2025-05-30@10:58:49 GMT
إجمالي نتائج البحث: 535

«ক দলগ ল র»:

    উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ছাড়াই যে ১২১টি সংস্কার প্রস্তাবকে ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য’ ঘোষণা করেছিল, গত আড়াই মাসেও সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ থেকে উপদেষ্টা পরিষদ এই সুপারিশগুলো নিজেরা সরাসরি বাস্তবায়নের জন্য বাছাই করে। কিন্তু এ নিয়ে দীর্ঘদিন আর কোনো অগ্রগতির তথ্য পাওয়া যায়নি। সাম্প্রতিক সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলছে। সংস্কার-নির্বাচন বিতর্ক এখন জাতীয় বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ১২১টি সুপারিশের বাইরের বিভিন্ন সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রথম দফার আলোচনা শেষ করেছে। সেখানে মৌলিক কিছু বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। শিগগির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে বলে কমিশন জানিয়েছে।       কিন্তু সরকার নিজেরা যে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে, সেগুলোর অগ্রগতি কেমন? সর্বশেষ খোঁজ...
    জুনের প্রথম সপ্তাহে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হলেই জুলাই সনদ তৈরি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, কমিশন কতগুলো মৌলিক সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও আলাপ-আলোচনা করতে হবে। আশা করি, জুলাইয়ের মধ্যে একটি নাগরিক সনদ করতে পারব।  বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। জনগণের প্রত্যাশা যাচাইয়ের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপের অংশ হিসেবে এ আয়োজন করা হয়। আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় সনদের প্রধান উদ্দেশ্য হলো নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণ, ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর করা। আমরা এ সনদ প্রণয়নের মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে রাজনৈতিক...
    ইউনূস সরকারের সঙ্গে বিএনপির এবারই প্রথম মুখোমুখি বিরোধ হলো। বেশ কয়েক মাস ধরে বিএনপি নির্বাচনের সময়সূচি ও সরকারে জুলাই আন্দোলনের দুই উপদেষ্টাদের নিয়ে অসোন্তষ জানিয়ে আসছিল। তবে প্রবীণ নেতারাসহ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও চাচ্ছিলেন না, এত শিগগিরই ইউনূস সরকারের সঙ্গে মুখোমুখি বিরোধে লিপ্ত হতে।যেটা শুরু হয়েছিল ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি নিয়ে, বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের অংশগ্রহণে তা শেষ পর্যন্ত হয়ে গেল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার আন্দোলনে। সমাজের সব স্তর থেকে নির্বাচন নিয়ে নানা অভিমত শোনা গেল। সেনাবাহিনীর অফিসার্স অ্যাড্রেসেও তা নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানা গেল। যে তিন পক্ষের অভিমত বেশি আলোচনায় এল, তারা হলো—সরকার, বিএনপি ও এনসিপি। সঙ্গে যোগ হলেন সেনাপ্রধান।অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিরক্ত হলেন। অনেকে বলবেন, বিচলিতও হয়ে পদত্যাগ করার অভিপ্রায়...
    প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনাকে কেন্দ্র করে ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্য, বিএনপি ও এনসিপির পাল্টাপাল্টি অবস্থান, অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগ ভাবনা—সব মিলিয়ে কয়েক দিন ধরে দেশ একধরনের অনিশ্চয়তার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। অনিশ্চয়তা কাটাতে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে নানা তৎপরতা চলছে। তবে সরকার, রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে যে মতভিন্নতা তৈরি হয়েছে, সেটা কমেনি। কার্যত সব পক্ষ যার যার অবস্থানে অনড়। এমন অবস্থায় যেকোনো অনভিপ্রেত ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল ও কঠিন করে তুলতে পারে।নির্বাচনের রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করা নিয়ে সরকারের সঙ্গে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির দূরত্ব দিন দিন বাড়ছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দূরত্বের কথাও জনপরিসরে আলোচনা হচ্ছে। এ ছাড়া বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য দলগুলোর মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। দলগুলোর মধ্যে...
    দুপুর থেকে গোটা কাওরানবাজার এলাকাটি  স্থবির হয়ে আছে। কোনো গাড়ি চলছে না। স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চললেও একটু এগোচ্ছে তো, আবার থেমে যাচ্ছে। প্রখর রোদ ও প্রচণ্ড গরমে গণপরিবহনের ভেতরে মানুষ ঘেমেনেয়ে একাকার। অনেকে যানবাহন থেকে নেমে হাঁটা ধরেছে। কাওরানবাজারের পূর্ব দিকে হাতিরঝিলের মুখের সামান্য আগে নেমেছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। সেখান থেকে শুরু করে মগবাজার এলাকায়ও একই পরিস্থিতি; বরং আগে যে পরিস্থিতি কখনো দেখা যায়নি, তা হলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে পার্কিং করে রাখা বাস। মূলত যানজটের কারণে বাসগুলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপরেই আটকে পড়েছিল। যাই হোক, ফলে কয়েক ঘণ্টা ধরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটিও অনেকটা স্থবির হয়ে যায়।রাজধানী ঢাকা শহর কখন কী কারণে এমন স্থবির হয়ে যায়, রাস্তায় নামা ছাড়া তা বোঝা মুশকিল। তবে যে কেউ ধারণা করে নেন যে হয়তো কোথাও আন্দোলন-মিছিল বা...
    রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিল‌ম্বের অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ নয় মন্তব্য ক‌রেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপ‌দেষ্টা আ‌সিফ নজরুল। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হ‌য়ে‌ছে।  রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের স্বার্থে রাজ‌নৈ‌তিক দলগু‌লো‌কে তাদের প্রেরিত সব মামলার এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিট আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির কা‌ছে জমা দেওয়ার অনু‌রোধ জা‌নিয়েছেন তি‌নি। আরো পড়ুন: আম রপ্তানি বাড়াতে সরকার কাজ করছে: কৃষি উপদেষ্টা জাপান পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা বুধবার (২৮ মে) নি‌জের ভে‌রিফাইড ফেসবুক পে‌জে তি‌নি এ অনুরোধ জানান।  আ‌সিফ নজরুল ব‌লেন, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে বিলম্বের অভিযোগ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ নয়। এ ধরনের মামলা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের...
    হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্রুত প্রত্যাহারের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের পাঠানো সব মামলার এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযোগপত্র আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে অবিলম্বে দাখিলের অনুরোধ করা হচ্ছে। এতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিলম্বের অভিযোগ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ নয়। এ ধরনের মামলা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি ২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গঠিত হওয়ার পর থেকে নিয়মিত সভায় মিলিত হচ্ছে। এসব সভায় মামলা প্রত্যাহারসংক্রান্ত জেলা পর্যায়ের কমিটি এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পাঠানো তালিকা ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ...
    হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা আহ্বান সংবাদ বিজ্ঞপ্তি; ঢাকা (২৮ মে,২০২৫) : সেকশন: বাংলাদেশ: ট্যাগ: ছবি: ক্যাপশন: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় একসাপট ‍+ সোশ্যাল: মেটা: হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্রুত প্রত্যাহারের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের পাঠানো সব মামলার এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযোগপত্র আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে অবিলম্বে দাখিলের অনুরোধ করা হচ্ছে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিলম্বের অভিযোগ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ নয়। এ ধরনের মামলা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি ২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গঠিত...
    ‘দেশে একটা দল কেবলই নির্বাচন নির্বাচন করছে। যারা নির্বাচনের জিকির তুলেছে, তাদের অতীত আমরা জানি। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়সীমা আর বিএনপির দাবি করা সময়সীমার মাঝে পার্থক্য মাত্র ছয় মাস।’ এই ছয় মাসের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের ওপরে চাপ প্রয়োগ করাকে জাতি ভালোভাবে দেখছে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর।মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চরমোনাই পীর এ কথা বলেন। পরে দলটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। চরমোনাই পীর বলেন, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লাখো মানুষের আত্মত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার পর ৫৪ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু আমরা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার পাইনি; বরং বাংলাদেশকে বিশ্বের সেরা দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে বিগত সরকারগুলো।’সৈয়দ...
    শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নাগরিকদের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ এবং নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতার মুখে পড়েছে।গত বছর ছাত্রদের নেতৃত্বে প্রাণক্ষয়ী বিক্ষোভের মুখে দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এরপর জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানানো সত্ত্বেও প্রতিশ্রুত সংস্কারে বিলম্ব, ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ এবং রাজনৈতিক বিভাজনের মুখে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।বাংলাদেশে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা তৈরির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কারণ এখানে তুলে ধরা হলো:নির্বাচন বিতর্কডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস। তবে এখনো নির্বাচন আয়োজনে সুনির্দিষ্ট তারিখ জানায়নি অন্তর্বর্তী সরকার।সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। গত সপ্তাহে দলটি বলেছে, একটি সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী পরিকল্পনা ছাড়া অধ্যাপক ইউনূসের সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখা ‘কঠিন’...
    ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো সংসদীয় গণতন্ত্রই চায়। সংস্কার কার্যক্রমে অংশ নেওয়া এমন ছয়টি দলের কেউই শরিয়াহভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা, খেলাফত রাষ্ট্র চায়নি। ঐচ্ছিক শরিয়াহ আদালত স্থাপনের প্রস্তাব করেছে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন। বাকি দলগুলো বিদ্যমান ব্যবস্থা অব্যাহত রেখে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতের প্রস্তাব করেছে। এর বাইরে ঐচ্ছিক শরিয়াহ আদালত চেয়েছে আন্দালিব রহমান পার্থর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)। সংবিধানের মূলনীতিতে বহুত্ববাদ যুক্তের সুপারিশে একমত হয়নি ইসলামপন্থি দলগুলো। ধর্মভিত্তিক সব দল সংবিধানের মূলনীতিতে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা’ পুনর্বহালের প্রস্তাব করেছে। কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী আইন প্রণয়ন না করার প্রস্তাব করেছে দলগুলো। কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথাও বলেছে। সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশনে লিখিত মতামত জানায় জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিস। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে এই তিন...
    বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতি বহাল রাখার পক্ষে বাম দলগুলো। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগের জন্য জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের সুপারিশেও সায় নেই তাদের। স্থানীয় নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচন চায় তারা। সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম থাক– এটি চায় না বাম দলগুলো। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশ জাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) এবং গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যভুক্ত চারটি দল প্রথম দফার সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে এসব মতামত জানিয়েছে।   সংবিধান সংস্কার কমিশনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপিসহ কয়েকটি দল সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে কী পরিবর্তন চায়, তা জানিয়ে বিস্তারিত প্রস্তাব দিলেও বাম দলগুলো তা দেয়নি। ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেডশিটে পাঁচ সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশে লিখিত ও মৌখিক মতামত দিয়েছে তারা। সংলাপে সিপিবি ও বাসদ বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতি– জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও...
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ ইস্যু আপাতত নিরসন হয়েছে মনে হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাঁর যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে– এটা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে সবাই তাঁর দায়িত্ব পালনের পক্ষে মত দিলেও দলগুলোর ভিন্ন ভিন্ন দাবি বলছে অন্য কথা। বিএনপি ও তার মিত্ররা যেখানে স্পষ্ট করে বলছে– গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই, সেখানে জামায়াত ও এনসিপি চুপ থাকছে কিংবা সরকারের পক্ষে কথা বলছে। দুটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যুতে এক প্রকার বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়েছে সরকার ও অন্যরা। সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হঠাৎ বলে ফেললেন, সরকার আরাকানে মানবিক করিডোর দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম সফরে গিয়ে বললেন, বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে বন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে...
    প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতাদের বৈঠকের পরেও সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসায় হতাশা প্রকাশ করেছে বিএনপি। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ডিসেম্বরের মধ্যে একটি জাতীয় সংসদ গঠনের জন্য অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে দলটি।তা না হলে বিএনপির পক্ষে এই সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে সতর্ক করেছে বিএনপি। একইসঙ্গে দলটি বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর উপদেষ্টা পরিষদের এক বিবৃতিতে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তা অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর। মূলত সরকার পরিচালনায় নিরপেক্ষতার ঘাটতি ও দুর্বলতা থাকায় জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে।আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতারা এসব কথা বলেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের...
    জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর জনসাধারণের আকাশচুম্বী প্রত্যাশা নিয়ে এই অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু হয়। সেই সঙ্গে জনমনে এই ভাবনাও তৈরি হয় যে এবার আমরা পারব তো? অন্তর্বর্তী সরকার যে এই প্রত্যাশা যথাযথভাবে মেটাতে পারছে, সেটা খুব জোর গলায় বলা যাচ্ছে না। একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের পর ক্ষমতা গ্রহণ ও জনগণের সব প্রত্যাশা পূরণ খুব সহজ কাজ নয়।আমাদের মধ্যে একটি দৃঢ় ধারণা ছিল যে এবার প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গড়ে তোলা যাবে। সেই পথে আমরা কতটা সফল হতে পারছি, তা সময়ই বলে দেবে। তবে সাম্প্রতিক কিছু বিষয় জনসাধারণের মধ্যে সেই পথে হাঁটার দ্বিধা ও কিছু হতাশা তৈরি করেছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এমনই সময় প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের আলোচনা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরত যাওয়ার চলমান সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে।আরও পড়ুনঅধ্যাপক ইউনূস থাকছেন, সংকট...
    রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুনের প্রথম সপ্তাহে সংস্কার কাজ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আলোচনা শুরু করবে ঐকমত্য কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এই আলোচনার উদ্বোধন করবেন। গত ১৯ মে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম দফা আলোচনা শেষ হয়। সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ঐকমত্য কমিশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় ঐকমত্য কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। খবর বাসসের এসময় সংস্কার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি নাগরিক সমাজ ও তৃণমূলের সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করে জনসচেতনতা বাড়িয়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণকে নির্বাচনমুখী করতে হবে। কেউ যেন ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিতে না পারে সেই বিষয়ে নাগরিকদের সচেতন করতে হবে। শৃঙ্খলা আনতে হবে,...
    প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে সংসদের প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন (এনসিসি), প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ দুইবার করাসহ মৌলিক সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলো এখনও একমত হতে পারেনি। কীভাবে সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে, তা নিয়েও তাদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারে ১৬৬ সুপারিশের অধিকাংশে রাজনৈতিক দলগুলো একমত বা আংশিক একমত হয়েছে। আনুপাতিক উচ্চকক্ষ ও এনসিসি গঠন এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হ্রাসের যেসব সুপারিশকে মৌলিক সংস্কার বলা হচ্ছে, সেগুলোতে প্রধান প্রধান দল পুরোপুরি বিপরীত অবস্থানে রয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সমকালকে বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু হবে। প্রথম ধাপের সংলাপে ৩৩টি দল ও জোট আন্তরিকতার সঙ্গে অংশ নিয়েছে; নিজেদের মতামত জানিয়েছে। যেসব মৌলিক জায়গায়...
    সাংবিধানিক সংস্কার প্রশ্নে বিএনপির বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে তার সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারী মিত্র দলগুলো। ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষ, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানো, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন এবং এর মাধ্যমে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশে বিএনপি রাজি না হলেও তার মিত্ররা রাজি। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোকে নিয়ে বিএনপি ২০২৩ সালের জুলাইয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা ঘোষণা করেছিল। আগামী নির্বাচনে এই জোট জয়ী হলে জাতীয় সরকার গঠনেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা।  বিএনপির মিত্র দলগুলো হলো– গণঅধিকার পরিষদ, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এনডিএম, ১২ দলীয় জোট ও ১২টি দলের জাতীয়তাবাদী জোট।  এর মধ্যে দুই জোট বিএনপির পথে হাঁটলেও বাকিদের ভিন্নমত আছে। মিত্র হয়েও সংস্কারে বিএনপির বিপরীতে অবস্থান বিষয়ে দলগুলোর নেতারা জানিয়েছেন, নিজস্ব রাজনৈতিক অবস্থান থেকে তারা মতামত দিয়েছেন। আনুপাতিক পদ্ধতির উচ্চকক্ষ না হলে ছোট দলগুলো সংসদীয়...
    সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু হবে জুনের প্রথম সপ্তাহে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই আলোচনার উদ্বোধন করবেন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঐকমত্য কমিশনের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ১৯ মে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম দফার আলোচনা শেষ হয়।প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংস্কারপ্রক্রিয়া ও নির্বাচন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি নাগরিক সমাজ ও তৃণমূলের সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করে জনসচেতনতা বাড়িয়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। ঐকমত্য কমিশনের সভায় অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে...
    রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুনের প্রথম সপ্তাহে বা ঈদের আগে সংস্কার কাজ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আলোচনা শুরু করবে ঐকমত্য কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এই আলোচনার উদ্বোধন করবেন। গত ১৯ মে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম দফায় আলোচনা শেষ হয়। সোমবার (২৬ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঐকমত্য কমিশনের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় ঐকমত্য কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। আরো পড়ুন: প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন ৩০ জুনের ওই পারে যাবে না, সবাই সন্তুষ্ট: প্রেস সচিব এ সময় সংস্কার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি নাগরিক সমাজ ও তৃণমূলের...
    একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) যেসব ফ্র্যাঞ্চাইজি এখনো খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পরিশোধ করেনি, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর যেসব দল খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধ করেছে, তাদের দেওয়া হবে বিপিএলের টিকিট বিক্রি থেকে আয়ের একটি অংশ। আজ এক সভা শেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। বিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।  আরও পড়ুন৪২৬ রানে ‘মিস্টার এক্সট্রা’ ৯২, তাড়া করতে নেমে ২ রানে অলআউট৩ ঘণ্টা আগেবিপিএল নিয়ে বিতর্ক অবশ্য নতুন কিছু নয়। প্রতি আসরেই দেখা যায়, বিপিএল শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু বিতর্ক শেষ হচ্ছে না। এবার বিপিএল চলাকালে পারিশ্রমিক নিয়ে সবচেয়ে বেশি জটিলতায় পড়েছিল দুর্বার রাজশাহী। এ ছাড়া আরও দু–একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নিয়েও একই প্রশ্ন ওঠে। খেলোয়াড়দের অনুশীলন বর্জনের মতো ঘটনাও ঘটে। একটি ম্যাচে...
    মধ্য জুলাইয়ে ‘জুলাই সনদ’ হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। মৌলিক সংস্কারে জনমত জরিপ করা হবে। প্রথম ধাপের সংলাপে যেসব মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি, সেগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয়ধাপের সংলাপ ৪ জুন ঈদের ছুটির আগেই শুরু হবে।  সোমবার জাতীয় সংসদে সংবাদ সম্মেলনে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেছেন। তিনি জানান, পাঁচ সংস্কার কমিশনের ১৬৬ সুপারিশের বিষয়ে মতামত নিতে ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে ৪৫টি বৈঠক করেছে কমিশন। গড়ে সাড়ে চার ঘণ্টা করে বৈঠক হয়েছে।  প্রথম ধাপের সংলাপে অধিকাংশ দল আনুপাতিক পদ্ধতি উচ্চকক্ষ গঠন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের মাধ্যমে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ দুইবারে সীমাবদ্ধ করার সুপারিশে একমত হয়েছে। তবে বিএনপিসহ কয়েক দল এ...
    বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক সংস্কার প্রশ্নে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ হয় ১৯ মে। এ আলোচনার অগ্রগতি জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, বিচারপতি এমদাদুল হক, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, যেসব বিষয়ে এ পর্বে ঐকমত্য হয়নি বা দলগুলোর অবস্থান কাছাকাছি, সেসব বিষয়ে দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা হবে। শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা শুরু হবে। দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার মধ্য দিয়ে জুলাই...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনার মধ্য দিয়ে আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব।  সোমবার রাজধানীর সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্য অগ্রগতি বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।  মত বিনিময় সভায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ কমিশনের কার্যক্রম সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এতে বলা হয়, সংস্কার প্রস্তাব বিষয়ক ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদনসমূহ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে গত ৫ মার্চ কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে নির্বাচিত ১৬৬টি সুপারিশ দলগুলোর মতামতের জন্য প্রেরণ করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখিত সুপারিশগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত ৭০টি, নির্বাচন ব্যবস্থা ২৭টি, বিচার বিভাগ ২৩টি, জনপ্রশাসন ২৬টি এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংক্রান্ত...
    প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস দুদিন ধরে অনেকগুলো রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। প্রথম দিন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির নেতারা দেখা করেছেন। পরদিন ১৯ নেতা কথা বলেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন। সেই সঙ্গে সরকারের অবস্থানও জানতে চেয়েছেন। তবে তাঁদের কথায় যে অভিন্ন সুর ছিল সেটা হলো, মুহাম্মদ ইউনূসই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান থাকুন এবং নির্বাচন ও সংস্কারসহ তার ওপর জাতির ঐতিহাসিক দায়িত্বটি সম্পন্ন করুন। জবাবে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন, বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে দ্বিতীয় দিনের বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদ সম্মেলন করে যা বলেছেন, সেটা নির্বাচন নিয়ে সরকারের আগের অবস্থানেরই প্রতিধ্বনি।প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, ‘তিনি বলেছেন যে আমরা বড়...
    উদ্ভূত সংকট মোকাবিলায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছেন, তা সময়োপযোগী পদক্ষেপ বলে মনে করি। শনিবার তিনি বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। গতকাল রোববার আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারপ্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মনোভাব জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন আশা করা যায়।প্রধান উপদেষ্টার এই উদ্যোগের আগে রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন কিছু অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, যা দেশবাসীকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে। দিনের পর দিন ঢাকা শহরে জনজীবন অচল করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া এবং বিপরীতমুখী দাবি নিয়ে বিবদমান পক্ষের অব্যাহত কর্মসূচি পালন, পরিস্থিতিকে বিপজ্জনক দিকে নিয়ে গেছে। একপর্যায়ে প্রধান উপদেষ্টা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ এবং পদত্যাগের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়। গত বছরের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে...
    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা বড় যুদ্ধাবস্থার ভেতরে আছি। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের পর দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য যত রকম পারে, চেষ্টা চলছে। এখান থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে। তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেছেন, জুলাইয়ের ১ তারিখেও যাবে না। গতকাল রোববার তাঁর সরকারি বাসভবন যমুনায় রাজনৈতিক দলগুলোর ১৯ নেতার সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রাজনৈতিক দলের নেতারা জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা বিদ্যমান সংকট কাটিয়ে উঠতে তাদের সহযোগিতাও চেয়েছেন। বৈঠকে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিভাজন থেকে আমাদের উদ্ধার পেতে হবে। ঐকমত্য থাকতে হবে। আত্মমর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে আমরা যতটুকু দাঁড়াতে পেরেছি, এটি যেন সামনের দিকে যায়। অভ্যুত্থানের...
    রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারা বিষয়গুলো স্বচ্ছতার স্বার্থে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, স্বচ্ছতার জন্য, জনগণের পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহযোগিতা করার জন্য তা করা হবে। এটা খুবই জরুরি।  গতকাল রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সুশীল সমাজের আলোচনায় দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।  রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছা সিদ্ধান্তগুলো যেন পরবর্তী সময়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়, সে জন্য প্রয়োজনে এ বিষয়ে আইন করারও তাগিদ দেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। আলোচনা সভায় তারা বলেন, যা কিছুই ঘটুক, রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সবকিছুতে যেন জনগণের অংশগ্রহণ থাকে।   আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা মানবাধিকার, নারী অধিকার, ভিন্ন ভিন্ন জাতিসত্তা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকারসহ মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর একমত...
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে সবাই অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা এ–ও বলেছেন, রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সরকারের যাতে দূরত্ব তৈরি না হয়, সে জন্য সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।রোববার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন যমুনায় দুই দফায় বিভিন্ন দল ও সংগঠনের ১৯ নেতা বৈঠক করেন। পরে রাজনৈতিক নেতারা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটা যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দেশের ভেতরে ও বাইরে।বিকেলে প্রথম দফায় বৈঠকে অংশ নেন ১০ জন রাজনৈতিক নেতা। তাঁরা হলেন এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ, সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম...
    ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠানে কোনো সমস্যা আছে কি না, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।একই সঙ্গে মজিবুর রহমান মঞ্জু নির্বাচন ডিসেম্বরে না হয়ে জুনে হলে কোনো অসুবিধা আছে কি না, তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন বিএনপির কাছে। নির্বাচন ডিসেম্বরে না জুনে, এই বিতর্কের সমঝোতাভিত্তিক সমাধানও চেয়েছেন তিনি।আজ রোববার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সন্ধ্যায় সেখান থেকে বেরিয়ে যমুনার সামনে বৈঠকের খুঁটিনাটি সাংবাদিকদের জানান মজিবুর রহমান মঞ্জু।মজিবুর রহমান বলেন, বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের ব্যাপক সন্দেহ, সংশয় ও ভুল–বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। নবগঠিত দল এনসিপির সঙ্গেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের সমন্বয়হীনতা দেখা গেছে। এমনকি গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রসমাজের মধ্যে বিভাজন দেখা...
    ১৮ মাসের মধ্যে সংস্কার ও নির্বাচন করার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করে যাওয়ার কথা সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছিলেন অনেক আগে। সরকার গঠনের দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে, গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ‘এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ হওয়া উচিত’ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের রোডম্যাপ সম্পর্কে কিছু বলার আগেই তাঁর এ অবস্থান নিয়ে কিন্তু তেমন বিতর্ক হয়নি তখন। ‘যে কোনো পরিস্থিতিতে’ সরকারের পাশে থাকার ঘোষণায় মানুষ বরং আশ্বস্তই হয়েছিল। সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান এও জানিয়েছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক হয় এবং তাদের সম্পর্ক খুব ভালো। তিনি বলেছিলেন, একসঙ্গে কাজ করলে আমাদের ব্যর্থ হওয়ার কোনো কারণ নেই।  সেই সাক্ষাৎকারের কথা স্মর্তব্য এ জন্য, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের নতুন পথযাত্রার এ দুই মুখ্য...
    অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ আগামী বছরের জুন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রবিবার (২৫ মে) ১০টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ বার্তা দেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান বৈঠকে উপস্থিত থাকা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা কোনোভাবেই তার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চান না এবং তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সময় আর বাড়াতে চান না। এপ্রিলের পর নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি আশ্বস্ত করেছেন।” আরো পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে: তারেক রহমান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “আমার কাছে মনে হয়েছে, আমি এতদিন যা করেছি তা সবই ব্যর্থ হয়ে যাবে; যদি...
    সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, সংস্কার অর্থবহ করতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। আর জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের একমাত্র পথ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন। তাই নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন সেটুকু করে নির্বাচন দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছেন। আজ রোববার রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এগারো দলের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে জনগণের মধ্যে বিরূপ মনোভাব রয়েছে। তাই এরশাদের পতনের পরে যেভাবে রাজনৈতিক দলগুলো আচরণবিধি তৈরি করেছিল, সেভাবে বর্তমানেও রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে একটি আচরণবিধি করতে হবে।মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং রাজনীতির গতিধারা নিয়ে খোলামেলা আলাপ করেছেন তারা। তিনি বলেন, তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছেন পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে হবে। দেশের ভেতরে-বাইরে হওয়া নানা ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে রক্ষা করতে...
    রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের মতো আলোচনায় বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। রবিবার (২৫ মে) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে সরকারপ্রধানের বাসভবন যমুনায় শুরু হওয়া প্রথম বৈঠকে ১০টি দলের একজন করে প্রতিনিধি অংশ নেন। এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বিভিন্ন দলের ৯ নেতার সঙ্গে বসেন সরকারপ্রধান। আরো পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বৈঠক কোনো দল নয়, জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে ড. ইউনূসকে এনসিপির আহ্বান দ্বিতীয় দফার বৈঠকে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মাওলানা সাদিকুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করিম, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আহমেদ আব্দুল কাদের, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদি, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, নুরুল হক নূর, মাওলানা মুসা বিন ইজহার এবং মুফতি মাওলানা শাখাওয়াত হোসাইন রাযি। এর আগে বিকালে প্রথম দফার বৈঠকে...
    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছেছেন ধর্মভিত্তিক দলসহ কয়েকটি দলের নেতারা। আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর থেকে এই নেতারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে আসতে থাকেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ইতিমধ্যে যমুনায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই বৈঠকে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির জাতীয় নির্বাহী পরিষদের মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার ও ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজির উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।নানা...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, “সংস্কার কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য গঠন সম্ভব নয়। সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্তি ও সক্রিয় অংশগ্রহণই সেই উদ্যোগকে অর্থবহ করে তুলতে পারে।” রবিবার (২৫ মে) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সুশীল সমাজ সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম দফার আলোচনায় কিছু বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে ঠিকই, তবে মতভেদও রয়ে গেছে। এ অবস্থায় নাগরিক সমাজের যুক্ত হওয়া সময়ের দাবি। বিপুল রক্তপাত ও...
    রাজনৈতিক সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সংস্কার করে চলতি ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তাদের অভিযোগ, অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় না নিয়ে শুধু একটি বিশেষ দল ও গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করায় দূরত্ব ও সংকট তৈরি হয়েছে। তাই দেশের উদ্ভূত রাজনৈতিক সংকটের দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে বলে মনে করে বাম জোট।আজ রোববার দুপুরে ঢাকায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পরিচালনা কমিটির এক বৈঠকে এ কথাগুলো বলা হয়। পরে জোটের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠানো হয়।বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার ও গণহত্যার বিচারপ্রক্রিয়াকে দীর্ঘসূত্রতার কৌশলে ফেলে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে মিয়ানমারের সঙ্গে মানবিক করিডর, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির কাছে লিজ দেওয়ার মতো কিছু সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তা জানানো হবে। আর যেসব বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা যায়নি, সেগুলোও তাঁরা জানাবেন।আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে সংস্কার বিষয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তা জানানো হবে। আর যেসব বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা যায়নি, সেগুলোও তাঁরা জানাবেন। স্বচ্ছতার জন্য, জনগণের পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহযোগিতা করার জন্য তাঁরা এটা করবেন। তাঁরা মনে করেন, সেটা খুবই জরুরি। সেই বিবেচনা থেকেই তাঁরা এখন পর্যন্ত অগ্রসর হচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের পরামর্শ তাঁদের সাহায্য করবে।রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি তুলে ধরে...
    দেশ এখন সংকটময় অবস্থা পার করছে। জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন বাড়ছে। সরকারের সঙ্গেও রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব বাড়ছে। এ থেকে উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোকে বিভাজনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং দলীয় স্বার্থ ত্যাগ করে জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও ভূমিকা রাখতে হবে। আজ রোববার দুপুরে গণতন্ত্র মঞ্চের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা উঠে আসে। দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, বাংলাদেশ জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ৫ আগস্টের পরে যত দিন যাচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। এটাই বর্তমান সংকট। এমন পরিস্থিতিতে দলীয় স্বার্থ ত্যাগ...
    নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফা।আজ রোববার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে সংস্কার বিষয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় এই দাবি জানান সামিনা লুৎফা।রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীরা একটি অসাধারণ সময় ও সুযোগ পার করছেন বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক। তিনি বলেন, প্রতিটি আন্দোলনে নারীরা সামনে থেকে ভূমিকা রেখেছেন। এই ভূমিকার পর আন্দোলন শেষে তাঁরা আবার ঘরে ফেরত গেছেন গৃহস্থালির কাজে। কিন্তু এবারই দেখা গেছে, তরুণ প্রজন্মের নারীরা প্রবল আগ্রহ ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাজনীতিতে আসতে চাইছেন। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে এই বার্তা দেওয়া প্রয়োজন, নারীরা রাজনীতি আসতে চাইছেন, তাঁদের সে সুযোগটা করে দিতে হবে। এ কারণে তাঁরা দাবি করছেন, নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের...
    আপাতত পদত্যাগ নয়, পরিস্থিতি মোকাবিলা করার পক্ষে মত দিয়েছেন উপদেষ্টারা। বিতর্কের জন্ম দেওয়া বিষয়গুলো নিয়ে আত্মসমালোচনাও ছিল সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের বক্তব্যে। বড় সময়জুড়ে আলোচনায় ছিল জুলাই ঘোষণাপত্র। উপদেষ্টারা দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার পক্ষে মত দিয়েছেন। শেষমেশ কাজে বাধা এলে সরকার হিসেবে কঠোর হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে আলোচনা শেষ করেছেন উপদেষ্টারা।  বৈঠকে উপস্থিত একাধিক উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। বৈঠক শেষে দেওয়া আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারের দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হলে সব কারণ জনসমক্ষে প্রকাশ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের অনির্ধারিত বৈঠকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটির (একনেক) পূর্বনির্ধারিত সভার পর এ বৈঠক হয়। গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের...
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতাদের অকুণ্ঠ সমর্থন জানানোর বিষয়টি এক ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেছেন তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, ‘তাঁরা (তিনটি দলের নেতারা) বলেছেন...চিফ অ্যাডভাইজারের (প্রধান উপদেষ্টা) নেতৃত্বে আস্থা আছে। এবং তাঁকে অনুরোধ করেছেন যাতে... ওনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন (অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন) হয়। ওনার নেতৃত্বে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন।’আজ শনিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, বৈঠকে প্রতিটি দল নিজ নিজ অবস্থান ব্যক্ত করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো তাঁকে (প্রধান উপদেষ্টা) পদত্যাগ না করার জন্য অনুরোধ করেছে এবং বলেছে, তাঁর নেতৃত্বেই যেন বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়।আজ সন্ধ্যা থেকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি...
    সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সরকার পরিচালনায় নানা ধরনের অসহযোগিতার মুখে কাজ করতে না পারায় হতাশাবোধ থেকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে চান। তিনি আরেকটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিদায় নিতে চান।  রাজনীতির পরিসরে কিছুদিন ধরে যে অস্থিরতা চলছিল, তাঁর এই কথিত পদত্যাগের সম্ভাবনায় তা আরও বহুগুণে ঘনীভূত হয়েছে। কিন্তু কোন পটভূমিতে এই পদত্যাগের গুঞ্জন? লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, নির্বাচনের সময় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ঘোষণার দাবি, মিয়ানমারে মানবিক সহায়তার জন্য কথিত করিডর প্রদানের প্রশ্ন, চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানিকে নিয়োগের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর অসন্তোষ নিয়ে যখন অস্বস্তি বাড়ছে, তখন এসব বিষয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ–জামানের কথিত কিছু বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়। বুধবার ২১ মে সেনাপ্রধান ঢাকা সেনানিবাসে তাঁর অধীনস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে যে সভা করেন, সেখানে নির্বাচন, করিডর এবং চট্টগ্রাম বন্দর...
    জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অংশী পক্ষগুলোর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিভক্তি ও মতভেদ দেশে এক রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি করেছে। পরিস্থিতি এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘পদত্যাগ’ করবেন কি না, সে প্রশ্নও আলোচিত হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী দেশের বর্তমান বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তিনি হতাশ ও ক্ষুব্ধ। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের দায়িত্বশীল, বাস্তবসম্মত ও দূরদর্শী পদক্ষেপই দেশকে এই সংকটময় পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে পারে।ছাত্রদের নেতৃত্বে সব রাজনৈতিক দল ও জনগণ গত বছরের ৫ আগস্ট যেভাবে দেশের ওপর চেপে বসা স্বৈরশাসনকে বিদায় করেছে, তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান দেশের মানুষের মনে অনেক স্বপ্ন ও আশার জন্ম দিয়েছিল। নতুন কোনো স্বৈরতন্ত্র চেপে বসার ঝুঁকি থেকে চিরতরে মুক্তি ও উন্নত গণতন্ত্রের পথে যাত্রার মাধ্যমে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা তৈরি করেছিল।...
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ করতে চাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে বিএনপিসহ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক ইউনূস পদত্যাগ করুন, কোনো দলই সেটা চায় না। তবে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট পথনকশা চায়।দেশের রাজনৈতিক এ পরিস্থিতিতে আজ শনিবার বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করবেন।অধ্যাপক ইউনূস পদত্যাগ করুন, কোনো দলই সেটা চায় না। তবে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট পথনকশা চায়। আজ বিএনপি-জামায়াতের নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে পদত্যাগ না করতে অনুরোধ করতে পারেন।বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি),...
    ক্ষোভ ও হতাশা থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে চাইছেন, এমন খবর তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সারা দেশে। এ নিয়ে বিএনপিসহ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই আলাপ-আলোচনা শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, অধ্যাপক ইউনূস পদত্যাগ করুন, কোনো দলই সেটা চায় না। তবে দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় চায়।প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় তাঁর পদত্যাগের ভাবনার কথা বলেন। জানা যায়, এ সময় তিনি সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে নানা প্রতিবন্ধকতার কথা বলেন। প্রায়ই সড়ক আটকে আন্দোলন, সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হওয়া, রাষ্ট্রীয় কাজে নানা পক্ষের অসহযোগিতাসহ দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগের ভাবনার কথা...
    প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের আলোচনা সামনে আসার পরও জাতীয় নির্বাচনের পথনকশার (রোডম্যাপ) দাবিতে অনড় বিএনপি। বিএনপির ভেতরের সূত্রগুলো বলছে, তাদের চাওয়া প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূস থাকুক, কিন্তু ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা করুক। আবার অন্তর্বর্তী সরকারের জন্যও এই মুহূর্তে বিএনপির সমর্থন অনেক জরুরি। শুধু নির্বাচনই নয়, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং সফলভাবে সরকারের দায়িত্ব শেষ করতে এটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে সরকার-ঘনিষ্ঠদের চাওয়া, সমর্থনের ঘোষণাটা বিএনপির দিক থেকে আসুক। যদিও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ গতকাল শুক্রবার বলেছেন, একান্তই যদি তিনি (ড. ইউনূস) দায়িত্ব পালনে অপারগ হন, তাহলে রাষ্ট্র তো বসে থাকবে না। রাষ্ট্র নিজ দায়িত্বে বিকল্প ব্যবস্থা নেবে। পৃথিবীতে কেউ অপরিহার্য নয়। অবশ্য প্রকাশ্যে এমন বক্তব্য থাকলেও আজ শনিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে তাঁর সরকারি বাসভবন যমুনায় যাবেন...
    ফ্যাসিবাদ উৎখাতে ভূমিকা রাখা সব পক্ষকে দায়িত্বশীল ও সতর্ক আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেছেন, জুলাইয়ের রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের ফলে জাতির সামনে রাষ্ট্রের নীতিগত, প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, কোনোভাবেই সে সুযোগ নষ্ট করা যাবে না। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠকে দলের আমির এ কথাগুলো বলেন। দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়া-পাওয়ার বিষয় আছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলে দাবিদাওয়া আদায়ের রাজনীতি ও পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরবঙ্গের...
    বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগু‌লো‌কে নিজ নিজ জায়গা থেকে দা‌য়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার জন্য আহ্বান জা‌নি‌য়ে‌ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ব‌লে‌ছেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে ছাত্রনেতাদের অযথা কোনো বাগবিতণ্ডায় জড়ানোর প্রয়োজন নেই। তোমাদের ত্যাগ ও কুরবানি, জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এ দেশের মানুষ হাজার বছর পর্যন্ত স্মরণ করবে। কাজেই তোমরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করো।” শুক্রবার (২৩ মে) জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে মামুনুল হক এসব কথা ব‌লেন। তি‌নি বলেন, “বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজ নিজ জায়গা থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।” আরো পড়ুন: ফ্যাসিবাদবিরোধী সবাইকে ঐক‌্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান হেফাজতের নারীদের বিষয়ে আনাকাঙ্ক্ষিত শব্দচয়নে হেফাজতের...
    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যেসব উপদেষ্টার কারণে জাতীয় অনৈক্য তৈরি হয়েছে, তাঁদের পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। আজ শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ আহ্বান জানান। ‘রাষ্ট্রের সম্ভাব্য রাজনৈতিক সংকট ও জটিল পরিস্থিতি প্রসঙ্গে’ রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেসব উপদেষ্টার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে, তাঁদের আরও আগে পদত্যাগ করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ড. ইউনূস যেহেতু কঠোর হতে চান না, যেসব উপদেষ্টা মনে করছেন, আপনারা অনৈক্যের জন্য দায়ী, বিভেদের জন্য দায়ী, রাষ্ট্রকে একটি জায়গায় নিতে পারছেন না, প্লিজ আপনারা পদত্যাগ করুন। এর মাধ্যমে সেখানে যোগ্য লোকদের দায়িত্ব দেওয়ার পথ তৈরি করুন।মজিবুর রহমান বলেন, বিএনপির...
    গত বছর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়, তখন ঘূর্ণাক্ষরেও কেউ ভাবতে পারেননি, সাড়ে ৯ মাসের মাথায় তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব অনতিক্রম্য পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। এ সরকারের ভিত্তি ছিল সশস্ত্র বাহিনী, চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতৃত্ব ও রাজনৈতিক দলের সমর্থন। সমর্থন ছিল খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের, যাঁরা কোনো পদ চাননি, চেয়েছেন দেশটি ভালোভাবে চলুক।প্রথম কয়েক মাস রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের একটা সমঝোতামূলক সম্পর্ক ছিল। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করতেন।কিন্তু সময়ের ব্যবধানে দূরত্ব বাড়তে থাকে। গত বুধবার সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ–জামানের বক্তব্যে বোঝা গেল, সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গেও অন্তর্বর্তী সরকারের দূরত্ব বেড়েছে। তিনি বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের ‘অন্ধকারে’ রেখে।সব মিলিয়ে...
    আমাদের দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ-সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট বিধান নেই। স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে বর্তমান সরকারের মেয়াদ কত দিন? গত বছর ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পরাজয় ও পতনের পর ৮ আগস্ট এই সরকার গঠিত হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের যেমন একটি লক্ষ্য ছিল, তেমনি অভ্যুত্থানের পর মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কিছু বিষয়ে সংস্কার সরকারের এজেন্ডাভুক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার ৯ মাস অতিক্রম করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই সময়ে সরকার গণঅভ্যুত্থানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কতটা সক্ষমতা ও আন্তরিকতা দেখাতে পেরেছে? এই সরকারের মেয়াদ কি অনির্দিষ্টকাল?  মানসিক সুস্থতা আছে, এমন সবারই বোঝার কথা যে কোনো সরকারের মেয়াদই অনির্দিষ্টকাল হতে পারে না। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দেশের রাজনীতিতে অন্যতম প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের মেয়াদের সঙ্গে অনিবার্যভাবে যে প্রশ্নটি আসে, তা হলো, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন কবে? সরকারের পক্ষ...
    একই ব্যক্তির একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হওয়া বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেছেন, ‘দিস ইজ দ্য বিগেস্ট কালপ্রিট আমাদের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য।’আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ‘প্রস্তাব থেকে বাস্তবতা: কমিশন প্রতিবেদন পুনর্মূল্যায়ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিকস (দায়রা) এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা অনেকটা সিভিল সোসাইটির মতো। তারা যখন নির্বাচন করে, তখন একটা ইশতেহার দেয় এবং তা বাস্তবায়নের জন্যই প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়। প্রার্থীরা ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্যই নির্বাচিত হয়ে আসেন। তাই যিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন, তিনি যেন দলের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন, সেই বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলোতে থাকতে হবে।নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নিরপেক্ষ...
    আগামী শীতের শুরুতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।দলটির আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, স্থানীয় সরকারব্যবস্থা নিয়ে সরকারকে স্পষ্ট অবস্থান জানাতে হবে। কোনো সিটি করপোরেশনে স্বৈরাচারের অন্যায়ের শিকার প্রার্থীকে মেয়র ঘোষণা করা হচ্ছে, কোনো সিটিতে সেটি হচ্ছে না। আবার বরিশাল সিটিতে মামলাই আমলে নেওয়া হচ্ছে না। এ ধরনের দ্বিচারিতা রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করেছে।আজ বৃহস্পতিবার দলটির এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।সিটি করপোরেশনের মেয়র ইস্যুতে গণ-অভ্যুত্থান–পরবর্তী পারস্পরিক বোঝাপড়ার রাজনীতিকে পরস্পরবিরোধী রাজনীতির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, এটা সংস্কার ও নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। তাই মুহাম্মাদ রেজাউল করীম জুলাই অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভাজন রোধে পরস্পরবিরোধী দাবি ও কর্মসূচি...
    ১.জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল হলো রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপক স্বীকৃতি। এই অগ্রগতি নিঃসন্দেহে উৎসাহের বিষয়। অন্তর্বর্তী সরকারও রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে।শুরুতে ছয়টি এবং পরে আরও পাঁচটি বিষয়ে সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছিল। এরই মধ্যে এসব কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের সুপারিশ পেশ করেছে। এখন সরকারের বড় দায়িত্ব হলো এসব সুপারিশের কার্যকর ও ফলদায়ক ব্যবহার নিশ্চিত করা।সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেসব সুপারিশ সম্পর্কে সব রাজনৈতিক দল একমত হবে, সেগুলো গ্রহণ করা হবে। গৃহীত সুপারিশের কিছু অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই বাস্তবায়ন করা হবে, এমনটা বলা হচ্ছে। বাস্তবায়নের দৃষ্টিকোণ থেকে যেগুলো দীর্ঘমেয়াদি চরিত্রের, সেগুলো ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সরকারের জন্য রেখে দেওয়া হবে।সরকার একটি ঐকমত্য কমিশনও গঠন করেছে। কী কী সংস্কারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য...
    দুই মাস ধরে আমরা ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ করেছি। প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় আমাদের লক্ষ্য ছিল, রাজনৈতিক দলগুলোর আলাদা আলাদা অবস্থানগুলো কী, তা জানা। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে। শুরুতেই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। যেখানে প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ইউনূস উপস্থিত ছিলেন, তিনি বক্তব্য দিয়েছেন।আমাদের দিক থেকে লক্ষ্য ছিল, ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া। আমরা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনগুলোর পাশাপাশি সারসংক্ষেপ এবং স্প্রেডশিট আকারে দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছিলাম। তাঁরা শুধু স্প্রেডশিটে সীমিত ছিলেন না, বিস্তারিত মতামত দিয়েছেন। এরপর আমরা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছি, দলগত অবস্থানটা বুঝতে চেয়েছি। এখন আমরা দলগত অবস্থানগুলো বুঝতে পেরেছি। অনেক বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য আছে। নীতিগত অবস্থানের দিক থেকে...
    অন্তর্বর্তী সরকার যখন রাষ্ট্রীয় সংস্কারের লক্ষ্যে বেশ কটি কমিশন করেছিল, তখন জনমনে যে আশা জেগেছিল, তা অনেকটা ম্লান হয়ে গেছে বলে ধারণা করি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম দফার বৈঠক দৃশ্যমান অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছে।প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় ক্ষমতার ভারসাম্যসহ মৌলিক প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে। পবিত্র ঈদুল আজহার আগে (জুনের প্রথম সপ্তাহ) দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হতে পারে। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ তৈরি করা হবে। জুলাই সনদের বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি এক মাস সময় বেঁধে দিয়েছে।দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় নিয়ে যেতে যে সংস্কারের প্রয়োজন আছে, সেটা সব রাজনৈতিক দলই স্বীকার করেছে। কিন্তু সেই সংস্কারের ধরন ও মাত্রা নিয়ে মতভেদ আছে। সংবিধান সংস্কার কমিশন যেসব প্রস্তাব দিয়েছিল, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য...
    ৫৪ বছরে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে জমা জঞ্জাল দূর করার সুযোগ এসেছে। এই সুযোগ নষ্ট করা যাবে না। তাই বিতর্ক তৈরি হয় এমন বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না বলে মনে করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।আজ মঙ্গলবার ইসলামী আন্দোলনের নিয়মিত বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমেদ এসব কথা বলেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। সরকারকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডর, চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল লিজ দেওয়া, নারী কমিশনের প্রস্তাবসহ বিতর্কিত বিষয় বাদ দিয়ে সংস্কারে মনোযোগ দিতে হবে।অন্তর্বর্তী সরকার জনতার প্রশ্নাতীত সমর্থন পেয়েছে উল্লেখ করে মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ইসলামবিরুদ্ধ যে প্রস্তাব হাজির করল, তা দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে আহত করেছে।’মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতার সঙ্গে সম্পৃক্ত উল্লেখ...
    বাংলাদেশ একটি সংকটময় ও গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর আমরা একটি বিরল মুহূর্তে উপনীত হয়েছি, যেখানে ন্যায়ের ভিত্তিতে একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ আমাদের সামনে উপস্থিত। সংস্কার নিয়ে চলমান অচলাবস্থা নিরসনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ন্যূনতম ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য। এ জন্য প্রথমেই অবশ্যপালনীয় শর্তগুলোকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন, যা ছাড়া কোনো সংস্কারপ্রক্রিয়া সফল হবে না। এ অবস্থায় সংস্কারপ্রত্যাশী সমাজের বিভিন্ন অংশের ক্রমাগত সংলাপের মাধ্যমে উত্থাপিত স্বপ্ন ও ভাবনাকে ধারণ করে নাগরিক সমাজের কিছু সংগঠন ও ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত ‘নাগরিক কোয়ালিশন’ নাগরিকদের পক্ষ থেকে সংবিধান সংস্কারের সাতটি প্রস্তাব ও দুটি রোডম্যাপ দিয়েছে। এই সাত প্রস্তাবকে আমরা অবশ্যপালনীয় শর্ত বলে মনে করি।এসব শর্ত আমরা শুধু নিজেদের মধ্যে বা সংবিধানবিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেই তৈরি করিনি; বরং...
    ‘দিনবদলের সনদ’ শীর্ষক ইশতেহারের ভিত্তিতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। তিনি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। যদিও ওই নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক আছে। বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামো, প্রতিষ্ঠান ও রীতিনীতি তাঁকে স্বৈরাচারে পরিণত করে। ক্ষমতায় এসে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস, আরও কিছু চরম নিবর্তনমূলক আইন প্রণয়ন ও বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিপূর্ণভাবে করায়ত্ত করার মাধ্যমে গত ১৫ বছরের শাসনকালে শেখ হাসিনা দানবে পরিণত হন। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের লক্ষ্যে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠন করে। প্রথমে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এ ছয় কমিশনের তৈরি সুপারিশগুলোকে দুভাগে ভাগ করা যায়। কিছু সুপারিশের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর তেমন...
    রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ হয়েছে। পাঁচটি সংস্কার কমিশনের অনেকগুলো সুপারিশ বা প্রস্তাবের বিষয়ে দলগুলো একমত হলেও ক্ষমতার ভারসাম্যসহ মৌলিক প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে।ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ের আলোচনার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দলগুলোর সঙ্গে শিগগিরই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে। এ পর্যায়ে মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবগুলো আলোচনায় গুরুত্ব পাবে। যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা আছে, সেগুলো নিয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা হবে। পবিত্র ঈদুল আজহার (জুনের প্রথম সপ্তাহ) আগে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হতে পারে। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ তৈরি করা হবে। আগামী জুলাই মাসে এ সনদ চূড়ান্ত করার লক্ষ্য রয়েছে ঐকমত্য কমিশনের।মৌলিক যেসব পরিবর্তনের প্রস্তাব আছে, সেগুলো মূলত সংবিধান–সম্পর্কিত। সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদনে সংস্কারের...
    দেশে নির্বাচিত সরকার নেই। সে কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের দেওয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে নিতে হবে। এ কথাগুলো বলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ।সোমবার এক বিবৃতিতে মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, এই সরকারের প্রধান কাজ সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করা; কিন্তু সরকার তার মূল লক্ষ্যের বাইরে এমন সব কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছে, যা রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করছে। জনতা ও দলগুলোর মধ্যে অবিশ্বাস ও সন্দেহ তৈরি করছে। অন্তর্বতী সরকারকে এই ধরনের কার্যক্রম থেকে সরে আসতে হবে।বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, কেন নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের পরিচালনার দায়িত্ব ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দিতে হবে, সেই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার কোনো আলোচনা নেই। এই বন্দর নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জনগণের মতামত ছাড়া করা...
    আবারও ঝরেছে প্রাণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ক্যাম্পাস-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় খুন হলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য। শুধু সাম্য নন; নথিপত্র বলছে, এর আগে আরও পৌনে একশ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। সেগুলোর বিচার শেষ হয়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রে চিহ্নিত আসামিদের বেকসুর খালাস দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যে বিচারহীনতার শৃঙ্খলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ছে, এ থেকে কি মুক্তি মিলবে?  ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের কর্মীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু বকর। তাঁর হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্রলীগের ১০ কর্মীকে বহিষ্কারও করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু রাজনৈতিক শক্তি খাটিয়ে, আদালতকে ব্যবহার করে সেই বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। সাত বছর পর সেই আসামিরা বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। আসামিরা প্রমাণ করতে সমর্থ হয়– আবু বকরকে কেউ খুন...
    সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ হয়েছে। সোমবার (১৯ মে) বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাথে বর্ধিত আলোচনার মাধ্যমে শেষ হয় কমিশনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা। এই আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। সভায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “দুই মাস আগে শুরু হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রথম পর্যায়ের আলোচনার আজকে সমাপ্তি ঘটেছে।রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে অব্যাহত এই আলোচনায় অনেকগুলো বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি এবং বেশ কিছু বিষয়ে আমাদের ভিন্নমতও রয়েছে। খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করে যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা...
    রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ খুব শিগগিরই শুরু করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ তথ্য জানিয়েছেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। সোমবার (১৯ মে) বিকেলে জাতীয় সংসদের এলডি হলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। দলটির সঙ্গে এটি ১৩ মে এর মূলতবি হওয়া বৈঠক। আলী রীয়াজ বলেন, “প্রথম ধাপের সংলাপে ভিন্নমত নিয়ে বিষয়ভিত্তক আলোচনা হবে দ্বিতীয় ধাপে। আশা করছি যে সমস্ত বিষয়ে ভিন্নমত আছে, সেগুলো নিয়ে পরবর্তী সময়ে বিষয় ভিত্তিকভাবে আলোচনা করতে পারব।” আরো পড়ুন: ‘স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না হলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনের সুযোগ নেই’ কেসিসি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীকে জয়ী দাবি করে মামলা তিনি বলেন, “প্রথম পর্যায়ের সংলাপের সমাপ্তি টানব এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা খুব শিগগিরই শুরু...
    সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ হয়েছে।  সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত বর্ধিত আলোচনার মাধ্যমে শেষ হয় কমিশনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা।  এই আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। এ সময় অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, দুই মাস আগে শুরু হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনার আজকে সমাপ্তি ঘটেছে৷ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অব্যাহত এই আলোচনায় অনেকগুলো বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি এবং বেশ কিছু বিষয়ে আমাদের ভিন্নমতও রয়েছে৷ খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করে যে...
    পবিত্র হজ পালনের জন্য সারা বিশ্ব থেকে লাখো হজযাত্রী সৌদি আরবে আসছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং হজযাত্রীদের চলাচল সহজ করতে দেশটির হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে হজযাত্রীদের বেশ কিছু পরামর্শ দিয়ে হজের সময় সেগুলো মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।গতকাল রোববার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই পরামর্শ ও নির্দেশনা পবিত্র হজের ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার সময় হজযাত্রীদের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘নির্ধারিত স্থানগুলোর প্রতি সম্মান দেখালে হজের ব্যস্ততম সময়ে ঝুঁকি কমবে এবং সহজে চলাচলের ধারাবাহিকতা বজায় থাকতে সহায়তা করবে।’এ জন্য মন্ত্রণালয় থেকে হজযাত্রীদের তাঁবু ও আবাসন হোটেলের মতো বিশ্রামের নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও বিশ্রাম না নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।বিভিন্ন প্রাঙ্গণে এবং লোকজনের চলাচলের পথের মতো ভিড়পূর্ণ জায়গায়...
    শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও ‘বড় পরিবর্তন’ আনা যায়নি বলে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট যে মন্তব্য করেছে, সে বিষয়ে গণঅভ্যুত্থান সমর্থকদেরও অনেকে একমত হবেন। যেমন, রোববার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরও বলেছেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাসে রাষ্ট্রের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পরিসরেই কোনো দৃশ্যমান ইতিবাচক পরিবর্তন নেই’ (প্রথম আলো, ১৮ মে ২০২৫)। দু’একটি ক্ষেত্র বাদে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের পারফরম্যান্স’ যে সন্তোষজনক নয়, সেটাও তিনি বলেছেন।  ইকোনমিস্টে এমন কিছু বলা হয়নি, যা দেশের সাধারণ পরিসরেও আলোচিত হচ্ছে না। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারও কম নিচ্ছে না। এতে বোঝা যায়, বাংলাদেশের ঘটনা প্রবাহে তাদের দৃষ্টি রয়েছে। বড় জটিলতা কাটিয়ে আইএমএফ ঋণের কিস্তি লাভের খবরেও বাংলাদেশ আলোচনায় আসবে। সবকিছুর পরও এ দেশের...
    ‘বামদের দ্বারা ইনফ্লুয়েন্সড হলে বাংলাদেশে জব হবে না, বাংলাদেশকে উনারা বনসাই বানিয়ে রাখতে চান’—প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের এমন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা। একই সঙ্গে তারা এ বক্তব্যের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করেছে। সম্প্রতি প্রেস সচিব শফিকুল আলম একটি বেসরকারি টেলিভিশনে আলোচনায় অংশ নিয়ে বামধারার রাজনীতিবিদদের নিয়ে এমন মন্তব্য করেন। আজ রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার নেতারা বলেন, ‘শফিকুল আলমের এই বক্তব্য একদেশদর্শী, পক্ষপাতদুষ্ট ও বিদ্বেষপ্রসূত। তাঁর এই বক্তব্যের ঐতিহাসিক কোনো ভিত্তি নেই।’বিবৃতিতে বলা হয়, বহু দেশবিরোধী চুক্তির বিরোধিতা করে আন্দোলন করেছে বাম গণতান্ত্রিক শক্তি। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগসহ যারাই দেশের জনগণের স্বার্থ বিদেশিদের কাছে বিকিয়ে দিয়েছে, দেশের স্বাধীন অর্থনৈতিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করতে...
    আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের পর এবার ১৪-দলীয় জোটের অপর দলগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইনসচিব এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বরাবর আজ রোরবার ওই নোটিশ পাঠানো হয়। লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা হোসাইন মো. আনোয়ারের পক্ষে আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন রিগ্যান নোটিশটি পাঠান। হোসাইন মো. আনোয়ার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মী বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।নোটিশের ভাষ্য, ৭৫ বছর বয়সী আওয়ামী লীগ ৩৬ দিনের আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ শাসনামলের সহযোগী হিসেবে ১৪ দল একই অপরাধ করেছে অভিযোগ করে নোটিশে বলা হয়, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলে অপর দলগুলো কেন নয়?আওয়ামী...
    গণভোটের মাধ্যমে ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় দলটি এই প্রস্তাব দিয়েছে। আলোচনা শেষে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। এর অংশ হিসেবে জামায়াতের সঙ্গে আলোচনা হয়। এর আগে ২৬ এপ্রিলও দলটির সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। আজ দলটির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ হয়েছে।অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সনদ তৈরি করা হবে। এর নাম হবে জুলাই সনদ।আজ রোববার বিকেলে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে জামায়াতের নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন,...
    আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলেও ১৪ দলীয় জোটের শরীক বাকি দলগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় নির্বাচন কমিশনসহ সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে ওই দলগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে বলা হয়। লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মী পরিচয় দেওয়া হোসাইন মো. আনোয়ারের পক্ষে রোববার আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগান এ নোটিশ পাঠান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইন সচিব ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়। আইনজীবী সালাহ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, নোটিশের ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে হাইকোর্টে রিট করা হবে। অন্যদিকে নোটিশদাতা হোসাইন মো. আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ দমন-নিপীড়ন একা একা চালায়নি। ১৪ দলীয় জোটের সিদ্ধান্তেই তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও বাকিদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই...
    জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা দু-এক দিনের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনর সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এরপর শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা। সেখানে মতপার্থক্যের বিষয়গুলোতে ঐকমত্যে পৌঁছানোর আশা করছে কমিশন।  রবিবার (১৮ মে) জাতীয় সংসদের এলইডি হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি এ কথা জানান।   অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দ্রুত একটি জাতীয় সনদের দিকে অগ্রসর হতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।”  তিনি বলেন, “জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা দু-এক দিনের মধ্যেই শেষ হবে। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে, যেখানে যেসব বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে, সেগুলোতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব বলে আমরা বিশ্বাস...
    সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আবারো আলোচনায় বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।  রবিবার (১৮ মে) বেলা ১১টা থেকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে জামায়াতের সঙ্গে কমিশনের আলোচনা শুরু হয়।  কমিশনের ভাইস চেয়রম্যান আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে সকালে জামায়াতের প্রতিনিধিদল আলোচনা শুরু করেন। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব দেন দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। আরো পড়ুন: ‘জামায়াতের কেউ ইমাম-মুয়াজ্জিন হতে পারবে না’ আটঘরিয়ায় বিএনপি অফিস ভাঙচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। এর অংশ হিসেবে গত ২৬ এপ্রিল জামায়াতের সঙ্গে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা হয়। তবে ওই দিন সব সুপারিশ নিয়ে দলটির সঙ্গে আলোচনা শেষ...
    জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের বৈঠক শুরু হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সংসদের এলইডি হলে বৈঠকটি শুরু হয়েছে। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব দেবেন নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। পরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবে জামায়াতের প্রতিনিধি দলটি। সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। এর অংশ হিসেবে গত ২৬ এপ্রিল জামায়াতের সঙ্গে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা হয়। তবে ওই দিন সব সুপারিশ নিয়ে দলটির সঙ্গে আলোচনা শেষ হয়নি। ২৬ এপ্রিল মূলত সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে জামায়াতের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা হয়েছিল। দলটি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ করার প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছিল। তবে তারা সংসদের উচ্চ ও নিম্ন-উভয় কক্ষেই আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচন...
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের চিন্তা এবং কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণ অন্ধকারে থাকায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বাড়ছে। আমরা প্রায়ই দেখছি, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজপথে জড়ো হচ্ছেন। মাত্র ১০ মাসের মাথায় সরকারের ভেতরে এবং বাইরে এক ধরনের অস্থিরতা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, সরকার জনগণের ভাষা, আশা-আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তেই থাকবে। আমরা মনে করি, দেশে এভাবে অস্থিরতা বাড়লে এই সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্যই হয়ে পড়বে।  গতকাল শনিবার রাতে গুলশানের একটি হোটেলে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা উপস্থিত...
    ঢাকা এবং পাশ্ববর্তী শিল্প এলাকা তথা গোটা বাংলাদেশের মানুষের সুস্থ জীবনযাপনের স্বার্থে পরিবেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নীতি প্রনয়নের দাবি জানিয়েছেন রাজনৈতিক নেতা এবং বিশিষ্টজনরা। শনিবার (১৭ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলিনায়তনে ‘পরিবেশবান্ধব নগর গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবনা’ শীর্ষক সংলাপে এসব দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান নগরায়ন, দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় পরিবেশবান্ধব ও টেকসই নগর গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা ও তাদের পরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার লক্ষ্যে এই সংলাপের আয়োজন করা হয়। আরো পড়ুন: বাকৃবিতে ঢাবির পুনঃভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৭৩.০৮ শতাংশ মেয়েকে ঢাবিতে পড়ানোর স্বপ্ন পাহাড়ি মায়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (সেন্টার ফর অ্যাটমোসফেরিক পল্যুশন স্টাডিস-ক্যাপস), পরিবেশ আন্দোলন ‘মিশন গ্রিন বাংলাদেশ', সামাজিক আন্দোলন ‘নাগরিক বিকাশ ও কল্যাণ-নাবিক' এবং সেন্টার ফর গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট...
    ভারতে বিরোধী দলগুলোর দাবি ছিল, পেহেলগাম–কাণ্ড ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার। সেই দাবি আমলে না নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। এই লক্ষ্যে সাতটি রাজনৈতিক দলের সাতজন সংসদ সদস্যের অধীন সাতটি দল গড়া হবে। আজ শনিবার সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় ওই সাত নেতার নাম ঘোষণা করেছে। প্রতিটি দলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছয়–সাতজন করে সদস্য থাকবেন। এসব দল বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশের পাশাপাশি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশে যাবেন ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নিরলস সংগ্রাম এবং অপারেশন সিঁদুরের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করবেন। আন্তসীমান্ত ‘সন্ত্রাস’ মোকাবিলা ভারতকে কীভাবে করতে হচ্ছে, তা বোঝানোর পাশাপাশি প্রতিনিধিরা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে পাকিস্তানের ‘যোগসাজশ’ তুলে ধরবেন। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী চলতি মাসেই এই প্রতিনিধিদলগুলোর সফর শুরু হবে।আজ শনিবার যে সাত দলের সাত নেতার...
    সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে জামায়াতের সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হবে।আজ শনিবার ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। এর অংশ হিসেবে গত ২৬ এপ্রিল জামায়াতের সঙ্গে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা হয়। তবে ওই দিন সব সুপারিশ নিয়ে দলটির সঙ্গে আলোচনা শেষ হয়নি।২৬ এপ্রিল মূলত সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে জামায়াতের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা হয়েছিল। দলটি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ করার প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছিল। তবে তারা সংসদের উচ্চ ও নিম্ন—উভয় কক্ষেই আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাবেও নীতিগতভাবে একমত...
    বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে। রাষ্ট্রের সব কটি অংশে যেমন আছে, তেমনটি থেকে যাক, এটা কেউ চায় না। সংস্কার অর্জন না হলে এটা কারও জন্য ভালো হবে না। তিনি এ–ও বলেন, নির্বাচনের সময়সীমা ডিসেম্বর অতিক্রম করা যৌক্তিক হবে না।আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন বজলুর রশীদ ফিরোজ।সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।সংস্কার বাস্তবায়নে বাসদের অবস্থান স্পষ্ট করে বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘আমাদের আলোচনার বড় অংশ ছিল সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব নিয়ে। আমরা মনে করি, ছোট সংশোধন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অধ্যাদেশের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার এবং মৌলিক সংশোধন...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে আকাঙ্ক্ষার স্ফুরণ ঘটেছে; তার একটি সুনির্দিষ্ট রূপ দিতে চায় কমিশন। খবর বাসসের আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় সংসদ ভবনের এল.ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। তিনি বলেন, ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে আমরা একটি জাতীয় সনদে প্রতিফলিত করতে চাই। ভবিষ্যতে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল এই সনদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশে নতুন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে; তা এ দেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক শক্তিগুলোর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফল...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ চায় না, বারবার ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটুক। তারা এমন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষা করে, যেখানে সবার সমান ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে। তাই তারা জুলাই অভ্যুত্থানে প্রাণের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ।রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার এই উদ্যোগ মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য বলে উল্লেখ করেন আলী রীয়াজ। গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক মতপার্থক্যকে সাধারণ প্রক্রিয়া হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দল অবশ্যই জনগণের কাছে যাবে। তবে কিছু বিষয়ে সবাই ছাড় দেবে বলে তাঁরা আশা করেন। সংস্কারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি দৃঢ় থাকা জরুরি।জুলাই-আগস্টে মানুষ ক্ষোভের সঙ্গে প্রত্যাশারও বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেন...
    গত ২০ এপ্রিল রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপির সঙ্গে সিপিবি ও বাসদের বৈঠকটি অনানুষ্ঠানিক হলেও সংবাদমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছিল। এর একটা কারণ, দীর্ঘদিন পর প্রায় বিপরীত মেরুর দু’পক্ষের একসঙ্গে বসা। সর্বশেষ ২০১৬ সালে সিপিবি-বাসদ নেতারা বামপন্থিদের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাদের নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। উপলক্ষ চায়ের আমন্ত্রণ রক্ষা। এর পর ২০১৮ সালের নির্বাচন এবং পরবর্তী সময়ে আওয়ামী সরকারবিরোধী আন্দোলনে অনেক চেষ্টা করেও বাম জোটকে বিএনপি সঙ্গে পায়নি। এক পর্যায়ে ওই জোটের দুটি দল গণসংহতি আন্দোলন ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে গেলেও বাম জোটের বাকিরা শাসক শ্রেণির দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ-বিএনপির সঙ্গে সমদূরত্ব নীতি রক্ষা করে গেছে। এমনকি গত জুলাই-আগস্টের সরকার পতনের সফল আন্দোলনেও তারা নিজেদের মতো রাস্তায় থেকেছে। সাম্প্রতিক বৈঠকটি যে...
    গাজা উপত্যকায় হামাসের কাছ থেকে জিম্মিদের মুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, নাকি সেখানে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর তথাকথিত ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ চলবে, এ প্রশ্নে দিন দিন বিভক্ত হয়ে পড়ছেন ইসরায়েলের জনগণ। তবে দেশটির সরকার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে গাজায় পূর্ণ বিজয় চাইছে। সে ক্ষেত্রে সরকার দ্বিতীয় বিকল্পটিই বেছে নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছে। প্রথমে এই বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা ঠেকাতে না পারায় চাপের মুখে পড়েন নেতানিয়াহু। এরপর দীর্ঘ ১৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধের অবসান না ঘটাতে পারা বা যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা কেমন হবে, তার রূপরেখা তুলে ধরতে না পারার চাপে আছেন তিনি।গত মার্চে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু একতরফাভাবে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি বাতিল করেন। চুক্তি অব্যাহত থাকলে গাজা থেকে জিম্মিদের মুক্তি পাওয়ার...
    ত্রিশ বছরের বেশি সময় ধরে ব্রাজিলে থাকেন তিনি। লাতিন ফুটবলের প্রবল টান আর ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের মুগ্ধতায় তিনি ইংল্যান্ড ছেড়ে ব্রাজিলে ফ্রিল্যান্স করছেন। বিখ্যাত সেই ক্রীড়া সাংবাদিক টিম ভিকরি ব্রাজিলের নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে নিয়ে নিজস্ব কিছু বিশ্লেষণ করেছেন। যেখানে এই অভিজ্ঞ সাংবাদিক প্রথমে ব্যাখ্যা করেছেন কেন বহু বছরের প্রথা ভেঙে ইউরোপিয়ান কোচ আনল ব্রাজিল ফুটবল সংস্থা। আনচেলত্তি আসায় ব্রাজিল কি পারবে বিশ্বকাপে তার হারানো গৌরব ফেরাতে?  আপাতত এই দুটি কৌতূহল সারাবিশ্বের ব্রাজিল সমর্থকদেরও; যার উত্তর দিতে গিয়ে একটি পডকাস্ট চ্যানেলে টিম ভিকরি জানিয়েছেন, ‘আনচেলত্তি ইউরোপের পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন লিগে চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ ছিলেন। তাঁর এই সফলতার হার দেখে আকৃষ্ট হয়েছে ব্রাজিল। তা ছাড়া ২০০২ সালের পর থেকে বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরে ব্রাজিল ইউরোপিয়ান দলগুলোর কাছে নকআউট পর্বে হেরে বিদায় নিয়েছে। সে...
    বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোকে দলীয় রাজনীতির বাইরে রেখে জাতীয় স্বার্থের আলোকে এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডা সদরদপ্তরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই বার্তা দেন সংস্থাটির নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলো বিডা উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, দেশের স্বার্থ, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং শ্রমিক স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে বিনিয়োগের বিষয়টি ভাবতে হবে। এছাড়া দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, অবকাঠামো উন্নয়ন, আইনি জটিলতা দূর করার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগের বিষয়েও গুরুত্ব দিতে বলেন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। তারা আরও বলেছে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি ২০২৬ সালের জুন পর্যন্তই ক্ষমতায় থাকতে চায়, তবে শেখ হাসিনার সরকার যেসব বড় বড় ভুল বিনিয়োগ করেছিল, সেগুলো সংশোধনে জোর দেওয়া উচিত...
    বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোকে দলীয় রাজনীতির বাইরে রেখে জাতীয় স্বার্থের আলোকে এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডা সদরদপ্তরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই বার্তা দেন সংস্থাটির নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলো বিডা উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, দেশের স্বার্থ, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং শ্রমিক স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে বিনিয়োগের বিষয়টি ভাবতে হবে। এছাড়া দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, অবকাঠামো উন্নয়ন, আইনি জটিলতা দূর করার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগের বিষয়েও গুরুত্ব দিতে বলেন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। তারা আরও বলেছে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি ২০২৬ সালের জুন পর্যন্তই ক্ষমতায় থাকতে চায়, তবে শেখ হাসিনার সরকার যেসব বড় বড় ভুল বিনিয়োগ করেছিল, সেগুলো সংশোধনে জোর দেওয়া উচিত...
    দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ শুনতে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা যোগ দিলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) অংশ নেয়নি। এ প্রসঙ্গে বিএনপি বলেছে, বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে বর্তমানে যা চলছে সেটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়। তাদের উচিত নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করে বিনিয়োগকারীদের প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিডা কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন (আশিক চৌধুরী)।বিডা সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে ১৯টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এর মধ্যে ১৭টি দল থেকে শীর্ষ নেতা বা প্রতিনিধি অংশ নেন। বিএনপি ও বিজেপির কেউ ছিলেন না। বিডা সূত্রে জানা যায়, সভায়...
    ‘যুদ্ধ নয়, বরং কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ভারত - পাকিস্থান সমস্যার সমাধান ঘটুক । রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শান্তি ফিরুক ।’ এমন দাবিতে কলকাতায় বড় মিছিল করেছে বাম দলগুলোর জোট বামফ্রন্ট।  স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় মধ্যে কলকাতার ধর্মতলার লেলিন মূর্তির পাদদেশ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ মিছিলে পা মেলান হাজার হাজার বাম নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। সেই মিছিলে যোগ দেয় বামফ্রন্টের বাইরে থাকা নাম দল সিপিআইএমএল লিবারেশন ও এসইউসিআই । যৌথ বিবৃতি দিয়ে রাজ্য বামফ্রন্টের তরফে জানানো হয় সিপিআই(এম), সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি, সিপিআই (এমএল) লিবারেশন, এসইউসিআই(সি), আরসিপিআই, এমএফবি, ওয়ার্কাস পার্টি, বলশেভিক পার্টি এদিনের মিছিলে অংশ নিয়েছে।  বামফ্রন্টের ওই বিবৃতিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে চলা পরিস্থিতি নিয়েই বক্তব্য পেশ করা হয়েছে...
    বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক বিন হারুন বলেছেন, “জাতীয় স্বার্থের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। এ বিষয়ে কোনো ধরনের কম্প্রোমাইজ (আপস) করা হবে না।” মঙ্গলবার (১৩ মে) টেকসই বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নীতিগত ধারাবাহিকতা, চলমান সংস্কার কার্যক্রম এবং এর সাম্প্রতিক অগ্রগতির বিষয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক দলের পরামর্শ ও সুপারিশ গ্রহণে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিডা চেয়ারম্যান। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডার প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৭টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক বিন হারুন। আরো পড়ুন: যে কারণে এনবিআরকে বিভক্ত করা হলো ফের কমেছে সোনার দাম সভায়...
    প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন: আস্থার সংকট, নাকি প্রহসন? এ প্রশ্ন বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর এক আলোচনার জন্ম দেয়। নির্বাচন যে একটি দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর মেরুদণ্ড, তা নিশ্চিত। তবে যখন নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়, তখন তা গণতন্ত্র নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলতে পারে। সত্যি কথা বলতে গেলে, বাংলাদেশের বিগত কয়েকটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিল এবং এর ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা কমে গেছে। নির্বাচনের ফলাফল, ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া, নির্বাচনকালীন সহিংসতা, ভোট ডাকাতি, দিনের ভোট রাতে এবং জাল ভোট প্রদান সম্পর্কিত বিভিন্ন অভিযোগ অনেক সময় বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। প্রহসনের নির্বাচন বলতে আমরা এমন একটি নির্বাচনকে বুঝি, যেখানে নির্বাচন প্রক্রিয়া নৈতিক এবং আইনগতভাবে সঠিক হয় না এবং সেই নির্বাচনে জনগণের মতামত বা ভোটের কোনো...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠন বা সংস্কারের লক্ষ্যে আলোচনা মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ধারাবাহিকতা। চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই আকাঙ্ক্ষা উন্মুক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সবাই ইতিহাসের এমন একটা মাহেন্দ্রক্ষণে উপস্থিত হয়েছি, যখন একটি গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণের মাধ্যমে সব নাগরিকের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং সে অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করার রূপরেখা তৈরির চেষ্টা করছি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা, যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পথরেখা কেমন হবে তা নির্দেশ করবে। সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের এল. ডি হলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ। আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও...
    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠন বা সংস্কারের লক্ষ্যে আলোচনা মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ধারাবাহিকতা। চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই আকাঙ্ক্ষা উন্মুক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সবাই ইতিহাসের এমন একটা মাহেন্দ্রক্ষণে উপস্থিত হয়েছি, যখন একটি গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণের মাধ্যমে সব নাগরিকের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং সে অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করার রূপরেখা তৈরির চেষ্টা করছি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা, যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পথরেখা কেমন হবে তা নির্দেশ করবে। সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের এল. ডি হলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ। আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও...
    নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দলগুলোর পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ঘিরে বাংলাদেশের রাজনীতি ইতিমধ্যেই সরব হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ ও স্বার্থের সংঘাত দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। নবীন ও প্রবীণ—সব রাজনৈতিক দলই নিজেদের সুবিধা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল গ্রহণ করছে।জাতীয় বনাম স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে তীব্র রাজনৈতিক মেরুকরণ তৈরি হয়েছে, তা নতুন কোনো রাজনৈতিক সমঝোতা বা বন্দোবস্তের সম্ভাবনাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দিতে পারে। কেননা বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে দেখা যায়, এখানে রাজনৈতিক বিরোধ অনেক সময়ই দ্রুত সংঘাতে রূপ নেয়। এমন সম্ভাবনা এবারও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।গত পাঁচ দশকে রাজনীতি ও সংঘাত যেন রেলের সমান্তরাল দুটি লাইন হয়ে একসঙ্গে এগিয়েছে। এর ফলে রাজনীতিতে যেমন অসৎ ও সহিংস প্রবণতাসম্পন্ন লোকজনের প্রভাব বেড়েছে,...
    জাতীয় পার্টিসহ (জাপা) আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোর নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। এ বিষয়ে সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দিনের কাছে চিঠি জমা দিয়েছে গণঅধিকারের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল। আবেদনে দলটি উল্লেখ করে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়েছে। জুলাই গণহত্যায় জড়িত থাকার কারণে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একইভাবে তাদের জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দল বাংলাদেশের নাগরিকের ওপর চালানো গণহত্যাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে গণহত্যাকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ যে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিল, তার অন্যতম সহযোগী ও বৈধতাদানকারী হিসেবে সক্রিয় ছিল জাতীয় পার্টিসহ জোটবদ্ধ বাকি দলগুলো। তাই গণহত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে এই দলগুলোর...
    আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোর নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ।আজ সোমবার দুপুরে এই দাবিতে একটি আবেদন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের কাছে তুলে দেয় গণ অধিকার পরিষদের একটি প্রতিনিধিদল।লিখিত আবেদনে বলা হয়, ১০ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। জুলাই গণহত্যায় জড়িত থাকার কারণে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একইভাবে তাদের জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দল বাংলাদেশের নাগরিকদের ওপর চালানো...
    রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধান সংস্কারে একমত হলেও, তা চাইছে নিজেদের মতো করে। বিএনপি বলেছে, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে তারা রাজি নয়। এনসিপির ভাষ্য, প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের প্রস্তাব থেকে সরে আসার সুযোগ নেই। জামায়াতে ইসলামী বলেছে, এ বিষয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোটে ফয়সালা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর জন্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে এনসিসি গঠনকে সমর্থন করছে না বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। গতকাল রোববার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে নাগরিক কোয়ালিশনের সম্মেলনে এসব মতামত দিয়েছেন দলগুলোর নেতারা। অন্যান্য দলের নেতারাও নিজ নিজ দলীয় অবস্থান তুলে ধরেন। নাগরিক কোয়ালিশন সংবিধানের ৭ সংশোধনীর প্রস্তাবনা তুলে ধরে। এতে নিম্নকক্ষের নির্বাচনের ভোটের অনুপাতে গঠিত উচ্চকক্ষের অনুমোদনে সাংবিধানিক নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষকে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের মতো শক্তিশালী করতে বিচার বিভাগের নিয়োগ উচ্চকক্ষের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে...
    নারীর অধিকার ও মর্যাদার প্রশ্নটি আবারও রাজনীতির আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। গত সপ্তাহে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ থেকে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্যদের অশালীন ভাষায় গালাগাল করা হয়েছে। নতুন দল এনসিপির কয়েকজন নেতাও সেই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। তারা তো প্রতিবাদ করেনইনি, উল্টো হেফাজতের সঙ্গে বেসুরা হলেও গান গেয়েছেন।  গত ৩ মে শনিবার সামাজিক মাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে রশি দিয়ে ফাঁসির মতো ঝুলানো নারী প্রতিকৃতিতে কয়েকজন জুতাপেটা করছেন। এক পর্যায়ে প্রতিকৃতিতে পেঁচানো শাড়ি খুলে যায়। পরে দু’জন এসে শাড়িটি পরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ‍্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, নীল রঙের কাতান শাড়ি পরানো কুশপুত্তলিকাটি দু’দিন ধরেই টিএসসিতে ঝুলানো ছিল। কোনো একটি সংগঠন সেটি ঝুলিয়েছে। তারা জানতে পেরেছেন, এটি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুশপুত্তলিকা। এখন প্রশ্ন হলো,...