জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কীভাবে, জানুন ১০ প্রশ্নের উত্তরে
Published: 28th, October 2025 GMT
বহুল আলোচিত জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলো সই করেছিল ১৭ অক্টোবর। কিন্তু এর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, সেই জট কাটছিল না দলগুলোর মতভেদের কারণে। বিএনপি ভাবছে এ রকম, জামায়াত ভাবছে আরেক রকম, জাতীয় নাগরিক পার্টি ভিন্ন রকম ভেবে সনদে সই-ই করেনি। দলগুলোর সঙ্গে আবার আলোচনার পর নিজেরা বসে একটি উপায় ঠিক করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ মঙ্গলবার উপায়-সম্পর্কিত সেই সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশন মূলত জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের একটি খসড়া দিয়েছে। ১৬টি ধারায় এই সুপারিশমালা সাজিয়েছে কমিশন। তার শিরোনাম—জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫।
এ আদেশের গুরুত্বপূর্ণ ১০ তথ্য প্রথম আলোর পাঠকদের জন্য—
১.
আনুষ্ঠানিক আদেশ কেন প্রয়োজন
সুপারিশে তার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, যেহেতু জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জনগণের অনুমোদন প্রয়োজন এবং গণভোট অনুষ্ঠান, সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন এবং সেই পরিষদ কর্তৃক সংবিধান সংস্কার অপরিহার্য, তাই এটি বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা একান্ত প্রয়োজন।
২. গণভোটে কী থাকবে
জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার–সম্পর্কিত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। গণভোটের ব্যালটে প্রশ্ন থাকবে—‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং ইহার তফসিল-১–এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?’ তফসিল-১–এ সংবিধান–সংক্রান্ত ৪৮টি সংস্কার প্রস্তাব থাকবে। এখানে দলগুলোর আপত্তি বা নোট অব ডিসেন্টের উল্লেখ থাকবে না। ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যালটে প্রত্যেক ভোটার গোপনে ভোট দেবেন।
৩. গণভোট কবে হবে
ঐকমত্য কমিশন এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সময় বলে দেয়নি। সুপারিশে বলা হয়েছে, আদেশ জারির পর থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘যথোপযুক্ত’ সময়ে অথবা সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট হবে। গণভোট অনুষ্ঠানের জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে।
অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
৪. গণভোটের ফল হ্যাঁ হলে কী হবে
গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’-সূচক হলে পরবর্তী সংসদে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই পরিষদ সংবিধান সংস্কার বিষয়ে ‘গাঠনিক’ (কনস্টিটুয়েন্ট) ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।
আর যদি গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘না’–সূচক হয়, তাহলে এই প্রক্রিয়ার সেখানেই ইতি ঘটবে।
৫. সংবিধান সংস্কার পরিষদের কাজ কী হবে
সুপারিশে বলা হয়েছ, নির্বাচিত এমপিদের নিয়ে গঠিত সংবিধান সংস্কার পরিষদ প্রথম অধিবেশন শুরু থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কারেরর কাজ শেষ করবে। এই কাজ শেষ হওয়ার পর সংবিধান সংস্কার পরিষদ বিলীন হয়ে যাবে প্রথাগত সংসদে।
তবে ২৭০ দিনের মধ্যে যদি সংস্কার আনা না যায়, তবে কী হবে? তার ব্যাখ্যায় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ২৭০ দিনের মধ্যে তা অনুমোদন না করলে এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
৬. এমপিদের দুই শপথ
পরবর্তী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিরা সংস্কারের ২৭০ দিনের সময়সীমার আগপর্যন্ত সংবিধান সংস্কার পরিষদ পরিষদের সদস্য হিসেবে অভিহিত হবেন। এ জন্য তাঁরা নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন। এরপর সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে আরেকটি শপথ নেবেন।
আরও পড়ুনজুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের খসড়ায় কী আছে, পড়ুন বিস্তারিত ২ ঘণ্টা আগে৭. প্রস্তাব পাস কীভাবে
পরিষদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে সভাপ্রধান ও উপ-সভাপ্রধান (স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের মতো) নির্বাচন করবেন। কোরামের জন্য ন্যূনতম ৬০ (ষাট) জন পরিষদ সদস্যের উপস্থিতিই যথেষ্ট হবে। সংবিধান সংস্কার–সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রয়োজন হবে পরিষদের মোট সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট।
৮. উচ্চকক্ষ গঠন যেভাবে
সংবিধান সংস্কার শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে একটি উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। তবে ওই উচ্চকক্ষের মেয়াদ নিম্নকক্ষের (জাতীয় সংসদের) মেয়াদের শেষ দিবস পর্যন্ত হবে।
৯. সংস্কারের জন্য আর ভোট লাগবে না
সার্বভৌম জনগণের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে বলে সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে আর কোনো অনুমোদন বা ভোটের প্রয়োজন হবে না। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত হবে।
১০. নোট অব ডিসেন্টগুলোর কী হবে
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিভিন্ন প্রস্তাবে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ‘নোট অব ডিসেন্ট’ ছিল। এর আগে বলা হয়েছিল, যেসব দলের যে প্রস্তাবে নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে, তারা ক্ষমতায় গেলে ওই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে তাদের ওপর বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
মঙ্গলবার খসড়া জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে কী হবে—সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে আলী রীয়াজ বলেন, তাঁরা সরকারকে বলেছেন এগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে। জনগণের রায় পাওয়ার পর রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশন ৪৮ বিষয়ে জনগণের সম্মতি-অসম্মতিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
আরও পড়ুনআগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার করবে ৯ মাসে৮ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ল ই জ ত য় সনদ ন ট অব ড স ন ট ২৭০ দ ন র জ ল ই সনদ প রস ত ব দলগ ল র জনগণ র র জন য র র জন গণভ ট প রথম সদস য ক ষমত
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের শেষ বৈঠক হয়ে গেল, সুপারিশ দেবে আগামীকাল
সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়–সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সুপারিশ হস্তান্তর করা হবে। আজ সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে কমিশনের সমাপনী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশন সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। সমাপনী বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের পর থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা পর্যন্ত সব ডকুমেন্ট, আলোচনার ভিডিও, অডিও ও ছবি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এগুলো মহামূল্যবান সম্পদ। জাতি হিসেবে আমরা কোন প্রেক্ষাপটে কী প্রক্রিয়ায় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম, তা সকলের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং উন্মুক্ত থাকা দরকার। যত বৈঠক হয়েছে, সেগুলোর ছবি ও ভিডিও, যত চিঠি চালাচালি হয়েছে—সমস্ত ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে এবং ক্যাটাগরি করে রাখতে হবে। টেলিভিশনে যেসব আলোচনা লাইভ প্রচার হয়েছে, সেগুলো খণ্ড খণ্ড আকারে সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ, এগুলো হবে ইতিহাসের চিরজীবন্ত দলিল। যারা গবেষণা করতে চায়, তারা যেন এগুলো দেখে কাজে লাগাতে পারে। প্রজন্মের পর প্রজন্মে এই ডকুমেন্ট থেকে যাবে। এই দলিলগুলোই ভবিষ্যতের রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।’
এ সময় রাজনৈতিক দল, ঐকমত্য কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, গবেষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা। সমাপনী বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করার পাশাপাশি অন্য সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নেও সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা।
‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য কাজ করেছে’ উল্লেখ করে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আইনবিশেষজ্ঞ, বিচারপতি, শিক্ষাবিদসহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘চব্বিশের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি মূল দায়িত্বের (বিচার, সংস্কার, নির্বাচন) একটি কাঠামোগত সংস্কার। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান দায়িত্ব ছিল, সংস্কারের একটি রূপরেখা তৈরি করা। মিল-অমিল সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা দৃশ্যমান ছিল। তারা বরাবরই আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। দিনের পর দিন অত্যন্ত ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছেন।’
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘চব্বিশে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থান আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে, সেটা যেন হারিয়ে না ফেলি। কমিশন সংস্কারকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে জনগণ কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন দেখতে পারে। কমিশন দায়িত্ব শেষ করল। আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর হবে। কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ অক্টোবর। এরপরও সরকারের প্রয়োজন হলে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করব।’
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সবাই সরকারের নিবিষ্টতা ও সাহসিকতার প্রত্যাশা করে। গণ–অভ্যুত্থানে এত তাজা প্রাণ ঝরে গেল, এত মানুষ আহত হলো—এটা স্মরণে রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার যাতে নিশ্চিত হয়। এই সুযোগ যেন না হারাই।’
কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক বলেন, ‘গণ–অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল, একই রকম আন্তরিকতার প্রতিফলন ছিল কমিশনের বৈঠকগুলোতে। এটা খুবই ইতিবাচক দিক।’ পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য সফর রাজ হোসেন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলো বসে ধৈর্যের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের সৌহার্দ্য থাকে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য ইফতেখারুজ্জামান জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুদক সংস্কারেও সরকারকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, ‘যতগুলো শহীদ পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তারা প্রত্যেকে আমাদের জানিয়েছে, সংস্কার নিশ্চিত করা না হলে তাদের সন্তানদের জীবন উৎসর্গ করা বৃথা যাবে বলে তারা মনে করে। যারা জুলাইয়ে জীবন দিল তারাই এর মূল ভিত্তি।’
আগামীকাল দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়–সম্পর্কিত সুপারিশ হস্তান্তর করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।