অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সাইফ আলী খান। ২০০৭ সালে ‘টশান’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় পরস্পরের প্রেমে পড়েন তারা। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন এই জুটি। তারপর বিয়ে করেন।
সাইফ-অমৃতা দম্পতির পুত্র ইব্রাহিম আলী খান। এ অভিনেতা জানালেন, কারিনা কাপুরের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে সুখী তার বাবা সাইফ। জিকিউ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকার এমন মন্তব্য করেন ইব্রাহিম আলী খান।
আপনি যখন ছোট তখন আপনার বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। আপনার ওপরে এর প্রভাব কতটা পড়েছিল? এ প্রশ্নের জবাবে ইব্রাহিম আলী খান বলেন, “তখন আমার বয়স চার কিংবা পাঁচ বছর। সুতরাং আমি তেমন কিছু মনে করতে পারি না। সম্ভবত, এটি সারার ক্ষেত্রে অন্যরকম। কারণ সে বড় ছিল।”
আরো পড়ুন:
দ্বীপে কেন বাড়ি কিনলেন সাইফ?
ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় না করার কারণ জানালেন কারিনা
বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মনে করেন ইব্রাহিম। তার মতে, “আমার বাবা-মা খুব ভালো কাজ করেছেন। ভাঙা সংসার থেকে যে ব্যথা আসে তা আমি অনুভব করিনি। বাবা-মা পরস্পরের প্রতি মেজাজ হারিয়েছেন, এমন দৃশ্যও দেখিনি।”
সাইফ আলী খান কারিনার সঙ্গে সুখী বলে মন্তব্য করেছেন ইব্রাহিম। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “বাবা এখন বেবোর (কারিনা কাপুর খান) সঙ্গে অনেক সুখী। আমার চমৎকার ও দুষ্টু দুটো ভাই আছে। আমার মা সেরা মা। সে আমার খুব যত্ন নেয়। আমি তার সঙ্গে থাকি।”
১৯৯১ সালে নিজের থেকে বয়সে ১০ বছরের বড় অভিনেত্রী অমৃতা সিংকে বিয়ে করেন সাইফ। এরপর তাদের ঘরে আসে দুই সন্তান— সারা ও ইব্রাহিম আলী খান। কিন্তু ২০০৪ সালে এই তারকা দম্পতির ডিভোর্স হয়। ২০১২ সালে অভিনেত্রী কারিনা কাপুরকে বিয়ে করেন সাইফ। ‘রা.
‘রকি আউর রানি কী প্রেম কাহানি’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন ইব্রাহিম আলী খান। গত ৭ মার্চ ‘নাদানিয়ান’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিনেতা হিসেবে পা রাখেন। যদিও প্রশংসার পরিবর্তে কটুক্তি কুড়িয়েছেন এই তারকা পুত্র। করণ জোহরের ‘শারজামিন’ সিনেমায় দেখা যাবে ইব্রাহিমকে।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালায়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে পারেনি।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মেয়েটি উপজেলার একটি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সোমবার দুপুরে সে তার বন্ধুর সঙ্গে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীকে একটি অটোরিকশায় তুলে দেয় বন্ধু। এ সময় অটোরিকশাচালক হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়েটিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় মেয়েটিকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যায়। এরপর মেয়েটিকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতেই অভিযুক্ত আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে যায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় পুলিশ তাঁর অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দিতে যায় মেয়েটির পরিবার। এ বিষয়ে রাতে হালুয়াঘাট থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘নিজেদের কমিউনিটির লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে মেয়েটির মা বাদী হয়ে অভিযোগ দিচ্ছেন। অভিযোগ হাতে পেলেই আমরা রাতেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করব। অভিযুক্তকেও আমরা ধরে ফেলব।’