সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে আচমকা লিটন টেস্ট অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন ২০২৩ সালে। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে। ৫৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে মিরপুরে আফগানদের হারায় বাংলাদেশ। যা টেস্ট ক্রিকেটের প্রায় দেড়শ বছরের ইতিহাসে রানের হিসেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ জয়। ওই ম্যাচের পর লিটনের অধিনায়কত্ব নিয়ে আর তেমন কথা হয়নি। তবে এখন হচ্ছে।
বিসিবির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানাচ্ছে, বাংলাদেশের পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক হতে যাচ্ছে লিটন। এরই মধ্যে লিটনের সঙ্গে বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কথাও হয়েছেন। তিনি লিটনকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। লিটন বেশ কিছু বিষয় সামনে এনেছেন। সেগুলো নিয়ে কথাও হবে আজকের বোর্ড মিটিংয়ে। লিটন লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়কত্ব চান যা তার প্রথম চাওয়া। সেটা হতে পারে দুই বছর। কিংবা পুরোপুরি এক টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে। বিসিবি সেই প্রস্তাবে সাড়া দিলেই লিটন টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি টেস্টেও অধিনায়কত্ব করতে রাজি তা জানিয়ে দিয়েছেন।
চট্টগ্রামে গতকালও তা কিছুটা খোলাসা করেছেন তিনি, ‘‘অবশ্যই আপনি যখন খেলোয়াড় হিসেবে খেলবেন, টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব পাওয়াটা অনেক বড় একটা পাওয়া। আমার মনে হয় না, কেউ ‘না’ করবে। তবে তাদের পক্ষ থেকে কোনো কিছু এখনও আসেনি। দেখা যাক, কী সিদ্ধান্ত হয়।’’ তার নেতৃত্ব ৭ ওয়ানডেতে ৩ জয়, ২৩ টি-টোয়েন্টিতে ১৩ জয় ও ৯ হার- বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্তত ২০ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া টি-টোয়েন্টি অধিনায়কদের মধ্যে সেরা রেকর্ড তারই। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ২০১৯-২১ ও ২০২১-২৩ সালের প্রথম দুই চক্রে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল টেবিলের তলানিতে। ২০২৩-২৫ সালের তৃতীয় চক্রে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল সাতে। আপাতত এখান থেকে তিন বা চারে পৌছানোর কথা ভাবছেন লিটন।
অধিনায়কত্ব পাওয়ার ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার পর নিজের ভাবনা, লক্ষ্য ঠিক করেছেন তা বোঝা যাচ্ছে তার কথায়, “আমার মনে হয়, বাংলাদেশ অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছে। এখন যেসব ক্রিকেটার খেলছে তাদের প্রতিদান দেওয়া উচিৎ। আশা করব, তারা দেবে। সাম্প্রতিক অতীত যদি দেখেন, আমরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সাতে ছিলাম। ভারতের বিপক্ষে যদি আমরা টেস্ট ওভাবে না হারতাম, তাহলে কিন্তু ফল অন্যরকম হতো।” “বাংলাদেশের জন্য টেস্টে তিন বা চারে থাকা বিশাল অর্জন। সব সময় চ্যাম্পিয়নের চিন্তা করলে হবে না। আমাদের ওই জিনিসটা কখনও ছিল না, আমরা তো কখনো ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলোকে নিয়মিত হারাতে পারিনি। তারপরও আপনি যদি তিন বা চারে থাকেন, মানে বড় কিছুই করেছেন।” -যোগ করেন তিনি।
আজকের বোর্ড সভায় টেস্ট অধিনায়কত্বের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে। লিটনের সঙ্গে মিরাজ, শান্ত ও মুমিনুলকে শর্ট লিস্টে রেখেছিল বিসিবি। কিন্তু শান্ত ও মুমিনুল না করে দিয়েছেন আছেই। মিরাজেরও টেস্ট অধিনায়কত্ব করার ইচ্ছা আছে ওয়ানডের পাশাপাশি। বিসিবি এখন কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার। তবে বোর্ড সভাপতির একাংশের দাবি, তাদের ভোট লিটনের ব্যালটেই। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে লিটন হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ১৪তম পূর্ণ কালীন টেস্ট অধিনায়ক।
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল টন র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পিএসসিতে এনসিপির প্রতিনিধিদল, ভাইভায় ১০০ ও প্রিলি–লিখিত পরীক্ষার নম্বর প্রকাশসহ ১৫ দফা প্রস্তাব
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে বিসিএস পরীক্ষাগুলোর অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ সময় বিসিএস ভাইভা পরীক্ষায় ১০০ নম্বর, প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ, ৪৪তম বিসিএসের পুনঃ ফল ও ২০২৩ সালের নন–ক্যাডার বিধি সংশোধনসহ ১৫ দাবি পেশ করেছে দলটি।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেমের কাছে প্রস্তাবনাগুলো পেশ করে এনসিপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। এনসিপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্যসচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।
হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্টে পিএসসির সঙ্গে আলোচনা ও ১৫ দাবি পেশের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
এনসিপির ১৫ দফা প্রস্তাবনা হলো—১. ২০২৩ সালের নন–ক্যাডার বিধি সংশোধন দ্রুত বাস্তবায়ন ও ৪৩তম বিসিএস থেকে সমন্বয় করা।
২. ৪৩তম বিসিএস নন–ক্যাডার প্রার্থীদের জন্য অধিযাচিত পদে দ্রুত সুপারিশ সম্পন্ন করা।
৩. ৪৪তম বিসিএসের পুনঃ ফল প্রকাশ ও চলতি বছরেই গেজেট প্রকাশের দাবি।
৪. চলমান (৪৩–৪৭তম) বিসিএসগুলোয় সর্বোচ্চসংখ্যক নন–ক্যাডার পদে সুপারিশের ধারা অব্যাহত রাখা।
৫. ৪৩তম বিসিএসের হেড টিচার পদে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের মেধার ভিত্তিতে নতুন সার্কুলারে যুক্ত করা।
৬. ৪৫তম বিসিএস ভাইভার হাজিরাপত্রে মার্কস আপডেট করা।
৭. স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার মার্কস প্রকাশ করা।
৮. প্রার্থীদের জন্য চূড়ান্ত নম্বরপত্র অনলাইনে রোল ও রেজিস্ট্রেশন দিয়ে দেখার সুযোগ চালু করা।
আরও পড়ুনচাকরির পাশাপাশি যে পাঁচটি কাজ আপনার আয় বাড়াবে৯ ঘণ্টা আগে৯. পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়া এক মাসে সম্পন্ন করা।
১০. প্রতিবছর একটি ক্যালেন্ডার ইয়ারে বিসিএস সম্পন্ন করার ব্যবস্থা।
১১. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে স্পেশাল বিসিএসে প্যানেল সিস্টেম চালু করা।
১২. ভাইভা বোর্ডভিত্তিক মার্কসের তারতম্য কমাতে নির্দিষ্ট মূল্যায়ন ক্যাটাগরি প্রণয়ন।
১৩. প্রিলি থেকে লিখিত পরীক্ষার মধ্যে কমপক্ষে দুই মাস বা ৫০ দিনের যৌক্তিক ব্যবধান রাখা।
আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা১ ঘণ্টা আগে১৪. চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগে ক্রস চেক করে সম বা নিম্ন ক্যাডারে কেউ যেন নিয়োগ না পায়।
১৫. পিএসসির অধীনে অনুষ্ঠিত সব পরীক্ষা গ্রেডভিত্তিক বা ক্লাস্টার সিস্টেমে আয়োজনের দাবি।
বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জানান, প্রতিটি দাবি নিয়ে পিএসসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনসুইডেনে ৭৫০টি ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ, আবেদন স্নাতকোত্তরে, জীবনযাপন খরচ–ভ্রমণ ব্যয়সহ নানা সুযোগ৯ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনএ সপ্তাহের সেরা ১০ সরকারি চাকরি কোনগুলো (১৭-২৩ অক্টোবর)২৪ অক্টোবর ২০২৫