ভূমিকম্প–পরবর্তী পরিস্থিতি নিরীক্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল পরিদর্শন শুরু
Published: 23rd, November 2025 GMT
ভূমিকম্প–পরবর্তী পরিস্থিতি নিরীক্ষণ ও মূল্যায়নের জন্য বুয়েটের অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রকৌশলী দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শন কার্যক্রম শুরু করেছে। আজ রোববার সকালে তারা হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল এবং দুপুরে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল পরিদর্শন করে। এ সময় সংশ্লিষ্ট হল প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষক, ডাকসু ও হল সংসদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য হলও পরিদর্শন করা হবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সূর্য সেন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে সংস্কারকাজ চলমান রয়েছে।
ভূমিকম্পের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে উপাচার্য কার্যালয়সংলগ্ন সভাকক্ষে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলসহ বিভিন্ন হলের পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হল পরিদর্শনের কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রস্তুত করার পর তা সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। কারিগরি মূল্যায়নে ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় চিহ্নিত হলে শিক্ষার্থীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় হল নির্মাণের কাজ আগামী মার্চ মাসে শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গতকালের সভায় বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেশন (বিআরটিসি) প্রণীত ২০০৮ ও ২০১৫ সালের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের অবকাঠামোগত ‘প্রকৌশল কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন’ পর্যালোচনা করা হয়। এসব প্রতিবেদনে এই হলকে বসবাসের উপযোগী বলে নিশ্চিত করা হয়েছিল। বুয়েট বিশেষজ্ঞের পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে হলটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণার যে খবর ছড়ানো হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব বলে সভায় অভিমত প্রকাশ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভূমিকম্পের ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে যান এবং তাঁদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকালের সভায় ১৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনসমূহের মেরামত ও সংস্কার প্রকল্পের কাজ আগামী ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হবে বলে জানানো হয়। এর সঙ্গে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে চলমান ১৭৫টি রুমের সংস্কারকাজও অব্যাহত থাকবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলেছে। ২ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়–সংবলিত এ প্রকল্প পাঁচ বছর মেয়াদি। প্রকল্পের কাজ ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ হবে। এ প্রকল্পের অধীন ছয়টি একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ২ হাজার ৬০০ ছাত্রীর জন্য চারটি আবাসিক হল নির্মাণ, ৫ হাজার ১০০ ছাত্রের জন্য পাঁচটি আবাসিক হল নির্মাণ, এসব হলের জন্য হাউস টিউটর আবাসন–সুবিধা তৈরি, শিক্ষক ও অফিসারদের জন্য দুটি আবাসিক ভবন নির্মাণ, পাঁচটি অন্যান্য ভবন (প্রশাসনিক ভবনসহ) নির্মাণ, চারটি জলাধার সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধন, বিদ্যমান সার্ভিস লাইন মেরামত/সংস্কার, একটি খেলার মাঠ উন্নয়ন, দুটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ এবং ড্রেনেজ সিস্টেম ও ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রকল প র ভ ম কম প স ন হল র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
অভিনয় ছেড়ে ধর্মে মনোযোগী অভিনেত্রী
শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকাই ঝলমলে দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে ধর্মে মনোযোগী হয়েছেন। এ তালিকায় এবার যুক্ত হলেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার প্রবীণ অভিনেত্রী তুলসী। তামিল, তেলেগু ও কন্নড় চলচ্চিত্রে মমতাময়ী মায়ের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সুপরিচিত এই শিল্পী আনুষ্ঠানিকভাবে সিনেমা থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দশকের পর দশক ধরে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী তুলসী। হঠাৎ ভক্তদের চমকে দিয়ে এ অভিনেত্রী ঘোষণা দিয়েছেন—সিনেমা ছেড়ে সাই বাবার সেবায় জীবন উৎসর্গ করতে চান।
আরো পড়ুন:
ডিম্বাণু সংরক্ষণ: কটাক্ষের মুখে নীরবতা ভাঙলেন রাম চরণের স্ত্রী
বারাণসী: বাজেট ১৮০৩ কোটি, প্রচারে ব্যয় ২৭৭ কোটি টাকা!
৫৮ বছর বয়েসি তুলসী তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লেখেন, “আগামী ৩১ ডিসেম্বর শিরডি দর্শনের মাধ্যমে আমি নিজেকে শুভ অবসর জানাচ্ছি। সাইনাথার সঙ্গে শান্তিতে আমার পথচলা চালিয়ে যাব। সাইরামের জীবন শিখতে সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।” যদিও পরবর্তীতে এই পোস্ট মুছে ফেলেন এই অভিনেত্রী। কেন এটি মুছে ফেলেছেন, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তুলসী।
তুলসীর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার নিঃসন্দেহে অনন্য। ১৯৬৭ সালে তেলেগু ভাষার ‘ভারিয়া’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম পর্দায় পা রাখেন এই অভিনেত্রী। ১৯৭৩ সালে কে. বালাচন্দারের ক্ল্যাসিক ঘরানার ‘আরঙ্গগেট্রাম’ সিনেমার মাধ্যমে শিশুশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর ‘সীতামালক্ষ্মী’ (১৯৭৮), ‘শঙ্করাভরনম’ (১৯৭৯), ‘মুদ্দা মান্দারাম’ (১৯৮১)–এর মতো যুগান্তকারী সিনেমায় অভিনয় করেন তুলসী।
পরবর্তীতে স্নেহময়ী মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন তুলসী। ভারতীয় সিনেমার বহু কিংবদন্তি অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে পর্দা ভাগ করেছেন। এ তালিকায় রয়েছেন—কমল হাসান, রজনীকান্ত, মোহনলাল, চিরঞ্জীবী, বিজয় সেতুপতি, থালাপাতি বিজয় প্রমুখ। তার অভিনীত সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে—‘মিস্টার পারফেক্ট’, ‘শ্রীমানথুড়ু’, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘মহানটি’, ‘ডিয়ার কমরেড’ প্রভৃতি।
ঢাকা/শান্ত