পেট কার্নিভালে অংশ নিচ্ছে এ সময়ের আলোচিত ব্যান্ড শিরোনামহীন এবং নন্দিত কণ্ঠশিল্পী, মডেল ও অভিনেতা তাহসান খান। সঙ্গে আরও থাকছে গানের দল ব্যান্ডউইথ। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ‘পেট কার্নিভাল উইথ লাইভ মিউজিক’ অনুষ্ঠানটি।

 এ আয়োজন করছে আরয়েস ও হেবি মেটাল টি শার্ট নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। আয়োজকরা জানান, পোষা প্রাণীর নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দত্তক, দায়িত্বশীল মালিকানা এবং অসহায় পশুদের উদ্ধারে তৎপরতায় তহবিল সংগ্রহ এবং এ কার্যক্রমের প্রচার ও সমর্থন আদায়ের উদ্দেশ্যে তাদের এই আয়োজন। দর্শক নির্দিষ্ট মূল্যের টিকিট সংগ্রহ করে এই কার্নিভালে অংশ নিতে পারবেন। আয়োজকরা আরও জানান, শুরুতে ১১ ফেব্রুয়ারি এ আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বেশ কিছু কারণে তা পিছিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারিতে নেওয়া হয়েছে। এদিন দুপুর ২টায় দর্শকদের জন্য স্কুলে গেট খুলে দেওয়া হবে। সংগীতায়োজন পর্ব শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা থেকে।  


কণ্ঠশিল্পী তাহসান খান বলেন, পোষা প্রাণীর প্রতি যাদের নিখাঁদ ভালোবাসা রয়েছে এবং যারা গান ভালোবাসেন, এই কার্নিভাল শুধু তাদের জন্যই। আমি আমার ব্যান্ডের সদস্যদের নিয়ে এতে অংশ নেব। সুরের মূর্ছনায় এ আয়োজনে বর্ণাঢ্য করে তোলার চেষ্টা করব। শিরোনামহীন ব্যান্ডের সদস্যদের কথায়, প্রাণিকুলের প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে এমন নজির খুব কমই চোখে পড়ে। তাই বিনোদনের মধ্য দিয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলার এই আয়োজন অন্যরকম এক উদাহরণ হয়ে থাকবে বলেই তাদের বিশ্বাস। ‘পেট কার্নিভাল উইথ লাইভ মিউজিক’ একই মত পোষণ করেছেন ব্যান্ডউইথ ব্যান্ডের সদস্যরা।

এদিকে পেট কার্নিভালে অংশ নেওয়া ছাড়াও শিরোনামহীনের ব্যান্ডের সদস্যরা পুরো মাসজুড়েই ব্যস্ত থাকবে একের পর এক কনসার্ট নিয়ে। একইভাবে নানা আয়োজনে ব্যস্ত তাহসান খান নিজেও।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কনস র ট ব য ন ড র সদস র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ