সব ধরনের দুর্নীতির উৎসের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে: দুদক চেয়ারম্যান
Published: 27th, October 2025 GMT
সব ধরনের দুর্নীতির উৎসের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে উল্লেখ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, দুর্নীতিবাজদের অনেকেই রাজনীতিবিদদের হাতে লালিত হন। বিগত সরকারের পতনের অন্যতম কারণ ছিল দুর্নীতি। সচেতন থাকতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে আগামী নির্বাচনে যাতে সঠিক ও সৎ লোকটিকে নির্বাচিত করা যায়।
চুয়াডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত দুদকের গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান এ মন্তব্য করেন। আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের ডিসি সাহিত্য মঞ্চে গণশুনানি হয়। জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় দুদক এই গণশুনানির আয়োজন করে।
এই গণশুনানিকে সফল করতে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জেলাজুড়ে মাইকিং ও পোস্টারিং করা হয়। এ ছাড়া শহরের তিনটি স্থানে অস্থায়ী বুথ স্থাপন করে অভিযোগ সংগ্রহ করা হয়। জমাকৃত অভিযোগ যাচাই–বাছাই করে দুদকের আমলযোগ্য ৭৫টি গ্রহণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট ২৬টি সরকারি দপ্তরের কমর্কর্তারা সশরীর উপস্থিত থেকে এসব অভিযোগের জবাব দেন।
গণশুনানিতে আমলযোগ্য ৭৫টি অভিযোগের মধ্যে ৩৩টি তাৎক্ষণিক সমাধান, ৭টি খারিজ এবং বাকিগুলো সমাধানে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। গণশুনানির আয়োজন প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা। সেবাগ্রহীতা ও সেবাদাতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা।’
সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি উদ্বৃত করে মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা দেখেছি নির্বাচনসংক্রান্ত কিছু অপরাধ, যা সম্পর্কে আপনারা জানেন। নোমিনেশন বাণিজ্য থেকে শুরু করে অন্যান্য অনেক ধরনের বাণিজ্য হয়। নির্বাচনকালীন সময় অবৈধ টাকার লেনদেন অনেকভাবে বেড়ে যায়। সেদিকে যদি সতর্ক থাকেন, আমি বিশ্বাস করি আগামী দিনে আমরা ভালো জনপ্রতিনিধি পাব এবং তাঁরা কল্যাণকর সরকার গঠন করতে পারবেন। এটা আমাদের প্রত্যাশা। শেষ পর্যন্ত যদি সৎ শাসক প্রতিষ্ঠিত হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো এমন অফিসের দরকারই হবে না।
সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় মাদকের বিস্তার ও ব্যবসার প্রকোপ আছে উল্লেখ করে মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, ‘যদি দুর্নীতির উৎস অনুসন্ধান করতে থাকি, তাহলে দেখব মাদক অন্যতম একটি বিষয়। আপনারা যদি একটু সচেতন থাকেন, তাহলে মাদক ব্যবসায়ীদেরও আমরা প্রতিহত করতে পারব।’
স্বর্ণ চোরাচালান প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আবদুল মোমেন দাবি করেন, ‘স্বর্ণ চোরাচালানের বড় বড় ব্যবসায়ীদের কয়েকজন আপনার জেলারই। অনেকেই আবার বিখ্যাত। তাঁদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে পারেন।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলোর কিছু অনুসন্ধান পর্যায়ে, কিছু তদন্ত পর্যায়ে এবং কিছু বিষয়ে মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছি, যাতে একটা সফল পরিণতির দিকে যেতে পারি। অনেক আসামি দেশের বাইরে চলে গেছেন। কেমন করে চলে গেছেন, সেটা আমার চেয়ে আপনারা ভালোভাবে জানেন। এমনও হতে পারে চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়েও পার হতে পারেন।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে অতিথি ছিলেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মোহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, মহাপরিচালক আকতার হোসেন, খুলনা বিভাগীয় পরিচালক জামালউদ্দিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপস) জামাল আল নাসের।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণশ ন ন সরক র আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
৮০০ কোটি আয় করা সিনেমাটি দেখা যাবে ঘরে বসেই
ঋষভ শেঠির কন্নড় সিনেমা ‘কানতারা: চ্যাপ্টার ১’ বক্স অফিসে এখনো ঝড় তুলছে। মুক্তির তিন সপ্তাহের মাথায় গিয়ে ছবির আয় দাঁড়িয়েছে ৮০০ কোটি রুপির ঘরে। সিনেমাটি এবার দেখা যাবে ঘরে বসেই। কারণ, ওটিটিতে মুক্তি পাচ্ছে আলোচিত কন্নড় সিনেমাটি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
৩১ অক্টোবর থেকে প্রাইম ভিডিওতে দেখা যাবে ‘কানতারা: চ্যাপ্টার ১’। প্ল্যাটফর্মটির পক্ষ থেকে আজ সোমবার এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
কন্নড় ভাষার পাশাপাশি তামিল, তেলুগু ও মালয়ালম ভাষায়ও দেখা যাবে সিনেমাটি। তবে হিন্দি সংস্করণ কবে আসবে, সেটা এখনো জানানো হয়নি। ছবিটি এখনো বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করছে, তাই এত দ্রুত ওটিটিতে কেন, তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
‘কানতারা চ্যাপটার ১’ সিনেমার দৃশ্য