আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হবে না: আযম খান
Published: 16th, October 2025 GMT
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, “আমরা স্পষ্ট বলেছি, আগামী নির্বাচনে পিআর পদ্ধতিতে হবে না। আমরা পিআর পদ্ধতি আগামী নির্বাচনের জন্য অবশ্যই বিশ্বাস করি না। কারণ, এই পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের মানুষকে তৈরি করতে কয়েকটা নির্বাচন সময় লাগবে।”
তিনি বলেন, “সংসদ ছাড়া পিআর পদ্ধতি কিভাবে আমরা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করব। এটা তো রাজনৈতিক দলগুলোকে বুঝতে হবে। বিশ্বের যে দেশগুলোতে পিআর আছে, সেখানে খুবই অস্তিত্বশীল অবস্থা বিরাজ করছে। বাংলাদেশের মানুষ পিআর বোঝে না, আমরা বুঝি না।”
আরো পড়ুন:
বিএনপি ২ পক্ষের সংঘর্ষ: মিলনের পর ভাই আলমের মৃত্যু
একই ধরনের কথাবার্তা শোনার মানসিকতা রাজনৈতিক দলেরও থাকতে হবে
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের নলগাইরা বাজারে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
আহমেদ আযম খান বলেন, “যারা পিআর সম্পর্কে ঐক্যমত পোষণ করছে, তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছে। কারণ পিআরের পক্ষে ঐক্যমত পোষণ করে তারা আরেক দিকে নমিনেশন দিয়ে জনগণের কাছে ভোট চাইতে শুরু করেছে। তাহলে কোনটা তাদের সত্যি। সত্যি হলো, তাদের প্রতারণা জাতির সঙ্গে। কাজেই স্পষ্ট বলতে চাই, এই প্রতারণা বাদ দিয়ে জাতির কাছে আসুন। জাতির সামনে নিজেদের আদর্শ তুলে ধরুন। জাতি যদি ভোট দেয়, তাহলে আপনারা সংসদে বসবেন।”
তিনি বলেন, “সামনের নির্বাচনে পিআরকে নিয়ে আন্দোলন করে লাভ হবে না। কারণ জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো পিআরের জন্য প্রস্তুত নয়।”
আহমেদ আযম খান বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বাংলাদেশের সর্বোত্তম রাজনৈতিক দল। এখানে একটি আসনে একাধিক প্রার্থী থাকাই স্বাভাবিক। আমি বিশ্বাস করি, এই একাধিক প্রার্থীই ধানের শীষে ভোট চাচ্ছেন। কাজেই একাধিক প্রার্থী থাকলেও দলের কোনো ক্ষতি হবে না। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।”
কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবিএম মাসুদুল আলম বিপ্লবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন- টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরনবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আকতারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আল মামুন, সাবেক চেয়ারম্যান মামুন অর রশীদ খান।
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র স আযম খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
শাহজালাল বিমানবন্দরে ৯০টি আইফোনসহ ১০২ স্মার্টফোন জব্দ, আটক ৪
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চার নারী যাত্রীর কাছ থেকে ১০২টি স্মার্টফোন জব্দ করেছে কাস্টমস। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে দুবাই-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে অভিযান চালিয়ে এসব স্মার্টফোন জব্দ করা হয়। এ সময় ওই যাত্রীদেরও আটক করা হয়।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কাস্টমস ও এভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্যরা যৌথভাবে ফ্লাইটটির সব যাত্রীকে বিশেষ নজরদারিতে রাখেন। গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের সময় ওই চার নারীকে সন্দেহ হলে তাঁদের আটক করা হয়। পরে তাঁদের শরীরে লুকানো অবস্থায় ৯০টি আইফোন ও ১২টি গুগল পিক্সেল মুঠোফোন পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীরা মুঠোফোনগুলোর বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে না পারায় কাস্টমস ফোনসেটগুলো জব্দ করে। কাস্টমসের হিসাব অনুযায়ী, জব্দ করা ফোনগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ওই যাত্রীরা চট্টগ্রাম থেকে উড়োজাহাজে ঢাকায় এসেছিলেন।
সম্প্রতি নজরদারি বাড়ানোয় চোরাকারবারিরা কৌশল বদলে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় আসা ফ্লাইটগুলোকে ব্যবহার করছে। পাচারকারীরা উড়োজাহাজের ভেতরেই চট্টগ্রাম থেকে ওঠা সহযোগীদের কাছে স্বর্ণ বা মোবাইল ফোন হস্তান্তর করে থাকে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে বিভিন্ন সময়ে সোনা, মুঠোফোন ও সিগারেট পাচারের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও শারজাহ থেকে আসা ফ্লাইটে এ ধরনের কার্যক্রম বেশি দেখা যায়। সম্প্রতি নজরদারি বাড়ানোয় চোরাকারবারিরা কৌশল বদলে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় আসা ফ্লাইটগুলোকে ব্যবহার করছে। পাচারকারীরা উড়োজাহাজের ভেতরেই চট্টগ্রাম থেকে ওঠা সহযোগীদের কাছে স্বর্ণ বা মুঠোফোন হস্তান্তর করে থাকে।