গণভোট নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হতে পারে: এবি পার্টি
Published: 30th, October 2025 GMT
গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে নির্বাচন অনিশ্চিত এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে পদত্যাগ করে চলে যেতে হতে পারে বলে মনে করছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বিজয় নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণভোট কবে হবে, তা নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী পাল্টাপাল্টি দাবি জানিয়ে আসছে। বিএনপির চায়, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হবে। অপর দিকে নভেম্বরে গণভোট করে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিয়ে তার আলোকে জাতীয় নির্বাচন চাইছে জামায়াতে ইসলামী।
এ পরিস্থিতিতে এবি পার্টির চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাঁদের দল কখন গণভোট চায়। জবাবে মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা আশা করি, সরকার চূড়ান্তভাবে যখন গণভোট আয়োজন করবে, তা রাজনৈতিক দলগুলো মেনে নেবে। ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে নির্বাচন আয়োজনে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে এবং প্রফেসর ইউনূসকে পদত্যাগ করে চলে যেতে হতে পারে।’ তখন পরিস্থিতি ভয়ানক জটিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির পক্ষ থেকে আবারও বিবদমান পক্ষগুলোকে অহমিকা ও তর্কবিতর্ক ছেড়ে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত সুপারিশ কার্যকরে একমত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
মজিবুর রহমান বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাহী আদেশ জারির পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া সংসদের প্রথম ৯ মাসে (২৭০ দিন) সংবিধান সংস্কার পরিষদ সংস্কার সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
মজিবুর রহমান আরও বলেন, যেসব বিষয় সংবিধানসংশ্লিষ্ট নয়, তা সরকার অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারে এবং সুপারিশের অনেক বিষয় আছে, যা অফিস আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এসব বিষয়ে দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের কোনো মতভিন্নতাও নেই। প্রথম দুই ভাগের বিষয়গুলো দ্রুত বাস্তবায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শেষ ভাগের প্রস্তাবগুলোর জন্য দুটো বিকল্প রাখা হয়েছে এবং গণভোটে জনগণের বৈধতা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিশন।
গণভোটের দিনক্ষণ ঠিক করার বিষয়টি সরকারের ওপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি নিয়ে সুপারিশে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে দলীয় নেতাদের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, আনোয়ার সাদাত, ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ: রাজনীতিতে যে সংকট তৈরি করতে পারে
অতি দীর্ঘ, পরিশ্রমসাধ্য একটি জার্নির পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তার কাজ শেষ করল। কমিশনকে অভিনন্দন। কিন্তু সর্বশেষ কমিশন যেভাবে তাদের সুপারিশ দিয়েছে, তা একদিকে যেমন কমিশনের এত দিনের কাজকে অর্থহীন বলে প্রমাণ করার ঝুঁকি তৈরি করেছে, অপর দিকে দেশকে ঠেলে দিতে পারে রাজনৈতিক সংঘাতের দিকে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রাথমিক দায়িত্ব ছিল প্রাথমিকভাবে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তাবনা তৈরি করা এবং সেটার ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা করা। সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, সেটা তাদের কর্মপরিধির মধ্যে ছিল না। জামায়াত, এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ জুলাইয়ের পর ঐকমত্য কমিশন সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলো ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক–অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করে। দীর্ঘ আলোচনার পরও এ ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেনি কমিশন।
প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে পদ্ধতির কথা বলছে, তাতে দেখা যায় ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫’-এর মাধ্যমে কিছু প্রস্তাব তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়ন করা হবে এবং বাকিগুলোর যেগুলোতে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন, সেগুলোকে গণভোটে দিয়ে জনগণের মতামত নিতে হবে। এরপর সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন করে এবং ওই সংস্কার পরিষদের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার করতে হবে।
নির্বাচনের পরে ৯ মাসের মধ্যে সংবিধান সংশোধন করার কথা বলা হয়েছে। গণভোটের ম্যান্ডেটের পরও সেই সংসদ যদি এই সংশোধনীগুলো বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ৯ মাসের মাথায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে আইনি কাঠামোর মাধ্যমে সবকিছু করিয়ে ফেলা যায় না, এই বাস্তবতা মাথায় নিয়ে আমাদের কর্মপদ্ধতি ঠিক করা উচিত। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী এই সংকট নিয়ে আলোচনা চলছে; শিগগিরই লিখতে চাই এই ইস্যুতেও।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সময় বাকি আছে সর্বোচ্চ সাড়ে তিন মাস। সরকার এমনিতেই নানা সংকটে জেরবার। দেশের অর্থনীতি ভালো চলছে না, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট নাজুক। এর মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ, দ্বন্দ্ব-সংঘাত বাড়ছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের যে পদ্ধতি প্রস্তাবিত হয়েছে, সেটা গ্রহণ করা কোনোক্রমে উচিত হবে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। কারণ, এভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে গেলে উদ্ভূত পরিস্থিতি জাতীয় নির্বাচনকেই অনিশ্চিত করে তুলবে।জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতিতে এর চেয়েও বড় সংকট আছে। ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সংবিধানের সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটে রাজনৈতিক দলের ভিন্নমতের বিষয়ে উল্লেখ থাকবে না। ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, তার ওপরই গণভোট হবে। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংবিধান সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই তা বাস্তবায়িত হবে।
কমিশনের এই সিদ্ধান্ত দেখে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে সনদ স্বাক্ষরের দিন স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থাকা এনসিপির স্বাক্ষর শেষ মুহূর্তে নিশ্চিত করতে তাদের দেওয়া শর্ত মেনেই এমন প্রস্তাব করেছেন তাঁরা। রাজনৈতিক দর-কষাকষির জন্য এমন শর্ত দেওয়াটা চলতে পারে, কিন্তু সেটাকে সনদ স্বাক্ষরের অলঙ্ঘনীয় শর্ত বানিয়ে ফেলাটাকে রাজনৈতিক অপরিপক্বতা হিসেবে দেখা যেতে পারে। আর সেটা গ্রহণ করে ঐকমত্য কমিশন তার বিবেচনাবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
এটা মানতে দ্বিধা নেই, রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কারের বিভিন্ন ইস্যুতে ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) অনেক ক্ষেত্রেই অনেকের কাছে অযৌক্তিক বলে মনে হতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে কোনো দল যদি ভিন্নমত প্রকাশ করে, তবে তাকে সম্মান জানানো উচিত। এখন যেভাবে গণভোটের প্রস্তাব করা হচ্ছে, তাতে প্রশ্ন আসতেই পারে, কেন মাসের পর মাস ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অতি দীর্ঘ আলোচনা করা হলো?
আরও পড়ুনজুলাই সনদ বাস্তবায়ন আর গণভোটের রাজনীতি১৬ অক্টোবর ২০২৫প্রাথমিক ছয় কমিশন তো রাজনৈতিক দলগুলোসহ সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই তাদের সুপারিশ প্রদান করেছে। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের একজন সদস্য হিসেবে আমি জানি সেই সুপারিশ তৈরির জন্য কত রকম অংশীজনের কাছ থেকে মতামত নেওয়া এবং সেটা বিবেচনা করা হয়েছে। এসব কমিশনের সুপারিশ থেকে বিবেচনা করে একটি চূড়ান্ত সুপারিশ করার মতো যথেষ্ট বিজ্ঞ সদস্যরা আছেন ঐকমত্য কমিশনে। এরপর সেটা এখন যেভাবে গণভোটে দেওয়ার কথা হচ্ছে, সেভাবে গণভোটে দিয়ে দেওয়া যেত।
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল নিজেদের পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে অনেক ক্ষেত্রেই সরে এসে অনেক সাংবিধানিক সংস্কার প্রস্তাবে একমত হয়েছে। এই একমত হওয়ার সুবিধা যেমন আমাদের নেওয়া উচিত, তেমনি তাদের ভিন্নমতকেও মর্যাদা দেওয়া উচিত। ঐকমত্য কমিশন প্রস্তাবিত গণভোট একটি মারাত্মক সংকট তৈরি করতে পারে। ভিন্নমত যুক্ত করা ছাড়া প্রস্তাবগুলো সব যদি প্যাকেজ আকারে গণভোটে যায়, তাহলে দেশে কার্যকর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় দলটি (বিএনপি) সেই গণভোটে কী অবস্থান নেবে?
সংবিধান সংস্কারের অনেকগুলো ইস্যুতে বিএনপি দ্বিমত প্রকাশ করেছে, বিতর্ক করেছে এবং রাজনৈতিক ঝুঁকি থাকার পরও সেগুলোতে স্থির থেকেছে; ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছে। দলটি এখন এই গণভোটের জন্য সব সংস্কার প্রস্তাব মেনে নেবে? ওদিকে ভিন্নমতের বিষয়গুলোর প্রতি যেহেতু দলটির খুব কঠোর বিরোধিতা আছে, তাহলে কি তারা ‘না’ ভোটের পক্ষে যাবে?
বিএনপি যদি এই গণভোট হওয়াকে গ্রহণ করে এবং ‘না’ ভোটের পক্ষে যায়, তার সঙ্গে যদি পতিত স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের ‘না’ ভোট যুক্ত হয়ে যদি ‘না’ বিজয়ী হয়, তাহলে তো এই পুরো সংস্কারপ্রক্রিয়া ভেস্তে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা, এভাবে গণভোট হওয়াটা যদি বিএনপি গ্রহণ না করে এবং এর বিরুদ্ধে মাঠে রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন কী হবে?
অথচ ভিন্নমতসহ এই সনদের প্রস্তাব গণভোটে যেতে পারত। নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজিত হলে (সেটা হওয়াই ব্যবস্থাপনাগত দিক থেকে সঠিক হয়) এবং তাতে যদি ‘হ্যাঁ’ জয়লাভ করে, তাহলে ক্ষমতায় যে দল যাবে, সেই দলের একমত হওয়া সংস্কার প্যাকেজ কার্যকর হবে।
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হলে আরেকটা সুবিধা পাওয়া যাবে—দলগুলো তাদের অনুমোদিত সংস্কারকে নির্বাচনী ইশতেহারে যুক্ত করতে পারবে। এতে এটাও বোঝা যাবে, জনগণ কতটুকু সংস্কার গ্রহণ করতে এই মুহূর্তে প্রস্তুত। প্রতিটি দল যেহেতু মনে করে জনগণ সংস্কার চায় এবং তারা যেভাবে সংস্কার চায় জনগণও সেভাবেই চায়, তাহলে গণভোট সেটারও একটা পরীক্ষা হয়ে যাবে। জনগণ চায় বলে রাজনৈতিক দলগুলো কথা বলবে, কিন্তু জনগণের সত্যিকার ম্যান্ডেট নিয়ে সেটাকে প্রতিষ্ঠিত করার আত্মবিশ্বাস রাখবে না, এটা তো হওয়া উচিত না।
আরও পড়ুনগণভোট অপ্রয়োজনীয়, তবে এরপরও যদি হয়...০৮ অক্টোবর ২০২৫ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশমতো সরকার গণভোটের আয়োজন করতে গেলে অনিবার্যভাবেই দেশে রাজনৈতিক অনৈক্য, এমনকি সংঘাত তৈরির পরিস্থিতি তৈরি হবে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমনিতেই দ্বন্দ্ব-সংঘাত বাড়ছে। এমন একটি প্রেক্ষাপটে এমন সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই পরিস্থিতিকে আরও সংঘাতময় করে তুলবে।
গণভোট প্রশ্নে শেষ পর্যন্ত কী হবে, সেটা ভবিষ্যৎ বলবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তৈরি হয়েছিল সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মোটা দাগে মতৈক্য প্রতিষ্ঠা করতে। দীর্ঘ সময় ধরে কাজটি তারা দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে করেছে। কিন্তু গণভোট প্রশ্নে অবস্থান শেষ মুহূর্তে এসে কমিশনের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সময় বাকি আছে সর্বোচ্চ সাড়ে তিন মাস। সরকার এমনিতেই নানা সংকটে জেরবার। দেশের অর্থনীতি ভালো চলছে না, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট নাজুক। এর মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ, দ্বন্দ্ব-সংঘাত বাড়ছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের যে পদ্ধতি প্রস্তাবিত হয়েছে, সেটা গ্রহণ করা কোনোক্রমে উচিত হবে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। কারণ, এভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে গেলে উদ্ভূত পরিস্থিতি জাতীয় নির্বাচনকেই অনিশ্চিত করে তুলবে।
জাহেদ উর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
মতামত লেখকের নিজস্ব