জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ২৫টি রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতারা অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ১টি বাদে ২৪টি দল ও জোটের ৪৮ জন নেতা সনদে সই করেন।

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় গতকাল শুক্রবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে জুলাই সনদ সই হয়। সেখানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নেয়।

সনদে সই করা নেতাদের দল ২২টি এবং জোট ২টি (১২–দলীয় জোট এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট)। যে ২২টি দল সনদে সই করেছে, তাদের ৪টির নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন নেই। ১৮টির আছে। দুই জোটের যে চারজন নেতা সই করেছেন, তাঁদের তিনজনের দল নিবন্ধনহীন। একেক দল ও জোটের পক্ষে দুজন নেতা সনদে সই করেন।

আরও পড়ুনস্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ যাচ্ছে না, জুলাই সনদে যা যা আছে১৩ ঘণ্টা আগে

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ২৫টি দলের নেতাদের নাম জানিয়েছে, যাঁরা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। দলগুলো ও নেতারা হলেন—

১.

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য নেয়ামূল বশির।

২. খেলাফত মজলিসের আমির আবদুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের।

৩. রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম ও মিডিয়া সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন।

৪. আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

৫. নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার।

৬. জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও মহাসচিব মোমিনুল আমিন।

৭. বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

দুই জোটের যে চারজন নেতা সই করেছেন, তাঁদের তিনজনের দল নিবন্ধনহীন। একেক দল ও জোটের পক্ষে দুজন নেতা সনদে সই করেন।

৮. বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির ইউসুফ আশরাফ ও মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ।

৯. বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

১০. গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

১১. জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব।

১২. গণ অধিকার পরিষদের (জিওপি) সভাপতি নুরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।

১৩. বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য বহ্নিশিখা জামালী।

১৪. জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান।

১৫. ১২-দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার এবং জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম।

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫২। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিক দলগুলোকে এই আলোচনায় ডাকা হয়নি। এসব দলকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।

১৬. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান।

১৭. গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান।

১৮. জাকের পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ভুইয়া ও গাজীপুর জেলা ছাত্র ফ্রন্টের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হাসান শেখ।

১৯. জাতীয় গণফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মঞ্জুরুল আরেফিন লিটু বিশ্বাস।

২০. বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির আবদুল মাজেদ আতহারী ও মহাসচিব মুসা বিন ইযহার।

২১. বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম।

২২. ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম (বাবলু) ও মহাসচিব মোহাম্মদ আবু ইউসুফ (সেলিম)।

২৩. জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি আব্দুর রব ইউসুফী ও মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।

২৪. ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের ও মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী।

২৫. আমজনতার দলের সভাপতি কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক রহমান।

আরও পড়ুনজুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যায়নি এনসিপি, রাজি করাতে সরকারের চেষ্টা অব্যাহত২ ঘণ্টা আগেকারা সনদে সই করেনি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় অংশ নেওয়া ছয়টি দল সনদে সই করেনি। দলগুলো হলো জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ জাসদ ও গণফোরাম।

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে সই না করার ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিল এনসিপি। সে অনুযায়ী তারা অনুষ্ঠানে যায়নি।

অন্যদিকে চার বাম দল গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিল, সব দলের ঐকমত্য না হওয়া, তাদের কিছু সংশোধনী প্রস্তাব আমলে না নেওয়া, ইতিহাস সঠিকভাবে উপস্থাপিত না হওয়াসহ কয়েকটি কারণে তারা সনদে সই করবে না।

গণফোরাম গতকাল অনুষ্ঠানে অংশ নিলেও সনদে সই করেনি। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সনদে সংশোধন করা হয়েছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। এখন তাঁরা কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বাক্ষর করবেন।

সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশন দুই পর্বে আলোচনা করে জুলাই সনদ তৈরি করেছে। প্রথম পর্বে ৩৩টি ও দ্বিতীয় পর্বে ৩০টি দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে তারা।

আরও পড়ুনজুলাই জাতীয় সনদে ২৪ দলের সই৭ ঘণ্টা আগে

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫২। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের শরিক দলগুলোকে এই আলোচনায় ডাকা হয়নি। এসব দলকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। মূলত ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে ভূমিকা বিবেচনা করে দলগুলোকে বাছাই করেছিল ঐকমত্য কমিশন।

রাজনীতি হচ্ছে একধরনের খেলা। সেখানে পরাজিতের কোনো মতামত থাকে না। পরাজিত যদি কোনো দিন ফিরে আসে, তাহলে আগের বিষয়গুলো থাকে না। ‘আইডিয়ালিস্টিক’ভাবে (আদর্শিক) কোনো কিছু দেখার সুযোগ নেই। এখন রাজনীতিতে ‘আইডিয়ালিজমের’ জায়গা নেই।লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ

লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ৩০টি দল ও জোট আলোচনায় অংশ নিয়েছিল। ২৪টি দল সই করেছে। সংখ্যার দিক দিয়ে এটা খারাপ নয়। চারটি বাম দলের সই না করা তেমন প্রভাব ফেলবে না। তবে এনসিপির অনুপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। কারণ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বে থাকা তরুণেরা দলটি গঠন করেছেন।

বাংলাদেশে কোনো কিছুকে ‘জাতীয়’ বলে দেওয়ার একটা প্রবণতা আছে উল্লেখ করে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, রাজনীতি হচ্ছে একধরনের খেলা। সেখানে পরাজিতের কোনো মতামত থাকে না। পরাজিত যদি কোনো দিন ফিরে আসে, তাহলে আগের বিষয়গুলো থাকে না। ‘আইডিয়ালিস্টিক’ভাবে (আদর্শিক) কোনো কিছু দেখার সুযোগ নেই। এখন রাজনীতিতে ‘আইডিয়ালিজমের’ জায়গা নেই।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ দ ন আহমদ দল ও জ ট র জ ল ই সনদ অন ষ ঠ ন র রহম ন ল ইসল ম আইড য় ল গণফ র ম র ক দল ন বন ধ দল র স জন ন ত পর জ ত ই কর ছ সদস য আবদ ল দলগ ল এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

জগন্নাথ হল ট্রাজেডি স্মরণে ঢাবিতে শোক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডির ৪০তম বার্ষিকী আজ। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ দিবসটি স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক পালন করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টায় দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

আরো পড়ুন:

সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জাবিতে শোক

একই দিনে ২ শিক্ষার্থীকে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান চবি

পরে জগন্নাথ হলের অক্টোবর স্মৃতি ভবনস্থ টিভি কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল, জগন্নাথ হলের প্রাক্তন প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অজয় কুমার দাস, ড. জগদীশ চন্দ্র শুক্লদাস, ডাকসুর ভিপি মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), জিএস এস এম ফরহাদ, জগন্নাথ হল সংসদের ভিপি পল্লব কুমার বর্মণ, জিএস সুদীপ্ত প্রামাণিক।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, জগন্নাথ হলের আহত ছাত্র প্রতিনিধি ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. হিমাদ্রি শেখর চক্রবর্তীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অ্যালামনাইবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান নিহতদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, “১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবরের মর্মান্তিক ঘটনা জাতি-ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র বাংলাদেশকে একত্রিত করেছিল। ঐক্যের এই বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করতে হবে এবং সমাজে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।”

তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি নতুন হল নির্মাণ, বিভিন্ন পুরাতন ভবন সংস্কারসহ বৃহৎ একটি উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের বিভিন্ন প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে এবং ইতোমধ্যেই প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে।”

উপাচার্য বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবার। সবাইকে নিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহৎ এই প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব অংশীজনের সহযোগিতা কামনা করেন।”

ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিসহ সবাইকে নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও উন্নত ও আধুনিক করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল, হোস্টেল ও প্রধান প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া, হল প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নিহতদের প্রতিকৃতি চিত্র ও তথ্যপ্রমাণাদি প্রদর্শন করা হয়। বাদ মাগরিব বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআ’সহ সব হল মসজিদে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে জগন্নাথ হলের একটি হলরুমের ছাদ ধসে পড়ে ২৬ জন শিক্ষার্থী, ১৪ জন অতিথি ও কর্মচারীসহ মোট ৪০ জন নিহত হন। এছাড়া অসংখ্য শিক্ষার্থী ও অতিথি আহত হন। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হয়।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দিনাজপুর সীমান্তে বিজিবি-গ্রামবাসীর সংঘর্ষ
  • জুলাই সনদ স্বাক্ষর বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা: মির্জা ফখরুল
  • জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ২৫ দল, কারা গেল, কারা যায়নি
  • ২৫ রাজনৈতিক দলের যেসব নেতারা অংশ নিলেন
  • কুলাউড়ায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত
  • দেশের মানুষ পিআর বোঝে না, চায়ও না: মেজর (অব.) হাফিজ
  • নির্বাচনের মৌসুমে অনেকে ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার করার চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • আমরা চাই, আপনার সাথে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সুসম্পর্ক বজায় থাকুক
  • জগন্নাথ হল ট্রাজেডি স্মরণে ঢাবিতে শোক