নারায়ণগঞ্জে সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে বসবাসরত এমবিবিএস ও বিডিএস চিকিৎসকদের সংগঠন "সিদ্ধিরগঞ্জ ডক্টর'স ইউনিটি" এর ইফতার মাহফিল ও সংক্ষিপ্ত সাইন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বিকাল ৫ টায় হীরাঝিল আবাসিক এলাকার স্কাইফ্লাই হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে এ ইফতার অনুষ্ঠিত হয়। 

সেমিনারে রমজান মাসে রোগীদের পেটের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন ডা.

আল ওয়াজেদুর রহমান। পরবর্তীতে সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা.মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। সবশেষ উক্ত সংগঠনের সকল চিকিৎসক, তাদের পরিবার, দেশবাসী এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়ার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ফাতেমাতুজ জোহরা (রা:) মাদ্রাসা ও এতিমখানার কয়েকজন হাফেজ ও এতিম ছাত্ররা অংশগ্রহণ করেন।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

পবিত্র আশুরা আজ

আজ ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি শোকের। ৬১ হিজরির এই দিনে ফোরাত নদী-তীরবর্তী কারবালার ময়দানে শহীদ হন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.)। তিনি হজরত আলী (রা.) ও হজরত ফাতেমার (রা.) পুত্র। হজরত আলীর মৃত্যুর পর খলিফা হন হজরত মুয়াবিয়া (রা.)। জীবদ্দশাতেই তিনি পুত্র ইয়াজিদকে উত্তরাধিকার মনোনীত করেন।

তবে ইয়াজিদের কাছে বায়াত নিতে অস্বীকৃতি জানান ইমাম হোসেন (রা.)। প্রতিবাদে মদিনা ছেড়ে কুফায় হিজরতের জন্য যাত্রা করেন তিনি। পরে কারবালা ময়দানে সঙ্গীদের নিয়ে যাত্রাবিরতি করেন। ইমাম হোসেন (রা.) ও তাঁর অনুসারীদের আটক করে মদিনায় ফিরিয়ে নিতে ইয়াজিদের নির্দেশে উমর ইবনে সাদ বিন আবি ওক্কাসের নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্য কারবালায় প্রবেশ করে।

আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে ইমাম হোসেনের শিবিরে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তারা। পানির অভাবে কাফেলার নারী-শিশুরা তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়লেও ইমাম হোসেন আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি জানান। ১০ মহররম অবরোধের বিরুদ্ধে অসম এক যুদ্ধে ইমাম হোসেন ও তাঁর ৭২ সঙ্গী শহীদ হন। শিমার ইবনে জিলজুশান কণ্ঠদেশে ছুরি চালিয়ে ইমাম হোসেনকে হত্যা করে।

ইসলাম ধর্মমতে, ১০ মহররম আশুরার দিনেই কেয়ামত হবে। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) এই দিনে রোজা রাখতেন।

কারবালার শোকাবহ স্মরণ ছাড়াও মুসলমানদের কাছে ১০ মহররম গুরুত্বপূর্ণ দিন। শিয়া মতাবলম্বীরা ইমাম হোসেনের শোকে এ দিনে মাতম করেন। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হয় তাজিয়া মিছিল।

আশুরা উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিপরীতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি ও সাহস জোগাবে। তিনি সমাজে সাম্য, ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মুসলিম উম্মার ঐক্য, সংহতি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ