‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ ঝড়ে নেটফ্লিক্স ক্র্যাশ, কী আছে বিশ্বজুড়ে আলোচিত এই সিরিজে
Published: 28th, November 2025 GMT
প্রায় কোনো প্রচার ছাড়াই এসেছিল প্রথম কিস্তি। হরর, অ্যাডভেঞ্চার, রহস্য আর একদল কিশোর-কিশোরীর গল্প নিয়ে নির্মিত সিরিজটি মুক্তির পরই ঝড় তুলেছিল সারা দুনিয়ায়। আশির দশকের প্রেক্ষাপটে নির্মিত সিরিজটি যে এই সময়ের তরুণদের পর্দায় বুঁদ করে রাখবে, কে ভেবেছিল! এরপর পেরিয়ে গেছে নয় বছর, সময়ের সঙ্গে ইতিহাস তৈরি করেছে ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’; হয়ে উঠেছে গত এক দশকে পপ কালচারে সবচেয়ে চর্চিত নামগুলোর একটি। গতকাল বৃহস্পতিবার এসেছে সিরিজটির পঞ্চম মৌসুমের প্রথম কিস্তি। মুক্তির আগে থেকেই নতুন কিস্তি নিয়ে নানা আলোচনা, পূর্বাভাস; মুক্তির পরে তো নেটফ্লিক্সের সার্ভার পর্যন্ত ক্র্যাশ করেছে। কী আছে আলোচিত এই সিরিজে?
‘মন্টাউক’ থেকে ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’সিরিজটির নির্মাতা ম্যাট ও রস ডাফার দুই যমজ ভাই। শুরুতে সিরিজটির নাম ছিল ‘মন্টাউক’। ‘আপসাইড ডাউন’-এর আসল নাম ‘নিদার’, কিন্তু সেটে ‘আপসাইড ডাউন’ বলায় সেটিই রেখে দেওয়া হয়। গেটেন, স্যাডি সিঙ্ক আ ক্যালেব ম্যাকলাফলিন আগে থেকেই একে অপরকে চিনতেন; একসঙ্গে মঞ্চে অভিনয় করেছিলেন তাঁরা। দ্বিতীয় মৌসুম মুক্তির পরে প্রথম তিন দিনে গড়ে ৮ দশমিক ৮ মিলিয়ন দর্শক দেখেছিলেন। উইনোনা রাইডারের জন্য বড় সুযোগ; সিরিজটি উইনোনা রাইডারের প্রথম নিয়মিত টিভি চরিত্র এবং তাঁর দীর্ঘদিনের সেরা কাজের মতো হয়ে উঠেছিল। কিন্তু ডাফার ভাইদের মূল পরিকল্পনায় জয়েস বায়ার্সের জন্য নাওমি ওয়াটস বা মারিসা টোমেই ছিল সম্ভাব্য নাম।কী আছে ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এ
হ্যালো, পুরোনো বন্ধুরা—নতুন কিস্তিকে এভাবে স্বাগত জানানো যায়। এ যেন দীর্ঘদিন পরে পুরোনো বন্ধদের সঙ্গে পুনর্মিলন। ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ একদল কিশোর-কিশোরীর গল্প তবে কেন্দ্রে রয়েছে চার বন্ধু—মাইক (ফিন উলফহার্ড), উইল (নোয়া শ্ন্যাপ), লুকাস (কেলেব ম্যাকলখলিন) আর ডাস্টিন (গেটন ম্যাটার্যাজো)।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে তরুণ অবরুদ্ধ, পরে সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা
ফরিদপুরের নগরকান্দায় ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক তরুণকে অবরুদ্ধ করে একদল লোক। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার গোড়াইল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে থানায় আনে।
এদিকে ওই ঘটনার সময় গোড়াইল বাজারের অদূরে ওই তরুণের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করে একদল লোক। এ সময় তারা বাড়ির সামনে একটি পাটখড়ির গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
গ্রেপ্তার তরুণ (২১) গত বছর নগরকান্দা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। বর্তমানে তিনি গোড়াইল বাজারে একটি ফার্মেসিতে সহকারী হিসেবে কাজ করেন। থানায় আনার পর তাঁর বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণ তাঁর ফেসবুক আইডিতে কাবা শরিফের ছবি বিকৃত করে ধর্মীয় অবমাননাকর বাক্য লিখে পোস্ট করেন। গতকাল বিকেলে ওই মন্তব্যের স্ত্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে পরে। সন্ধ্যার পর থেকে গোড়াইল বাজার এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে আশপাশের গ্রাম থেকে লোকজন এসে ওই তরুণের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তখন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই বাজারের কয়েকজন ওষুধের দোকানের সাটার নামিয়ে ওই তরুণকে আটকে রাখেন। এর মধ্যেই বাজারে জনতা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরে বিষয়টি নগরকান্দা থানার পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নগরকান্দার ইউএনও দবির উদ্দিন ও নগরকান্দা থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরিস্থিতি ততক্ষণে উতপ্ত হয়ে ওঠে। ওই ওষুধের দোকান জনতা ঘিরে ফেলে। দোকানের সামনে থেকে হ্যান্ডমাইকে আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য জনতার উদ্দেশে কথা বলেন স্থানীয় আলেম সমাজের প্রতিনিধি ও জনপ্রতিনিধিরা। এ সময় ইউএনও দবির উদ্দিন এক দিনের মধ্যে দৃশ্যমান শাস্তির আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে ওই তরুণকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়।
লস্করদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাত নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হিরু ফকির বলেন, পুলিশ ওই তরুণকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর গোড়াইল বাজার থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার দূরে তাঁর বাড়ির দিকে ছুটে যায় একদল লোক। তারা ওই তরুণের বাড়ি ভাঙচুর করে। ফিরে আসার পথে ওই বাড়ির সামনে একটি পাটখড়ির গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় মানুষের সহায়তায় সেই আগুন নেভানো হয়।
নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাইবার সুরক্ষা আইনের ২৬ ও ২৭ ধারায় ওই তরুণকে আসামি করে মামলা করেছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ওই তরুণের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, সেই স্কিনশর্ট তিনি দেখেছেন। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে নানা ধরনের গুজব ছড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ দল দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটন করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই তরুণের বাড়িতে ভাঙচুরের বিষয়ে ওসি রেজাউল করিম বলেন, ঘটনাটা তেমন বড় কিছু নয়। ওই এলাকায় বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।