প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার ফারিয়েল ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের মালিক ইথার ফারিয়েলের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী দিদারুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আইনজীবী দিদারুল ইসলাম বলেন, প্রতারণার মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হন ইথার ফারিয়েল। সেদিন তাঁকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার বিবাদীপক্ষ জামিন আবেদন করলে বাদীপক্ষ সেটার বিরোধিতা করে। আদালত ইথার ফারিয়েলের জামিন আবেদন নাকচ করেন।

প্রতারণার মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইথার ফারিয়েলের বিরুদ্ধে গত বছর মামলা করেন সিফাত জিয়া নামের এক ব্যবসায়ী। মামলার পর গত বছরের ৪ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ইথার। আদালত সেদিন তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে আদালত ৯ মার্চ ইথার ফারিয়েলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।  

মামলায় সিফাত জিয়া দাবি করেন, তাঁর মা অসুস্থ। তাঁর একটি শিশু অসুস্থ। এই দুজনের চিকিৎসায় তাঁর অনেক অর্থ ব্যয় হয়। পূর্বপরিচিত হওয়ায় আসামির প্রতিষ্ঠানে তিনি ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা লাভ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আসামি তা দেননি। বরং গত বছরের ১০ জানুয়ারি ২০ লাখ টাকা ফেরত চাইলে আসামি তাঁর টাকা ফেরত দেননি। পরে বাদীকে হুমকি দেন। এ নিয়ে বাদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

মামলায় বাদী আরও দাবি করেছেন, আসামির কাছে বাদীর পাওনা অর্থ ফেরত চাইলে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে মাদক পাচারের দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

কক্সবাজারের টেকনাফে ক্রিস্টালমেথ (আইস) ও ইয়াবা পাচারের মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিরাজুল ইসলাম।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং এলাকার মৃত কাদের বকশের ছেলে আব্দুর রহমান (৩৩) এবং একই ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে নুর মোহাম্মদ (২৮)।

মামলার নথির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের ১৬ জুন রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের এমজি ব্যাংকার এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবর পেয়ে বিজিবির একটি দল অভিযান চালায়। মিয়ানমারের দিক থেকে সীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রম করে ছোট দুটি বস্তা কাঁধে নিয়ে সন্দেহভাজন ৫ জনকে আসতে দেখে থামার নির্দেশ দেন বিজিবির সদস্যরা। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে লোকগুলো রাতের অন্ধকারে গ্রামের ভিতরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় ধাওয়া দিয়ে দুজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া বস্তা দুটি জব্দ করা হয়। বস্তা খুলে ৪ কেজি ৩১৫ গ্রাম আইস এবং ১ লাখ ইয়াবা পাওয়া যায়। এসব মাদকের আনুমানিক দাম ২৪ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

ওই আইনজীবী জানান, এ ঘটনায় বিজিবির এক সদস্য বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গত ২৪ সালের ডিসেম্বরে আদালত গ্রেপ্তার আসামি আব্দুর রহমান ও মোহাম্মদ নুরের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক দুই আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২৫ নভেম্বর ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গাসহ দুজনের মত্যুদণ্ড এবং দুই রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন একই আদালত। ওই মামলায় একজনকে খালাস দেওয়া হয়।

ঢাকা/তারেকুর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশে টিউলিপের কারাদণ্ডের রায়ে যুক্তরাজ্যে কী প্রভাব পড়তে পারে
  • কুমিল্লায় ছাত্রলীগ ‘সন্দেহে’ গ্রেপ্তার অষ্টম শ্রেণির সেই শিক্ষার্থীর জামিন
  • জুলাইয়ে কুষ্টিয়ায় হামলার প্রত্যক্ষ নির্দেশদাতা ইনু
  • জোটে গেলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান প্রশ্নে রুল
  • ঈশ্বরদীতে সংঘর্ষের ঘটনায় জামিন পেলেন জামায়াত প্রার্থী তালেব
  • কালের কণ্ঠের ‘ডিক্লারেশন’ কেন বাতিল হবে না, সাবেক ১১ কর্মীর বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ
  • টিউলিপ–রেহানা–হাসিনার মামলায় প্রত্যাশা অনুযায়ী রায় হয়নি: দুদকের আইনজীবী
  • ক্ষমা চেয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি নেতানিয়াহুর
  • নারী ফুটবল দলের প্রতি বৈষম্য বন্ধে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ নয়, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
  • কক্সবাজারে মাদক পাচারের দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড