কুমিল্লায় বাসের ধাক্কায় দুজনের মৃত্যু
Published: 28th, November 2025 GMT
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার হুগুলিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ইট ভাঙার ট্রাক্টরে বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন—কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ককড়িকান্দি গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৪৫) এবং একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হুগুলিয়া মার্কাজ মসজিদ এলাকায় মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ইট ভাঙার ট্রাক্টরকে পিছন দিক থেকে ধাক্কা দেয় স্টার লাইন পরিবহনের একটি বাস। ট্রাক্টরটি সড়কের পাশে উল্টে পড়ে। ঘটনাস্থলেই ট্রাক্টরে থাকা দুজনের মৃত্যু হয়।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/রুবেল/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে মাসের সর্বোচ্চ সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু
দেশে চলতি বছর ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়েছিল গত অক্টোবরে। আর নভেম্বর শেষ হওয়ার তিন দিন বাকি থাকতেই আজ সেই আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ জন আর এ সময় নতুন করে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৭ জন।
আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫৬৭ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোয় ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ২১১ জন। দুই সিটির বাইরে ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৯২। সব মিলিয়ে এবার এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে ৯২ হাজার ৭৮৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর এখন পর্যন্ত এডিস মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৭৭ জন।
এ মাসে ডেঙ্গু যে বেশি ছড়াবে, তা গত মাসেই আশঙ্কা করেছিলেন একাধিক গবেষক। এ মাসে ইতিমধ্যেই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ডিসেম্বরে ডেঙ্গু কিছু কমতে পারে, তবে তা খুব বেশি হারে কমবে না। আর ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার উপদ্রুবও খুব বেশি কমেনি এ মাসে, জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই তাঁদের ধারণা, ডেঙ্গুর আক্রমণ কমার জন্য আগামী বছরের জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবীরুল বাশার আজ প্রথম আলোকে বলেন, এ মাসে এডিস মশার বিস্তার যতটা কমবে বলে ভাবা হয়েছিল, তা কমেনি। আর এর ফলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আগামী মাসেও ডেঙ্গুর সংক্রমণ যে উল্লেখযোগ্য হারে কমবে, তা মনে হয় না। ডেঙ্গুর আক্রমণ কমতে পারে আগামী জানুয়ারি মাসের শেষ দিক থেকে।
অধ্যাপক কবীরুল বাশার মনে করেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কিউলেক্স মশার উপদ্রব বাড়তে পারে। বৃষ্টি হওয়ার এক মাস পর সাধারণত এডিস মশার বিস্তার বাড়তে থাকে। চলতি মাসের শুরুর দিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়। সে অনুযায়ী, এ দফায় এডিসের বিস্তার কমতে আগামী মাসের অন্তত সাত তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যদি এর মধ্যে আবার বৃষ্টি হয়, তবে ডেঙ্গুর প্রকোপ আবারও বাড়তে পারে।
এরই মধ্যে সাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই এখন পর্যন্ত জানাচ্ছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা।
২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চারজনই মারা গেছেন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটির ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়। উত্তর সিটির কোভিড–১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে মারা গেছেন একজন। বাকি তিনজনের মধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।
২০০০ সালে ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ওই বছর ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে মারা যান ৯৩ জন। ঘটনাটি সাধারণ মানুষের কাছে নতুন ছিল। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত ও মারা যান ২০২৩ সালে। সে বছর আক্রান্ত হয়েছিলেন তিন লাখের বেশি মানুষ, মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।