শিক্ষার্থীদের এআই প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার সুযোগ নিতে হবে
Published: 31st, July 2025 GMT
বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষায় এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তির বহুমাত্রিক ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান। এআইয়ের সর্বোত্তম ব্যবহারকে গুরুত্ব দিয়ে এআই–নির্ভর শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ তৈরিরও পরামর্শ দিচ্ছে তারা। আর তাই গবেষণা খাতে এআই ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি এআইয়ের কারণে কী কী সংকট হতে পারে, তা তুলে ধরতে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের প্রয়াস ইনস্টিটিউট অব স্পেশাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (পাইজার) মিলনায়তনে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘এআই ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার নতুন সুযোগ’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) প্রয়াস ইনস্টিটিউট অব স্পেশাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (পাইজার)। সেমিনারে ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটিসহ বিভিন্ন এআই টুল বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণায় কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা সেমিনারে অংশ নেন।
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের এমফিল গবেষক জাহিদ হোসাইন খান এআই ও গবেষণার নানান পরিপ্রেক্ষিত সম্পর্কিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘২০২০ সাল থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বৈশ্বিক গবেষণা ও নতুন জ্ঞান অন্বেষণে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর তাই বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া উচিত। এআই প্রযুক্তি দ্রুতগতিতে উন্নত হচ্ছে, ফলে অনেক বিশেষজ্ঞ নতুন ডিজিটাল বৈষম্য তৈরির আশঙ্কা করছেন। আমাদের দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এআই প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার সুযোগ নিতে হবে। এ জন্য এআই প্রযুক্তির ভালো ও মন্দ দিকগুলো নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’
পাইজারের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.
পাইজারের অডিওলজি অ্যান্ড স্পিচ ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাথলজি বিভাগের প্রধান ফাতিমা আলম বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন নতুন বাস্তবতা। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার জন্য এখন এআই ও এআই–নির্ভর প্রযুক্তির ব্যবহার সারা বিশ্বেই বাড়ছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের সামনে এআইকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড় করানো যাবে না। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন নতুন গবেষণার সুযোগ তৈরি করতে হবে। বিশ্বের বড় বড় গবেষণাগার বর্তমানে এআই ব্যবহার করছে। আর তাই শিক্ষার্থী ও গবেষকদের পাশাপাশি শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এআই প্রযুক্তিমুখী হওয়া প্রয়োজন।
বর্তমানে চ্যাটজিপিটিসহ বিভিন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা ব্যবহার করছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত ব যবহ র কর ন র ভর প ইজ র
এছাড়াও পড়ুন:
এআইয়ের মাধ্যমে আয় করার কৌশল শেখাতে নতুন বই
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি দ্রুত উন্নত হচ্ছে। আর তাই দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ সহজে করার পাশাপাশি এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে বৈধভাবে আয়ও করছেন অনেকে। বাংলাদেশেও এআই প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। আর তাই এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্থ আয়ের পদ্ধতিগুলো তুলে ধরতে নতুন বই লিখেছেন লেখক ও সাংবাদিক মোজাহেদুল ইসলাম। ‘এআই শিখুন, টাকা গুনুন’ শিরোনামের বইটি প্রকাশ করেছে সিসটেক পাবলিকেশনস। বইটির মুদ্রিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা।
তিন ভাগে বিভক্ত বইটির প্রথম অংশে এআইয়ের মাধ্যমে আয় করার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই অংশে আধেয় (কনটেন্ট) তৈরির পদ্ধতিসহ এআই প্রম্পট ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে কীভাবে আয় করা যায়, তা জানা যাবে। দ্বিতীয় অংশে সাংবাদিকদের জন্য এআই টুল ব্যবহার করে অনলাইনে তথ্য খোঁজা, সূত্র যাচাই ও সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ রয়েছে। আর তৃতীয় অংশে এআইয়ের ঝুঁকি, ডিপফেক বা ভুয়া খবর চেনার কৌশল তুলে ধরা হয়েছে।
মোজাহেদুল ইসলাম জানান, বইটিতে এআইয়ের মাধ্যমে আয় করার অনেকগুলো উপায় সম্পর্কে জানা যাবে। ফলে যে কেউ চাইলে এআইয়ের মাধ্যমে ব্র্যান্ড এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপনার কাজ করতে পারবেন। যাঁরা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) নিয়ে কাজ করেন, তাঁরাও এআই-চালিত এসইও সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারবেন। চাইলে নিজস্ব জিপিটি বানিয়ে সেটি বিক্রি করেও আয় করা যাবে। একইভাবে এআই-চালিত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড অ্যাডভারটাইজিং ম্যানেজমেন্ট এবং অপটিমাইজেশনও করা যাবে।
বর্তমানে এআই হয়ে উঠছে মানুষের নতুন সহকারী। নতুন এই সহকারীর মাধ্যমে আয় করার পাশাপাশি ভুয়া ছবি বা তথ্য শনাক্তসহ সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে বইটি।