রাজধানী ঢাকার বায়ুর মানের কোনো উন্নতি হচ্ছে না। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর। অবশ্য আজ ঢাকার চেয়ে দুই বিভাগীয় শহর খুলনা ও রাজশাহী বায়ুর মান খারাপ।

সকাল সোয়া আটটার দিকে ঢাকার বায়ুর মান ১৬১। বায়ুর এই মানকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বায়ুর মান ২০০-এর বেশি হলে তাকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর ৩০০-এর বেশি হলে তা হয় দুর্যোগপূর্ণ। বায়ুদূষণে আজ বিশ্বের নগরীগুলোর মধ্যে শীর্ষে ভারতের নয়াদিল্লি, বায়ুর মান ৩৮৪।

বায়ুদূষণের এই পরিস্থিতি তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের অবস্থা নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়, সতর্ক করে।

বিভাগীয় শহরগুলোর কী অবস্থা

আজ বায়ুমানের নিরিখে বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা খুলনার। এই নগরীর বায়ুর মান আজ ২৩৭। গতকাল বুধবার একই সময় উপকূলীয় এই শহরের বায়ুর মান ছিল ২৭৭।

বায়ুদূষণে আজ খুলনার পরে আছে রাজশাহী। উত্তর জনপদের এই শহরের বায়ুর মান ১৬৭। ময়মনসিংহের বায়ুর মান ১৪৩, রংপুর ১৪২, বরিশাল ১৩৫, সিলেট ৮৮, চট্টগ্রামের ৭৮।

গবেষকেরা বলছেন, বায়ুদূষণ একেবারে দেশজুড়ে ছড়িয়ে গেছে। কিন্তু বায়ুদূষণ কমানোর বিষয়টি রাজধানীর ক্ষেত্রে যতটা প্রাধান্য পায়, অন্য শহরগুলো ততটা পায় না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রাজধানীর চেয়ে অন্য শহরগুলোর বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি।

ঢাকার যে ৫ স্থানে বায়ুদূষণ বেশি

আজ ঢাকার যে পাঁচ স্থানের বায়ু খুব অস্বাস্থ্যকর, সেগুলো হলো—ইস্টার্ন হাউজিং (১৯৮), দক্ষিণ পল্লবী (১৮৪), গোড়ান (১৬৯), বে’জ এজ ওয়াটার (১৫৬) ও বেচারাম দেউড়ী (১৫৩)।

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে ঢাকা বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষের দিকে থাকছে। ঢাকার বায়ুমান খুব অস্বাস্থ্যকর দেখা যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই।

নগরবাসীর জন্য সতর্কতা

বায়ুদূষণ সব মানুষের জন্য সমান ক্ষতিকর। ঢাকার বায়ুদূষণের মূল উপাদান বাতাসে ভেসে বেড়ানো অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.

৫। এই দূষণের উৎস হলো ধুলাবালু, যানবাহন বা কলকারখানার দূষিত ধোঁয়া, বর্জ্য পোড়ানোর ধোঁয়া ইত্যাদি। মানুষের নিশ্বাসের সঙ্গে এসব ফুসফুসে প্রবেশ করে। শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমাসহ নানা জটিল রোগ হতে পারে এই দূষণের কারণে।

আইকিউএয়ারের বায়ুদূষণের বার্তায় নগরবাসীর জন্য বেশ কিছু সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো বাইরে বেরোলে অবশ্যই সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যথাসম্ভব কমাতে হবে। ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ভ গ য় শহর শহর র ব শহরগ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকাসহ ৮ বিভাগীয় শহরের বায়ুদূষণ পরিস্থিতি কেমন, দেখে নিন

রাজধানী ঢাকার বায়ুর মানের কোনো উন্নতি হচ্ছে না। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর। অবশ্য আজ ঢাকার চেয়ে দুই বিভাগীয় শহর খুলনা ও রাজশাহী বায়ুর মান খারাপ।

সকাল সোয়া আটটার দিকে ঢাকার বায়ুর মান ১৬১। বায়ুর এই মানকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বায়ুর মান ২০০-এর বেশি হলে তাকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর ৩০০-এর বেশি হলে তা হয় দুর্যোগপূর্ণ। বায়ুদূষণে আজ বিশ্বের নগরীগুলোর মধ্যে শীর্ষে ভারতের নয়াদিল্লি, বায়ুর মান ৩৮৪।

বায়ুদূষণের এই পরিস্থিতি তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের অবস্থা নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়, সতর্ক করে।

বিভাগীয় শহরগুলোর কী অবস্থা

আজ বায়ুমানের নিরিখে বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা খুলনার। এই নগরীর বায়ুর মান আজ ২৩৭। গতকাল বুধবার একই সময় উপকূলীয় এই শহরের বায়ুর মান ছিল ২৭৭।

বায়ুদূষণে আজ খুলনার পরে আছে রাজশাহী। উত্তর জনপদের এই শহরের বায়ুর মান ১৬৭। ময়মনসিংহের বায়ুর মান ১৪৩, রংপুর ১৪২, বরিশাল ১৩৫, সিলেট ৮৮, চট্টগ্রামের ৭৮।

গবেষকেরা বলছেন, বায়ুদূষণ একেবারে দেশজুড়ে ছড়িয়ে গেছে। কিন্তু বায়ুদূষণ কমানোর বিষয়টি রাজধানীর ক্ষেত্রে যতটা প্রাধান্য পায়, অন্য শহরগুলো ততটা পায় না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রাজধানীর চেয়ে অন্য শহরগুলোর বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি।

ঢাকার যে ৫ স্থানে বায়ুদূষণ বেশি

আজ ঢাকার যে পাঁচ স্থানের বায়ু খুব অস্বাস্থ্যকর, সেগুলো হলো—ইস্টার্ন হাউজিং (১৯৮), দক্ষিণ পল্লবী (১৮৪), গোড়ান (১৬৯), বে’জ এজ ওয়াটার (১৫৬) ও বেচারাম দেউড়ী (১৫৩)।

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে ঢাকা বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষের দিকে থাকছে। ঢাকার বায়ুমান খুব অস্বাস্থ্যকর দেখা যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই।

নগরবাসীর জন্য সতর্কতা

বায়ুদূষণ সব মানুষের জন্য সমান ক্ষতিকর। ঢাকার বায়ুদূষণের মূল উপাদান বাতাসে ভেসে বেড়ানো অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এই দূষণের উৎস হলো ধুলাবালু, যানবাহন বা কলকারখানার দূষিত ধোঁয়া, বর্জ্য পোড়ানোর ধোঁয়া ইত্যাদি। মানুষের নিশ্বাসের সঙ্গে এসব ফুসফুসে প্রবেশ করে। শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমাসহ নানা জটিল রোগ হতে পারে এই দূষণের কারণে।

আইকিউএয়ারের বায়ুদূষণের বার্তায় নগরবাসীর জন্য বেশ কিছু সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো বাইরে বেরোলে অবশ্যই সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যথাসম্ভব কমাতে হবে। ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ