গত জুনে কলম্বো টেস্টের পর টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পহেলা নভেম্বর আবার তাকে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০২৭ পর্যন্ত থাকবেন এ দায়িত্বে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৫-২০২৭ চক্র পর্যন্ত বাংলাদেশকে বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে নেতৃত্বে দেবেন তিনি।

গত ২৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট হারের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন নাজমুল। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমার ব্যক্তিগত অভিমত যে, তিনজন অধিনায়ক দলের জন্য সমস্যা হতে পারে। দলের ভালোর জন্য এখান থেকে সরে আসছি। যদি ক্রিকেট বোর্ড মনে করে যে, তিনজন অধিনায়কই রাখবে, এটা তাদের সিদ্ধান্ত।”

কিন্তু, সেই তিন অধিনায়ক যুগেই আবার প্রবেশ করলেন তিনি। লিটন দাস টি-টোয়েন্টির দায়িত্বে। মিরাজকে এক বছরের জন্য দেওয়া হয়েছে ওয়ানডের দায়িত্ব। নাজমুল দুই বছরের জন্য টেস্ট ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেবেন।

কেন আবার দায়িত্ব নিলেন নাজমুল? পেছনের ভাবনা কি ছিল? সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে তার দ্বিতীয় যাত্রার শুরুর আগে সব পরিস্কার করলেন, ‘‘তিন ফরম্যাটে আলাদা অধিনায়ক থাকায় আমি সরে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় আমি ক্লিয়ার এবং কনভিন্সড। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না। যদি হয়ও, বোর্ড আমার পাশে থাকবে। বাকি দুই ক্যাপ্টেনের সঙ্গেও কথা হয়েছে। এই যোগাযোগের কারণেই মনে হয়েছে এখন সব ঠিক আছে।'’

২০২৩ সালে মুমিনুল হকের কাছ থেকে টেস্ট দলের দায়িত্ব নেন নাজমুল। এখন পর্যন্ত ১৪ টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। নেতৃত্ব ছাড়ার সময়টাতে মানসিকভাবে ফুরফুরে ছিলেন শান্ত। নতুন করে দায়িত্ব নেয়ার পেছনে বোর্ডের ইতিবাচক যোগাযোগকেই বড় কারণ হিসেবে দেখছেন তিনি।

‘‘অধিনায়ক ছিলাম না মাঝে অনেকদিন। ভালোই ছিলাম। কিন্তু যেভাবে এবার বোর্ড আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, সেটা আমার ভালো লেগেছে।’’

নাজমুলকে রাজি করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিসিবির সহসভাপতি ফারুক আহমেদকে। প্রায় ঘণ্টাখানেকের আলাপে তাকে পূর্ণ স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিয়েই আবার টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে ফেরানো হয়েছে, ‘‘সাবেক ক্রিকেটাররা এখন বোর্ডে আছেন, তারা যখন একটা পরামর্শ দিচ্ছেন, সেটা দল ও আমার ভালোর জন্যই। সেই আলাপচারিতাকে আমি পুরোপুরি সম্মান দিয়েছি। এক কথায় যদি বলি, আমি ব্যক্তির চেয়ে বাংলাদেশ দলকে আগে রাখা উচিত।’’

ভবিষ্যতে বোর্ডের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পাওয়া নিয়েও আশাবাদী নাজমুল, ‘‘যে সমস্যাগুলো হতে পারে বা যে যে সমস্যা হচ্ছে ওই জিনিসগুলো কীভাবে সবাই মিলে সামলে নিতে পারি, এই বিষয় নিয়ে সবাই নিজের জায়গা থেকে ইতিবাচক ছিলাম। আশা করছি সামনের দিকে খুব ইতিবাচকভাবে দলটা এগোবে। আমি বিশ্বাস করি ক্রিকেট বোর্ড এই জায়গাতে আমাকে পুরোপুরি সমর্থন দেবে।’’

পাশাপাশি দুই ফরম্যাটের বাকি দুই অধিনায়ক নিয়েও নাজমুল তেমন কোনো সমস্যা দেখেন না, ‘‘বাকি যে দুই অধিনায়ক আছে, তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া খুবই ভালো। আমরা একসঙ্গে বসেছিলাম, বসে আলাপ করেছি কীভাবে তিন সংস্করণকে দলকে এগিয়ে নিতে পারি, কোন কোন জায়গায় উন্নতির দরকার আছে। আমরা তিনজনই আশাবাদী দলের যা প্রয়োজন, সেটি ঠিকভাবে বুঝে এগিয়ে নিতে পারব। আমি যে কারণে বিশ্বাস করেছি, ক্রিকেট বোর্ড আমাকে ওই সাহায্যটুকু করবে।’’

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

যে কারণে আবার টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়েছেন নাজমুল

গত জুনে কলম্বো টেস্টের পর টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পহেলা নভেম্বর আবার তাকে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০২৭ পর্যন্ত থাকবেন এ দায়িত্বে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৫-২০২৭ চক্র পর্যন্ত বাংলাদেশকে বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে নেতৃত্বে দেবেন তিনি।

গত ২৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট হারের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন নাজমুল। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমার ব্যক্তিগত অভিমত যে, তিনজন অধিনায়ক দলের জন্য সমস্যা হতে পারে। দলের ভালোর জন্য এখান থেকে সরে আসছি। যদি ক্রিকেট বোর্ড মনে করে যে, তিনজন অধিনায়কই রাখবে, এটা তাদের সিদ্ধান্ত।”

কিন্তু, সেই তিন অধিনায়ক যুগেই আবার প্রবেশ করলেন তিনি। লিটন দাস টি-টোয়েন্টির দায়িত্বে। মিরাজকে এক বছরের জন্য দেওয়া হয়েছে ওয়ানডের দায়িত্ব। নাজমুল দুই বছরের জন্য টেস্ট ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেবেন।

কেন আবার দায়িত্ব নিলেন নাজমুল? পেছনের ভাবনা কি ছিল? সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে তার দ্বিতীয় যাত্রার শুরুর আগে সব পরিস্কার করলেন, ‘‘তিন ফরম্যাটে আলাদা অধিনায়ক থাকায় আমি সরে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় আমি ক্লিয়ার এবং কনভিন্সড। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না। যদি হয়ও, বোর্ড আমার পাশে থাকবে। বাকি দুই ক্যাপ্টেনের সঙ্গেও কথা হয়েছে। এই যোগাযোগের কারণেই মনে হয়েছে এখন সব ঠিক আছে।'’

২০২৩ সালে মুমিনুল হকের কাছ থেকে টেস্ট দলের দায়িত্ব নেন নাজমুল। এখন পর্যন্ত ১৪ টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। নেতৃত্ব ছাড়ার সময়টাতে মানসিকভাবে ফুরফুরে ছিলেন শান্ত। নতুন করে দায়িত্ব নেয়ার পেছনে বোর্ডের ইতিবাচক যোগাযোগকেই বড় কারণ হিসেবে দেখছেন তিনি।

‘‘অধিনায়ক ছিলাম না মাঝে অনেকদিন। ভালোই ছিলাম। কিন্তু যেভাবে এবার বোর্ড আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, সেটা আমার ভালো লেগেছে।’’

নাজমুলকে রাজি করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিসিবির সহসভাপতি ফারুক আহমেদকে। প্রায় ঘণ্টাখানেকের আলাপে তাকে পূর্ণ স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিয়েই আবার টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে ফেরানো হয়েছে, ‘‘সাবেক ক্রিকেটাররা এখন বোর্ডে আছেন, তারা যখন একটা পরামর্শ দিচ্ছেন, সেটা দল ও আমার ভালোর জন্যই। সেই আলাপচারিতাকে আমি পুরোপুরি সম্মান দিয়েছি। এক কথায় যদি বলি, আমি ব্যক্তির চেয়ে বাংলাদেশ দলকে আগে রাখা উচিত।’’

ভবিষ্যতে বোর্ডের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পাওয়া নিয়েও আশাবাদী নাজমুল, ‘‘যে সমস্যাগুলো হতে পারে বা যে যে সমস্যা হচ্ছে ওই জিনিসগুলো কীভাবে সবাই মিলে সামলে নিতে পারি, এই বিষয় নিয়ে সবাই নিজের জায়গা থেকে ইতিবাচক ছিলাম। আশা করছি সামনের দিকে খুব ইতিবাচকভাবে দলটা এগোবে। আমি বিশ্বাস করি ক্রিকেট বোর্ড এই জায়গাতে আমাকে পুরোপুরি সমর্থন দেবে।’’

পাশাপাশি দুই ফরম্যাটের বাকি দুই অধিনায়ক নিয়েও নাজমুল তেমন কোনো সমস্যা দেখেন না, ‘‘বাকি যে দুই অধিনায়ক আছে, তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া খুবই ভালো। আমরা একসঙ্গে বসেছিলাম, বসে আলাপ করেছি কীভাবে তিন সংস্করণকে দলকে এগিয়ে নিতে পারি, কোন কোন জায়গায় উন্নতির দরকার আছে। আমরা তিনজনই আশাবাদী দলের যা প্রয়োজন, সেটি ঠিকভাবে বুঝে এগিয়ে নিতে পারব। আমি যে কারণে বিশ্বাস করেছি, ক্রিকেট বোর্ড আমাকে ওই সাহায্যটুকু করবে।’’

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ