কারণ

● অতিরিক্ত ধূমপান করা।

● অ্যালকোহল, নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করা।

● কম সক্রিয় জীবনযাপন।

● ওজনাধিক্য।

● অতিরিক্ত স্ট্রেস।

● হরমোনজনিত সমস্যা (টেস্টোস্টেরন, থাইরয়েড, প্রোলাকটিন)।

● জিনগত কারণ।

● সংক্রমণ যেমন ক্ল্যামাইডিয়া, গনোরিয়া ইত্যাদি। 

● শুক্রনালির ব্লকেজ।

● অণ্ডকোষের টিউমার, ভেরিকোসিলি, মামস অরকাইটিস।

● দীর্ঘ সময় গরম আবহাওয়ায় কাজ করা।

কীভাবে শনাক্ত করা হয় 

বীর্য পরীক্ষার মাধ্যমে পুরুষ বন্ধ্যত্ব শনাক্ত করা সম্ভব। এর নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। তিন দিন সহবাস বন্ধ রেখে বীর্য পরীক্ষা করতে হবে। একটি বীর্য পরীক্ষার রিপোর্ট যদি খারাপ আসে তাহলে এক মাস পরে আরেকটি বীর্য পরীক্ষা করতে হবে। সেটিও যদি খারাপ আসে তাহলে অণ্ডকোষের আলট্রাসনোগ্রাফি ও হরমোন পরীক্ষা করতে হবে। 

আরও পড়ুনপুরুষের সমস্যা ভেরিকোসিল কেন হয়, চিকিৎসা কী?০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪যা করতে হবে

ওজন কমানো, প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটাচলা করা, সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া, তৈলাক্ত ও চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা।

স্ট্রেস কমানো এবং রাতে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা।

ধূমপান, মদ্যপান পরিহার করা।

শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতির উন্নতির জন্য কিছু মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট দেওয়া হয়। যেমন লেবোকারনিটিন, ভিটামিন সি, ই, ডি, বি কমপ্লেক্স, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। 

তিন মাস পর্যবেক্ষণের পর যদি শুক্রাণুর সংখ্যার উন্নতি না হয়, তাহলে ইন্ট্রাইউটেরাইন ইনসেমিনেশন বা আইভিএফ/ইকসি করা যেতে পারে।

ভেরিকোসিলি (অণ্ডকোষের শিরা ফুলে যাওয়া) বা শুক্রনালি বন্ধ। এ-জাতীয় সমস্যা থাকলে অনেক ক্ষেত্রে সার্জারি লাগতে পারে।

হরমোনজনিত সমস্যা থাকলে এর চিকিৎসা করতে হবে।

যদি শুক্রাণুর সংখ্যা বা গতির মাঝারি ধরনের সমস্যা থাকে, তবে সাধারণত আইইউআই এবং যদি শুক্রাণুর সংখ্যা বা গতির অনেক বেশি সমস্যা থাকে তবে ইকসি করা হয়।

কিছু ক্ষেত্রে বীর্যে কোনো শুক্রাণুই পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পারমিয়া বলা হয়, সে ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে শুক্রাণু নিয়ে ইকসি করা হয়।


ডা.

অবন্তি ঘোষ, গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যত্ব রোগবিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০, ঢাকা

আরও পড়ুনপুরুষের প্রোস্টেট স্ফীত হওয়ার সমস্যা২২ নভেম্বর ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব র য পর ক ষ সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াই ঘণ্টা পর শাহবাগ মোড় ছাড়লেন আন্দোলনকারীরা

আড়াই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখার রাজধানীর ব্যস্ততম শাহবাগ মোড় ছেড়ে গেছেন ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনকারীরা। আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে থেকে অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আন্দোলনকারীরা সড়ক ছেড়ে দিলে যান চলাচল শুরু হয়।

এর আগে বেলা তিনটায় পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে শুরু হয়। পরে বিকেল চারটার দিকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।

সেতু নির্মাণ ছাড়াও আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে ভোলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন, গ্যাসভিত্তিক শিল্পায়ন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং নদীভাঙন রোধে স্থায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ ও মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ।

আন্দোলনের সমন্বয়কারী মেহেরাব হোসেন অপি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ভোলায় গিয়ে আগামীকাল থেকে ভোলা লকডাউন কর্মসূচি পালন করব। এর আওতায় ভোলা থেকে গ্যাস, বিদ্যুৎ, কৃষিপণ্য এবং মৎস্য সরবরাহ হবে না। আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে চাই। আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।’

আন্দোলনের আরেক সমন্বয়কারী মীর মোশাররফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডিসি মাসুদ স্যার (ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের উপকমিশনার) আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আগামী রোববার সড়ক উপদেষ্টার (সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান) সঙ্গে বৈঠক হবে। সেখানে আমাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করা হবে।’

এই কর্মসূচি সামনে রেখে দুপুরের পর থেকেই শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল আসতে দেখা যায়।

আরও পড়ুনভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণসহ ৫ দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ