ভালোবাসা দিবসে দেশের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নাটক, ওয়েব ফিল্ম। অনুমিতভাবেই এসব কনটেন্টে উঠে আসবে ভালোবাসার গল্প। নির্মাতা ইফফাত জাহান মম নিয়ে আসছেন এমনই একটি নাটক ‘ব্যথার বাগান’। পরিচালকের ভাষ্যে, ‘এটি ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের গল্প।’

এর আগে ওয়েব ফিল্ম ‘মুনতাসির’ বানিয়ে আলোচিত হয়েছিলেন তরুণ নির্মাতা ইফফাত জাহান মম।

লেখক কিঙ্কর আহসানকেও নাটকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে। নির্মাতার সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জাবির গাঁজা সেবনকালে সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীসহ আটক ৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীসহ চার শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। 

তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগের ৫০তম ব্যাচের হৃদয় ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের একই ব্যাচের রাইসুল রুবাই, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৯ ব্যাচের কিরন সূত্রধর হিমু ও তন্ময় চন্দ্র রায়।

রবিবার (২৫ মে) দুপুর ২টার দিকে হলের ২৫৫/বি কক্ষে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় তাদের আটক করেন প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান। এ সময় হলের নিরাপত্তা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন:

ফুলের রাজ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

বরিশালে মেডিকেল ছাত্রের আত্মহত্যা, চিরকুট উদ্ধার

হলের ২৫৫/বি কক্ষের বসবাসকারী শিক্ষার্থী হৃদয় ইসলাম ও রাইসুল রুবাই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। তারা দুইজনই মীর মশাররফ হোসেন হলের অবৈধ ছাত্র। তবে হৃদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক ছাত্র। রাইসুল রুবাই ওই কক্ষে সিট দখল করে রাখলেও থাকেন অন্য হলে। তিনি ছাত্রলীগের রাজনাীতি করার সময় গণরুমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করতেন। অভিযুক্ত হৃদয় দুইজনের রুমে একাই থাকতেন এবং নিয়মিত গাঁজার আসর বসাতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযুক্ত অন্য দুইজন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের কিরন সূত্রধর হিমু ও তন্ময় চন্দ্র রায় আল বেরুনী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামাজ পড়ে হলের বারান্দা দিয়ে যাওয়ার সময় তারা গাঁজার গন্ধ পান। এ সময় দরজায় কয়েকজন নক করলে ভেতর থেকে সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে হলের প্রাধ্যক্ষ স্যারকে ডাকলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে গাঁজা সেবনরত অভিযুক্তদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। গাঁজার সোর্স সম্পর্কে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা সত্ত্বেও তাদের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হৃদয় বলেন, “আমি গত পরশুদিন ঢাকা থেকে আসার পথে গাঁজা নিয়ে আসি। আজ আমি বাড়ি চলে যেতাম। তাই ভাইদের মেসেজ দিয়ে আসতে বলি, পরে তারা আসেন। হল প্রশাসনের মাদকবিরোধী জিরো টলারেন্সের নীতি আমি জানতাম। আমার ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।”

অভিযুক্ত কিরন সূত্রধর হিমু গাঁজা খাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “হৃদয়ের সঙ্গে আমার পূর্বপরিচয় ছিল না। আজ তন্ময়ের সঙ্গে বটতলায় আড্ডা দিচ্ছিলাম। তখন তন্ময়ের সঙ্গে হৃদয়ের কক্ষে আসি।”

অভিযুক্ত তন্ময় চন্দ্র রায় দোষ স্বীকার করে বলেন, “বেলা ১১টার দিকে আমাকে হৃদয় হলে গাঁজা খেতে আসতে বলে। পরে আমি আর হিমু হলে আসি।”

মীর মশাররফ হোসেন হলে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, “হৃদয়কে শোকজ করা হবে এবং তাকে আজ বিকেলের মধ্যে হল ত্যাগ করতে বলেছি।”

তিনি বলেন, “এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস বরাবর অভিযোগপত্র দেব। যেহেতু সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী, তাই ওই হলের প্রাধ্যক্ষকেও অবহিত করব।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ