শাল-গজারি আর ঘন সবুজে আচ্ছাদিত মহাকাশ পর্যবেক্ষণের মানমন্দিরের সামনের মাঠে বসানো হয়েছে টেলিস্কোপ। একজন প্রকৌশলীর তীক্ষ্ণ নজর টেলিস্কোপের ওপর। মাঠের পূর্ব পাশে কয়েকটি তাঁবু। পাশেই বসেছে সংগীত আড্ডা, ছবি প্রদর্শনীসহ নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন। শতাধিক ব্যক্তি হাতে মোমবাতি নিয়ে উঁচু মাটির ঢিবির কাছে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা মাটির ঢিবির গায়ে রাখা মঙ্গল প্রদীপে জ্বালিয়ে দেন আগুন।
এভাবেই গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর গাজীপুরের শ্রীপুরের বিন্দুবাড়ী এলাকায় বেনু ভিটায় মানমন্দিরে শুরু হয় চন্দ্রোৎসব। রাতভর এ উৎসব চলে।
শেষ পৌষের রাতের আকাশে পূর্ণচন্দ্র দেখার এ উৎসব উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী কাবেরী জান্নাত বলেন, বেনু ভিটায় অবজারভেটরি সেই চাঁদের পূর্ণিমাকে আনন্দচিত্তে উদযাপন করছে চন্দ্রোৎসব-১৪৩১ নামে। তাদের চাওয়া নতুন প্রজন্ম চাঁদের আবেগ ও বিজ্ঞানের রহস্যকে আরও গভীর থেকে জানুক। তিনি বলেন, বেনু ভিটা অবজারভেটরির উদ্যোগে নানা আয়োজন হলেও এই প্রথম তারা চন্দ্রোৎসব আয়োজন করছেন। উৎসবে ছিল চাঁদবিষয়ক গান, গ্ৰামবাংলার পুঁথি পাঠ, চাঁদ নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, যন্ত্রসংগীত, জলতরঙ্গ, জঙ্গল সাফারি, আগুন জলসা।
মানমন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা শাহজাহান মৃধা বেনু বলেন, এটা তাদের প্রথম আয়োজন। এ আয়োজনের মাধ্যমে মহাকাশ, চাঁদবিষয়ক বৈজ্ঞানিক তথ্য জানা ও জানানো হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আড্ডা আর গানে চুয়েটে ‘জয়ধ্বনির’ উৎসবমুখর আয়োজন
মঞ্চে দাঁড়িয়ে কেউ গাইছেন গান, কেউ গিটারের তারে তুলছেন সুর। দর্শকেরাও সেই সুর মোহিত হয়ে উপভোগ করছেন। কেউ দিচ্ছেন করতালি, কেউবা মুঠোফোনের ফ্ল্যাশ জ্বেলে শিল্পীদের উৎসাহ দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে মঞ্চের আলোকসজ্জা তো আছেই।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) বাস্কেটবল মাঠে গিয়ে দেখা যায় এ দৃশ্য। উৎসবমুখর এ পরিবেশের আয়োজন করেছিল চুয়েটের সাংস্কৃতিক সংগঠন জয়ধ্বনি। সংগঠনটির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
সংগঠনটির দুই দিনব্যাপী এ উৎসবে দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া সংগঠনটির সাবেক ও বর্তমান সদস্যরাও রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে এ উৎসব শেষ হয়েছে। এ উৎসব ঘিরে মাঠের চারপাশে বসে বিভিন্ন ধরনের স্টল। এতে ছিল নানা পণ্য, খাবার ও শীতের পিঠা।
উৎসবের সহযোগিতায় রয়েছে প্রথম আলো, পৃষ্ঠপোষকতায় ইলেকট্রনিক কোম্পানি ‘হ্যাভিট’, খাদ্যসহায়তায় ‘পাহাড়িকা কিচেন’ আর বেভারেজ সহায়তায় মোজো।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসব। এরপর পর্যায়ক্রমে মঞ্চে গান পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিল্পীরা। বিরতির পর রাত নয়টায় আবার শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। একে একে মঞ্চে গান পরিবেশন করেন আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে পরিবেশকদের সম্মাননা দিয়ে প্রথম দিনের উৎসব শেষ হয়।
দুই দিনব্যাপী উৎসবের এ আয়োজন দেখতে ভিড় করেন হাজারো শিক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার রাতে চুয়েটের বাস্কেটবল মাঠে