মাত্র পাঁচটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা। বিদেশের মাটিতে নিজের ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন। সেরা পেসার যশপ্রীত বুমরাকে যে সব ম্যাচে পাবেন না, সেটাও জানতেন। দলে নেই অভিজ্ঞ বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। এমন এক দল নিয়ে শুবমান গিল যখন জুনের শুরুতে ইংল্যান্ডে পা রাখলেন, তখন প্রশ্ন ছিল হাজারটা। উত্তর ছিল না।

দুই মাস শেষে সেই গিলের ভারত ইংল্যান্ড সিরিজে কেমন করল? খারাপ বলার সুযোগ আছে কি! বোধ হয় না। হেডিংলিতে প্রথম টেস্ট হেরে শুরুর ধাক্কা। এরপর এজবাস্টনে দুর্দান্তভাবে ফিরে আসা, তা–ও বুমরাকে ছাড়াই। লর্ডসে ভারত লড়াই করতে করতে হেরেছে ২২ রানে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে অগ্নিপরীক্ষা পেরিয়ে ড্র। এখন আরেকটি লড়াই বাকি, যেখানে জিতলেই সমতা।

অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির শেষ টেস্টে দাঁড়িয়ে গিলের তরুণ ভারত দল তাকিয়ে ২-২ সিরিজ ড্র করার সম্ভাবনার দিকে। ওভালে জিতে সিরিজ ড্র করতে পারলে সেটি ভারতের জন্য বড় অর্জন বলেই মনে করেন গিল।

আগের ম্যাচে অনেকে মনে করেছিল, ওয়াশিংটনকে আরও আগে আনা উচিত ছিল এবং সেটা ঠিক আছে। কিন্তু মাঠে থাকলে পরিস্থিতিটা ভিন্নভাবে দেখা যায়।শুবমান গিল

ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘ সিরিজের স্কোরকার্ড সবকিছু বলে না। প্রতিটি ম্যাচেই চার দিন পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছিল না কে জিতবে। বিদেশের মাটিতে এমন একটা তরুণ দল নিয়ে প্রতিটি ম্যাচে লড়ে যাওয়াটাই আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি। আর যদি সিরিজে সমতা করতে পারি, সেটা হবে এক বিশাল অর্জন।’

এই শতাব্দীতে ভারত ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জিতেছিল ২০০৭ সালে। ২০২১-২২ সালে সিরিজ ড্র হয়েছিল ২-২। দুটো ভারতীয় দলই ছিল তখন অনেক অভিজ্ঞ। সেই তুলনায় এবারের দলটা অনেক নতুন।

আরও পড়ুনসেঞ্চুরির সব রেকর্ড কি ভেঙে দেবে ইংল্যান্ড–ভারত সিরিজ২৯ জুলাই ২০২৫

গিল নিজে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ৪ টেস্টে রান করেছেন ৭২২, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক লোকেশ রাহুলের চেয়ে ২১১ রান বেশি। ব্যাটসম্যান গিল সফল হলে মাঠে অধিনায়ক হিসেবে তাঁর কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে। বিশেষ করে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে ওয়াশিংটন সুন্দরকে ৬৯তম ওভার প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা নিয়ে। এ ছাড়া এখনো সিরিজে মাঠে নামা হয়নি স্পিনার কুলদীপ যাদবের।

গিল ৪ টেস্টে রান করেছেন ৭২২.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ‘আরো শক্তিশালী করে’ পুনর্নির্মাণ করবে। রবিবার সরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করছে না।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছিল সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে তেহরান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “ভবন ও কারখানা ধ্বংস আমাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করবে না, আমরা আরো শক্তির সাথে পুনর্নির্মাণ করব।”

জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় ওয়াশিংটন বলেছিল, স্থাপনাগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যেএকটি কর্মসূচির অংশ ছিল। তবে তেহরান জানিয়েছিল, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক উদ্দেশ্যে।

ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এগুলো জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য, রোগের জন্য, জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ