ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে রেলপথ অবরোধ, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপে আহত ৫
Published: 27th, October 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে রেলপথ অবরোধ ও ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভৈরব রেলস্টেশনে রেলপথ অবরোধ করে রাখেন তারা।
এ সময় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন ভৈরব রেলস্টেশনে আটকা পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে থাকার পর চালক ট্রেন ছাড়তে চাইলে অবরোধকারীরা ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেন। এতে ট্রেনের পাঁচ যাত্রী আহত হয়েছেন।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘‘অবরোধকারীরা ট্রেন থামিয়ে কর্মসূচি পালন করছিলেন। পরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় ট্রেনের কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে শুনেছি।’’
ভৈরব জেলা বাস্তবায়ন আন্দোলনের নেতা সাইফুর রহমান শাহরিয়ার বলেন, ‘‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’’
আন্দোলনকারীরা জানান, দাবি আদায়ে আগামীকাল মঙ্গলবার মেঘনা নদীতে নৌপথ অবরোধ করা হবে।
এর আগে, রবিবার ভৈরবের দুর্জয় মোড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্লকেড করেন বিক্ষোভকারীরা। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঢাকা/রুমন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ রব র অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত আমিনুরের মরদেহ দেশে, মির্জাপুরে দাফন
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত আমিনুর রহমানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে তাঁর নিজ এলাকা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে গোড়াইল কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে আমিনুর রহমানের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি পৌঁছায়। এ সময় স্বজন ও প্রতিবেশীদের কান্নার আহাজারি পড়ে যায়।
পরিবার ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ব্যবসা শুরু করেন আমিনুর রহমান। মাঝেমধ্যে তিনি দেশে আসতেন। ৫ ডিসেম্বর দেশটির লিম্পুপু প্রদেশের মাটিম্বোতে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ছিলেন তিনি। বিকেল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে হঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁর মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আমিনুর রহমানের ভাই আসলাম সিদ্দিকী জানান, ওই দিন রাত সোয়া ১১টায় তাঁরা আমিনুর রহমানের মৃত্যুর সংবাদ পান। তাঁদের সংসারে অসুস্থ মা, দুই ভাই, দুই বোন ছাড়া আমিনুর রহমানের স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে আছে।
আরও পড়ুনহঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়০৬ ডিসেম্বর ২০২৫আসলাম সিদ্দিকীর অভিযোগ, দক্ষিণ আফ্রিকায় আমিনুর রহমানের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে একই উপজেলার আরেক ব্যক্তি কাজ করতেন। আমিনুর রহমানের অনুপস্থিতিতে সেখান থেকে প্রায় এক কোটি টাকা নিয়ে হঠাৎ উধাও হন জাফর। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে মির্জাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। পাওনা টাকার জন্য বিভিন্ন সময় ওই ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হতো। কিন্তু টাকা দেওয়ার বদলে উল্টো বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হতো। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিষয়টির যোগ থাকতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
আমিনুর রহমানের জানাজায় বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রউফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম শফিকুল ইসলাম, মির্জাপুর কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আজম মৃধা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনদক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত০৬ ডিসেম্বর ২০২৫