ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি আরও ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি আজ শনিবার মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির আওতায় তাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। খবর আলজাজিরার।

এক বিবৃতিতে তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনি বন্দিদের সংবাদমাধ্যম দপ্তর।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ১৮৩ ফিলিস্তিনি বন্দির মধ্যে ১৮ জন যাবজ্জীবন কারাভোগ করছিলেন। ৫৪ জনের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। আর বাকি ১১ জনকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর আটক করা হয়েছিল।

তবে এর আগে ইসরায়েলের কারাগার থেকে শনিবার ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। পরে এই সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের পাঁচজন ও তিন ইসরায়েলিসহ মোট আটজনকে মুক্তি দেয় হামাস। অন্যদিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পায় ১১০ জন ফিলিস্তিনি। যদিও নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিতে কালক্ষেপণ করেন। নির্ধারিত সময়ের পরে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাস যুদ্ধ শেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। প্রথম ধাপের ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে ৩৩ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে শত শত ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বন দ ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।

ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন। 

লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।

ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।

ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।

ঢাকা/রফিক/টিপু  

সম্পর্কিত নিবন্ধ