কেন হয় ব্যথা

এই ব্যথা হওয়ার প্রধান কারণ ট্রমা বা আঘাত। সাধারণত হাড় ভাঙা, মচকানো, অস্ত্রোপচার–পরবর্তী জটিলতা থেকে এই সিআরপিএস দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি আরও কিছু শারীরবৃত্তীয় কারণও ভূমিকা রাখে, যেমন—

নার্ভ ইনজুরি: আঘাতের ফলে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যথা অস্বাভাবিকভাবে তীব্র হতে পারে।

অস্বাভাবিক প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়া: আঘাতের পর শরীরের স্বাভাবিক প্রদাহ প্রক্রিয়া অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে ব্যথাকে বাড়িয়ে তোলে।

অটোইমিউন কারণ: কিছু ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা ভুল করে নিজের নার্ভ ও টিস্যুর ওপর আক্রমণ চালায়। ফলে ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়।

আরও পড়ুনপা ফাটা দূর করার উপায়১৮ নভেম্বর ২০২৫লক্ষণ বা উপসর্গ

তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা।

স্পর্শে অতিসংবেদনশীলতা।

অল্প ব্যথা বেশি অনুভূত হওয়া।

ত্বকের রং পরিবর্তন (লাল, নীলচে, ফ্যাকাশে)।

ফোলা।

ঘাম বেশি হওয়া।

ত্বক পাতলা বা চকচকে হয়ে যাওয়া।

নখ ও চুলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।

পেশির দুর্বলতা ও জয়েন্ট স্টিফনেস।

প্রতিরোধে করণীয়

আঘাত বা ফ্র্যাকচার হলে দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে।

ব্যথা নিয়ন্ত্রণে নজর দিতে হবে।

অপ্রয়োজনীয় নিষ্ক্রিয়তা এড়ানো।

অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসন বা রিহ্যাবিলিটেশন।

আরও পড়ুনতলপেটে ব্যথা হওয়ার কারণ৩০ অক্টোবর ২০২৫ফিজিয়াট্রিক ব্যবস্থাপনা

নিউরোপ্যাথির ব্যথা কমানোর ওষুধ, স্টেরয়েড, বিসফসফোনেট ইত্যাদি।

ফিজিক্যাল থেরাপি: ডিসেনসিটাইজেশন টেকনিক (তুলা, ভাইব্রেশন ইত্যাদি দিয়ে স্পর্শ সহ্য করার প্রশিক্ষণ)।

গ্রেডেড মোটর ইমাজারি অ্যান্ড মিরর থেরাপি।

রেঞ্জ অব মোশন এক্সারাইজ, টারমিনাল স্ট্রেচিং।

স্ট্রেদেনিং ও ফাংশনাল ট্রেনিং।

আলট্রাসাউন্ড।

ওয়াক্স বাথ।

গরম বা ঠান্ডা সেঁক, কনট্রাস্ট বাথ।

সিমপ্যাথেটিক ব্লক, স্পাইনাল কর্ড স্টিমুলেশন।

জয়েন্ট প্রটেকশন বা অতিরিক্ত চাপ এড়ানো।

অ্যাডাপটিভ টুলস ব্যবহার—যেমন হালকা ওজনের কিচেন টুলস, হ্যান্ডেল।

কাজ ভাগ করে করা, বিশ্রামের সময় রাখা।

ছোট ধাপে কাজ করা—এক হাতে করা কাজ দুই হাতে ভাগ করা।

পোশাক পরা, গোসল, রান্না ইত্যাদিতে সাহায্যকারী কৌশল।

ডা.

সাকিব আল নাহিয়ান, সহকারী অধ্যাপক, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা

আরও পড়ুনজাপানিদের দীর্ঘায়ুর রহস্য: কেন তারা খাওয়ার সময় পেটের ২০ শতাংশ খালি রাখে৮ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে ২০২৬ সালে ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণিতে ভর্তি, আসন ৮৯১

রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাউশির নির্দেশনায় ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণিতে ছাত্রছাত্রী ভতি৴ করা হবে। বাংলা মাধ্যম ও ইংরেজি ভার্সন, প্রভাতি ও দিবা শিফটে ভতি৴ করা হবে। ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণিতে মোট আসনসংখ্যা ৮৯১।

মাউশির নির্দেশনায় যে শ্রেণিতে ভর্তি করা হবে—

১. ষষ্ঠ শ্রেণি: বাংলা মাধ্যম, প্রভাতি শিফট। আসনসংখ্যা—১৫১।

২. ষষ্ঠ শ্রেণি: ইংরেজি ভার্সন, প্রভাতি শিফট। আসনসংখ্যা—১৬৩।

৩. ষষ্ঠ শ্রেণি: বাংলা মাধ্যম, দিবা শিফট। আসনসংখ্যা—১৫৫।

৪. ষষ্ঠ শ্রেণি: ইংরেজি ভার্সন, দিবা শিফট। আসনসংখ্যা—১৬২।

৫. নবম শ্রেণি—বিজ্ঞান: বাংলা মাধ্যম, প্রভাতি শিফট। আসনসংখ্যা—৭১।

৬. নবম শ্রেণি—বিজ্ঞান: ইংরেজি ভার্সন, প্রভাতি শিফট। আসনসংখ্যা—৬১।

৭. নবম শ্রেণি—বিজ্ঞান: বাংলা মাধ্যম, দিবা শিফট। আসনসংখ্যা—৭৬।

৮. নবম শ্রেণি—বিজ্ঞান: ইংরেজি ভার্সন, দিবা শিফট। আসনসংখ্যা—৫২।

আরও পড়ুনএলোমেলো শিক্ষা খাত, বাড়ছে সংকট৬ ঘণ্টা আগে

অনলাইনে আবেদনের তারিখ—

অনলাইনে আবেদনের তারিখ: ২১ নভেম্বর ২০২৫, বেলা ১১টায় শুরু হয়ে ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ—

ফরম পূরণ করতে হবে: মাউশির নির্ধারিত https://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে আবেদন ফরম পূরণ এবং সাবমিট করতে হবে।

ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য আবেদনের যোগ্যতা—

১. ২০২৫ সালে পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। অনলাইন ভেরিফায়েড জন্মসনদ অনুয়ায়ী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে হতে হবে।

২. পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় ন্যূনতম গড় নম্বর ৭৮ শতাংশ এবং বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে আলাদাভাবে ৮০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।

৩. ভর্তি পরীক্ষার সময় অবশ্যই বার্ষিক পরীক্ষার মার্কশিট এবং টেবুলেশনশিট সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুনপড়ালেখা শেষে অস্ট্রেলিয়ায় ওয়ার্ক ভিসা পেতে করণীয় কী১৯ নভেম্বর ২০২৫অনলাইনে আবেদনের তারিখ: ২১ নভেম্বর ২০২৫, বেলা ১১টায় শুরু হয়ে ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ বিকেল ৫টা পর্যন্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ