অনুমতি ছাড়াই বিবৃতিতে ঢাবির আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের নাম, ক্ষোভ প্রকাশ
Published: 10th, July 2025 GMT
দেশের নানা ঘটনাকে ‘মব সন্ত্রাস’ আখ্যা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের একাংশ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ জন শিক্ষক স্বাক্ষর করেছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
তবে অভিযোগে উঠেছে অনেক শিক্ষককে না জানিয়ে তাদের নাম বিবৃতিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষকদের দাবি, গতকাল বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে মব সন্ত্রাস নিরসন ও প্রতিরোধের দাবি জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয় ঢাবি শিক্ষকদের একাংশ। ওই বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ জন শিক্ষক সই করেছেন বলে দাবি করা করা হয়। কিন্তু না জানিয়েই তাদের নাম বিবৃতিতে ব্যবহার করা হয়েছে । এ নিয়ে লিখিত প্রতিবাদও জানিয়েছেন অনেক শিক্ষক।
আরো পড়ুন:
ঢাবি ক্লাবে তালা মারার হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের
গোপালগঞ্জে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, শিক্ষক বহিষ্কার
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে এ নিয়ে লিখিত বক্তব্য দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক। তারা হলেন- সহযোগী অধ্যাপক ড.
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, বুধবার “মব ও মানবাধিকার ইস্যুতে উদ্বেগ জানিয়ে ঢাবির ‘আওয়ামীপন্থি’ ৭১ শিক্ষকের বিবৃতি” শিরোনামে কিছু নিউজ পোর্টালে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ জন শিক্ষক এতে স্বাক্ষর করেছেন। এতে আমাদের নামও উল্লেখ করা হয়েছে (যদিও উল্লিখিত নামগুলোতে যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে)।
তারা আরো বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে, এ বিষয়ে কেউ আমাদের সম্মতি নেয়নি, আমরা কোনো স্বাক্ষরও করিনি। ওই বিবৃতির সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা মনে করি, পূর্ব সম্মতি না নিয়ে কারো নাম বা স্বাক্ষর ব্যবহার করা সম্পূর্ণ অনৈতিক। অতএব, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এ রকম কাজের ক্ষেত্রে সব পক্ষের সচেতনতা কামনা করছি।
শুধু আরবী বিভাগ নয় এ বিবৃতির নাম নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ আরো অনেকে।
এ বিষয়ে উর্দু বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, “কে বা কারা এ বিবৃতি দিয়েছে, সে সম্পর্কে আমি জানি না। আমি এসব রাজনীতির মধ্যে নেই। আমাকে কেউ জিজ্ঞাসা করেনি। বিষয়টি জানার পর আমার খারাপ লাগছে। এসব কাজ কখনই উচিত নয়।”
ঢাবির আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ আলী বলেন, “এ বিবৃতি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। নীল দল এ সম্পর্কে জানে না। যারা এ বিবৃতি দিয়েছে, এটা তাদের নিজস্ব মতামত। নীল দলের সঙ্গে এ বিবৃতির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।”
এ বিষয়ে জানতে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ শ ক ষকদ র ন ল দল
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে ১ হাজার ৩০০-এর বেশি কর্মী ছাঁটাই
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার এসব কর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সিএনএনের হাতে আসা একটি অভ্যন্তরীণ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য উঠে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, এই ছাঁটাইয়ের আওতায় পড়বেন মন্ত্রণালয়ের সিভিল সার্ভিসের ১ হাজার ১০৭ কর্মকর্তা এবং ফরেন সার্ভিসের ২৪৬ কর্মকর্তা। এ ছাড়া এই পরিবর্তনের ফলে মন্ত্রণালয়ের শত শত কার্যালয় ও ব্যুরো বিলুপ্ত বা পুনর্গঠন করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে প্রায় ৩ হাজার সদস্যকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ত্যাগ করতে হবে। এর মধ্যে মন্ত্রণালয়ের চাকরিচ্যুত করা কর্মীদের পাশাপাশি যাঁরা স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ছেন, তাঁরাও রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ সালের ২২ এপ্রিলে প্রথমবারের মতো মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পুনর্গঠনের ঘোষণা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে দপ্তরটি অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম সুশৃঙ্খল করছে, যাতে কূটনৈতিক অগ্রাধিকারে বেশি গুরুত্ব দেওয়া যায়।’
যেসব ফরেন সার্ভিস কর্মকর্তাকে শুক্রবার জনবল হ্রাসের নোটিশ দেওয়া হবে, তাঁদের ১২০ দিনের জন্য প্রশাসনিক ছুটিতে রাখা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এরপর তাঁদের চাকরি মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে। আর চাকরিচ্যুত হওয়া অধিকাংশ সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তাকে প্রথমে ৬০ দিনের ছুটিতে রাখা হবে। এরপর তাঁদের ছাঁটাই কার্যকর হবে।