এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার ঘোষণা দিল কানাডা
Published: 31st, July 2025 GMT
ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পর এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার ঘোষণা দিল কানাডা।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে তার দেশ। তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মার্ক কার্নি বলেন, “এই সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে গণতান্ত্রিক সংস্কারের ওপর, যার মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের আগামী বছর নির্বাচন আয়োজন এবং সেখানে হামাসের অংশগ্রহণ থাকবে না।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার একদিন আগে যুক্তরাজ্য ঘোষণা দেয়, যদি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে না আসে এবং অন্যান্য কিছু শর্ত পূরণ না করে তারাও সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। এক সপ্তাহ আগে ফ্রান্সও এমন পরিকল্পনার কথা জানায়।
এদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কানাডার এ ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এটিকে ‘হামাসকে পুরস্কার দেওয়ার সামিল’ বলে অভিহিত করেছে। জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৪৭টি এরইমধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
কানাডার বিরোধী দল এক বিবৃতিতে জানায়, “৭ অক্টোবরের সন্ত্রাসী হামলার পরপরই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ভুল বার্তা পাঠাবে।”
তবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার মাধ্যমে দুই-রাষ্ট্র সমাধানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম। আমাদের চোখের সামনেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সম্ভাবনা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।”
“গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের মাত্রা সহনীয় নয় এবং তা দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে,” বুধবার সাংবাদিকদের বলেন তিনি।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জানান, ঘোষণার আগে তিনি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
মার্ক কার্নির এ ঘোষণার সমালোচনা করে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে বলে, কানাডার এই পদক্ষেপ গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
কানাডার এই ঘোষণার পেছনে অভ্যন্তরীণ চাপও ছিল। মঙ্গলবার দেশটির প্রায় ২০০ সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক এক খোলা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানান, যেন তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেন। চিঠিতে বলা হয়, গাজায় ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি, নির্বিচার বোমাবর্ষণ, অনাহার এবং পশ্চিম তীরে সহিংসতা দেখে মনে হচ্ছে, কানাডা তার নীতিগত অবস্থান প্রতিদিনই হারাচ্ছে।
বুধাবর সংবাদ সম্মেলনে মার্ক কার্নির কাছে জানতে চাওয়া হয়, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের ঘোষণায় তিনি প্রভাবিত হয়েছেন কি না কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শ করেছেন কি না। জবাবে তিনি বলেন, “কানাডা তার নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নেয়।”
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ল স ত ন র ষ ট রক য ক তর
এছাড়াও পড়ুন:
সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮
ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।