনে হয় না কেউ ‘না’ করবে। কিন্তু তাঁদের (বিসিবি) পক্ষ থেকে এখনো কিছু বলা হয়নি।’

অধিনায়কত্ব খোঁজার কাজটা বিসিবির। লিটনের জন্য আপাতত চ্যালেঞ্জটা টি-টোয়েন্টিতে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই সিরিজ মিলিয়ে ৬টি ম্যাচ হাতে আছে বাংলাদেশের।

এই দুই সিরিজে লক্ষ্যের কথা জানতে চাইলে লিটন বলেছেন, ‘সত্য কথা বলতে আমি দুইটা সিরিজে চাই আমাদের খেলোয়াড়রা যেন খুব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। সেটা ব্যাটিংয়ে হতে পারে, বোলিংয়ে হতে পারে। আমি চাই যে, এই ছয়টা ম্যাচ থেকে আমরা যতটা পিছিয়ে থাকব, ততটাই ভালো। পিছিয়ে থাকার মানে ম্যাচে না, চ্যালেঞ্জের কথা বলছি। আমি চাই যে, বোলাররা যখন বল করবে, তারা যেন চাপের মধ্যে থাকে। যে জিনিসগুলো ভবিষ্যতে আমাদের অনেকটাই সাহায্য করবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল টন ব

এছাড়াও পড়ুন:

চবির হলে মাদকের রমরমা কারবার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শহিদ ফরহাদ হোসেন হলের তিনটি কক্ষে বিপুল পরিমাণ সিগারেটের অবশিষ্টাংশ, গাঁজা, মদ, হুইস্কিসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টায় হল প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির যৌথ অভিযানে হলটির সি-ব্লকের ১০৮ ও ১০৪ নম্বর কক্ষ এবং এ-ব্লকের ২০২ নম্বর কক্ষে এসব উদ্ধার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও

ধর্ষণে অভিযুক্ত বুয়েট শিক্ষার্থীর বিচার দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন

সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হল প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব কক্ষে মাদকের রমরমা কারবার চলছিল। ১০৮ নম্বর কক্ষটি হল সংসদের জন্য বরাদ্দ থাকলেও এখানে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছেন পাঁচ শিক্ষার্থী। অভিযানে কক্ষটিতে বিপুল পরিমাণ সিগারেটের অবশিষ্টাংশ, মদ ও হুইস্কির বোতল এবং ও গাঁজা সেবনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এ কক্ষে থাকেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মীর মাইনুল হাসান, আইইআর বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শুখন, ইতিহাস বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নাজমুল হাসান, একই লোক প্রশাসন বিভাগের সামিউল আলম সজল ও ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের মুশফিক অভি।

অন্যদিকে, ১০২ কক্ষে অভিযানে দুই শিক্ষার্থীকে মাদক সেবন করতে দেখা গেছে। এ সময় তাদের কক্ষে মদ, গাঁজাসহ মাদক সেবনের বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া গেছে।

এ কক্ষের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল সালাম, শাখাওয়াত হোসেন শুভ ও সিফাত মাদকের সঙ্গে জড়িত।

এর আগে, আব্দুস সালাম (ফেসবুকে নাম সালমান খান) তার দুই বন্ধু শুভ ও সিফাতের সঙ্গে মদ পান করার একটি ছবি ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন, যা রাইজিংবিডি ডটকমের কাছে এসেছে।

১০৪ নম্বর কক্ষেও মাকদের বিভিন্ন আলামত পাওয়া গেছে। এ কক্ষে থাকেন মিনহাজুল ইসলাম ইকরা, আল রুমান, আবরার জাহিন লাবিব ও ইবরাজ হাসান মাহমুদ সামির। তারা চারজনই ক্রিমিনোলজি বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান বলেন, “১০৮ নম্বর কক্ষে অবৈধভাবে পাঁচ শিক্ষার্থী অবস্থান করছিল। তারা আমার কাছে গত ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত থাকার সময় চেয়েছিল। ১৫ তারিখের পরেও তারা রুম ছাড়েনি দেখে আমি তালা লাগিয়ে দেই। এর পরদিন শুনি, তারা তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকেছে। পরে আমি গতকালের (বুধবার) মধ্যে রুম ছাড়তে অফিসিয়াল নোটিশ দেই। কিন্তু তারা রুম ছাড়েনি, এমনকি নোটিশ ছিঁড়ে ফেলেছে।”

তিনি বলেন, “আজ বিকেলে ওই রুমে গিয়ে বিপুল পরিমাণ সিগারেটের অবশিষ্টাংশ, গাঁজা, ইন্ডিয়ান ব্রান্ডের হুইস্কির বোতলসহ বিভিন্ন মাদকের আলামত সরাসরি দেখেছি। তাদের ইতোমধ্যে রুম থেকে বের করে দিয়েছি। এরপর ১০৪ ও ১০২ নম্বর কক্ষেও মাদক পাওয়া গেছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, “অভিযোগ পেয়ে আমরা প্রক্টরিয়াল টিম নিয়ে সেখানে যায়। আমরা সেখানে বিভিন্ন ধরনের মাদক দেখেছি। এছাড়া, আরো দুটি কক্ষেও মাদক পাওয়া গেছে।”

তিনি বলেন, “জড়িতের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই বছর আগের চেয়ে আম রপ্তানি কম, ব্যবসায়ীরা হতাশ
  • চবির হলে মাদকের রমরমা কারবার