পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ধরাশায়ী হয়েছে ইংল্যান্ড। অভিষেক শর্মার ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ভর করে ভারত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ইংল্যান্ড ১০.৩ ওভারে মাত্র ৯৭ রানে অলআউট হয়। ১৫০ রানের বিশাল জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতে নেয় ভারত।

রান তাড়া করতে নেমে ফিল সল্টের ব্যাটে ২ ওভারেই ২৩ রান তুলে ফেলে ইংল্যান্ড। কিন্তু তখনও কোনো বল খেলার সুযোগ পাননি আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান বেন ডাকেট। দুর্ভাগ্য তার। প্রথম বল মোকাবিলা করেই আউট হয়ে যান গোল্ডেন ডাক মেরে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। তাতে ১০.

৩ ওভারেই তারা হয়ে যায় অলআউট।

ফিল সল্ট একমাত্র ফিফটি করেন। ২৩ বলে ৭টি চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ করেন তিনি। তার বাইরে জ্যাকব বেথেল করেন কেবল ১০ রান। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেনি দুই অঙ্কের কোটা। তাতে ভারতের ছুড়ে দেওয়া ২৪৮ রানের টার্গেটও ছোঁয়া হয়নি তাদের।

আরো পড়ুন:

পাওয়ার প্লে’তে ৯৫ রান তুলে ভারতের রেকর্ড

ঢাকা ছাড়ছেন রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচরা

বল হাতে ভারতের মোহাম্মদ শামি ২.৩ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী, শিভম দুবে ও অভিষেক শর্মা।

বিস্তারিত আসছে…

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

অজিদের হারিয়ে টেস্টের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা 

দক্ষিণ আফ্রিকার ধস নামে শেষে। জিততে জিততে হারই যেন তাদের নিয়তি। কিন্তু লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম ইনিংসেই যেন হারতে বসেছিল তারা। গল্পের যে বহু বাকি দ্বিতীয় ইনিংসে দেখিয়েছে প্রোটিয়ারা। দেখিয়েছেন প্রোটিয়া ক্রিকেটের শাপমোচনের ভার কাঁধে নেওয়া এইডেন মার্করাম। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২৮১ রান তাড়া করে ৫ উইকেটে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।  প্রথমবার টেস্টের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ঘরে তুলেছে আইসিসির দ্বিতীয় শিরোপা।

লর্ডসে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা বোলিং নিতেই উইকেট পেস বান্ধব হতে যাচ্ছে এই বার্তা পাওয়া গিয়েছিল। উইকেটে ঘাসের সুবিধা নিয়ে কাগিসু রাবাদার দুর্দান্ত বোলিংয়ে গত টেস্ট চক্রের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২১২ রানে অলআউট করে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। অজিরা বল হাতে ছিল আরও বিধ্বংসী। প্যাট কামিন্সের তোপে মাত্র ১৩৮ রানে ধসে যায় প্রোটিয়ারা। অস্ট্রেলিয়া ৭৪ রানের লিড নিয়ে শিরোপায় এক হাত দিয়ে ফেলে।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্টিভ স্মিথ ৬৬ রান করেন। বাও ওয়েবস্টার দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭২ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া অ্যালেক্স কেরি ২৩ ও মার্নাস লাবুশানে ১৭ রান যোগ করেন। ওই ইনিংসে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা রাবাদা ৫১ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন। মার্কোস ইয়ানসেন নেন ৩ উইকেট। প্রোটিয়াদের হয়ে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা প্রথম ইনিংসে ৩৬ রান করেন। ডেভিড বেডিংহাম ৪৬ রান যোগ করেন। কামিন্স ২৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নেন। মিশেল স্টার্ক ২ উইকেট দখল করেন।

দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলা ও তৃতীয় দিন সকালে পুনরায় ব্যাটিংয়ে বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ২০৭ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। ৬৬ রানে হারায় টপ ও মিডল অর্ডারের নির্ভরযোগ্য ৬ ব্যাটার। এর মধ্যে মার্নাস লাবুশানে ৬৪ বল খেলে ২২ রান করেন। অন্য কোন ব্যাটার ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি।

তৃতীয় দিন সকালে অবশ্য উইকেটের ঘাস মরে যাওয়ায় ও ঝলমলে রোদ ওঠায় পরিস্থিতি বদলে যায়। সুবিধা নিয়ে অ্যালেক্স কেরি ৪৩ রান করেন। তবে ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে কার্যকরী কাজটা করেন স্টার্ক ও জস হ্যালজউড। স্টার্ক ১৩৬ বল খেলে হার না মানা ৫৮ রান করেন। শেষ ব্যাটার হ্যালজউড ৫৩ বল খেলে ১৭ রান যোগ করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে রাবাদা ৪টি ও লুঙ্গি এনগিডি নেন ৩ উইকেট।

রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ৯ রানে ওপেনার রায়ান রিকেলটনকে হারায়। তবে অলরাউন্ডার ওয়ান মুলদারকে নিয়ে ওপেনার এইডেন মার্করাম ভিত্তি শক্ত করে ফেলেন। মুলদার ২৭ রান করে দলের ৭০ রানে ফিরে যান। মার্করাম ও বাভুমা সেখান থেকে ২১৩ রান তুলে জয়ের সুবাস নিয়ে দিন শেষ করেন। মার্করাম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ফিফটি হয় বাভুমারও। চতুর্থ দিনের শুরুতে বাভুমা ৬৬ রান করে ফিরে যান। মার্করাম ২০৭ বল খেলে ১৩৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে আউট হলেও জয় নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হয়নি প্রোটিয়াদের।   

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অজিদের হারিয়ে টেস্টের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা