ছবি: প্রথম আলো

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

১৪৫ ভরি স্বর্ণ লুট, পুলিশ-সাংবাদিক-কৃষকলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পুলিশ পরিচয়ে দুই ভাইয়ের কাছ থেকে ১৪৫ ভরি স্বর্ণ, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাদের মধ্যে পুলিশ, সাংবাদিক ও কৃষকলীগ নেতা রয়েছেন।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম। গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। 

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ২

ছুরিকাঘাতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মীর মৃত্যু

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন- পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাব-ইন্সপেক্টর মো. আক্তারুজ্জামান মুন্সি, মাইটিভির ঢাকার শাহ আলী থানা প্রতিনিধি মো. রমজান, মানিকগঞ্জ জেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মো. রমজান আলী, মাইক্রোবাসচালক মো. জাকির হোসেন ও মিরপুরের জুয়েলার্স ব্যবসায়ী মো. ইসমাইল হোসেন।

মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম জানান, গত ৭ ডিসেম্বর বেলা সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যাত্রীবাহী বাসে স্বর্ণ নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই ভাই। গজারিয়া এলাকায় পুলিশের পোশাক পরা তিনজনসহ পাঁচজনের একটি দল বাস থেকে তাদের নামিয়ে ‘মাদক মামলা আছে’ বলে হাতকড়া পরিয়ে একটি নোয়া মাইক্রোবাসে তোলে। চোখ বেঁধে মারধর করে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে গাজীপুরের কালিগঞ্জে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে অভিযান শুরু করে। 

গত মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর সকাল থেকে ঢাকার কাফরুল, মিরপুর ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৯৪ ভরি ১৪ আনা স্বর্ণ, ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা (স্বর্ণ বিক্রির টাকা), ডাকাতিতে ব্যবহৃত নোয়া মাইক্রোবাস, দুই জোড়া হাতকড়া, দুটি ওয়াকিটকি, তিন সেট পুলিশের ইউনিফর্ম ও সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় গজারিয়া থানায় বিজয় দাস বাদী মামলা করেছেন। বাকি স্বর্ণ ও পলাতক একজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ