প্রতারণার মামলায় ইথার ফারিয়েলের জামিন আবেদন নাকচ
Published: 27th, March 2025 GMT
প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার ফারিয়েল ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের মালিক ইথার ফারিয়েলের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী দিদারুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী দিদারুল ইসলাম বলেন, প্রতারণার মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হন ইথার ফারিয়েল। সেদিন তাঁকে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার বিবাদীপক্ষ জামিন আবেদন করলে বাদীপক্ষ সেটার বিরোধিতা করে। আদালত ইথার ফারিয়েলের জামিন আবেদন নাকচ করেন।
প্রতারণার মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইথার ফারিয়েলের বিরুদ্ধে গত বছর মামলা করেন সিফাত জিয়া নামের এক ব্যবসায়ী। মামলার পর গত বছরের ৪ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ইথার। আদালত সেদিন তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে আদালত ৯ মার্চ ইথার ফারিয়েলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
মামলায় সিফাত জিয়া দাবি করেন, তাঁর মা অসুস্থ। তাঁর একটি শিশু অসুস্থ। এই দুজনের চিকিৎসায় তাঁর অনেক অর্থ ব্যয় হয়। পূর্বপরিচিত হওয়ায় আসামির প্রতিষ্ঠানে তিনি ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা লাভ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আসামি তা দেননি। বরং গত বছরের ১০ জানুয়ারি ২০ লাখ টাকা ফেরত চাইলে আসামি তাঁর টাকা ফেরত দেননি। পরে বাদীকে হুমকি দেন। এ নিয়ে বাদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
মামলায় বাদী আরও দাবি করেছেন, আসামির কাছে বাদীর পাওনা অর্থ ফেরত চাইলে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে পক্ষভুক্ত হলেন মির্জা ফখরুল ও সুব্রত চৌধুরী
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর অংশবিশেষ বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে ইন্টারভেনার (পক্ষ) হিসেবে যুক্ত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী। এ–সংক্রান্ত আপিলে ইন্টারভেনার হিসেবে যুক্ত হতে তাঁদের করা পৃথক আবেদন মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ মঙ্গলবার এ–সংক্রান্ত আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এ ছাড়া ইন্টারভেনার (পক্ষ) হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস এবং সেন্টার ফর ল গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি নামের একটি সংগঠনের আবেদনও মঞ্জুর করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয় পরিবর্তন করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর অংশবিশেষ বাতিল করে হাইকোর্ট যে রায় দেন, তার বিরুদ্ধে তিনটি আপিল এদিন আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এক, দুই ও তিন নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
এর আগে হাইকোর্ট পৃথক দুটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর পঞ্চদশ সংশোধনীর অংশবিশেষ অসাংবিধানিক উল্লেখ করে তা বাতিল করে রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদকসহ চার ব্যক্তি একটি আপিল করেন, যা কার্যতালিকার এক নম্বর ক্রমিকে ছিল। নওগাঁর বাসিন্দা মো. মোফাজ্জল হোসেন এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে করা পৃথক আপিল যথাক্রমে কার্যতালিকার দুই ও তিন নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন ইন্টারভেনার হওয়ার আবেদন দাখিল করেন। নিজে ইন্টারভেনার হতে আবেদন দাখিল করছেন উল্লেখ করে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিএনপির পক্ষেও তিনি বলবেন। বিএনপির মহাসচিবের পক্ষে ইন্টারভেনার হতে আবেদন দাখিল করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এ ছাড়া সেন্টার ফর ল গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি নামের একটি সংগঠনের ইন্টারভেনার হওয়ার আবেদন দাখিল করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক। আবেদন দাখিলের পর আদালত বলেন, আবেদন মঞ্জুর করা হলো।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, আপিলগুলো মঙ্গলবার শুনানির জন্য কার্যতালিকার শীর্ষে ছিল। তবে সামনে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ রয়েছে, যা ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। এর মধ্যে আপিলগুলোর শুনানি শেষ হবে কি না—এমন প্রসঙ্গ আলোচনায় আসে। আপিলকারী পক্ষের আইনজীবীরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শুনানি শেষ করা ও লিখিত আকারে তাঁদের বক্তব্য দাখিল করবেন বলে আদালতকে জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ বুধবার আপিল শুনানির জন্য দিন রেখেছেন।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন এনে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী এনেছিল। ২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনী আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ ওই সংশোধনীতে সংবিধানে ৫৪টি ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছিল।