কারাগার থেকে হাসপাতালে সাবেক মন্ত্রী ইমরান
Published: 13th, May 2025 GMT
অসুস্থ হয়ে পড়ায় সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, ইমরান আহমদ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ১০ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন। ভর্তির আগে তাঁকে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে রাখা হয়। তিনি সেখানে ঘণ্টাখানেক ছিলেন।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তরিকুল ইসলাম জানান, ইমরান আহমদ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তাই তাঁকে চিকিৎসার জন্য সকালে কারাগার থেকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও উপপরিচালকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তারা সাড়া দেননি।
গত বছরের ২১ অক্টোবর রাতে ঢাকার বনানী থেকে ইমরান আহমদকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাঁকে সিলেটের একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। ওইদিন সিলেট মহানগরীর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলাসহ গোয়াইনঘাট থানার আরও দুটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর পর থেকে তিনি সিলেট কারাগারে রয়েছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এ রায় সামনের দিনের জন্য উদাহরণ: সালাহউদ্দিন আহমদ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলায় যে রায় হয়েছে, তাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, এই বিচার, এই রায় সামনের দিনের জন্য একটা উদাহরণ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে, আসামিদের অপরাধের তুলনায় এই সাজা যথেষ্ট কম। কিন্তু, আইনে এর ওপরে কোনো সাজা নেই।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেলা ৩টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে এ প্রতিক্রিয়া জানান সালাহউদ্দিন আহমদ। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে কয়েকটি জিনিস প্রমাণিত হয়েছে- ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার যত শক্তিশালী হোক, যত দীর্ঘদিনই রাষ্ট্রক্ষমতা অবৈধভাবে পরিচালিত করুক, ক্ষমতা ভোগ করুক, একদিন না একদিন আদালতের কাঠগড়ায় তাঁদের দাঁড়াতেই হবে।
আরও যেসব মামলা আছে, সেই মামলাগুলোতেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই বিচার অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয়। কিন্তু, এটা শুধু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা নয়, সামনের দিনের জন্য একটা উদাহরণ। ভবিষ্যতে যাতে এই রাষ্ট্রে কেউ আর ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম না করতে পারে, ফ্যাসিস্ট না হয়ে উঠতে পারে, একনায়কতন্ত্র যাতে প্রতিষ্ঠা না হয়, তার একটি উদাহরণ। এটা ভবিষ্যতের জন্য একটা শিক্ষা। শুধু অতীতের জন্য বিচার নয়, এটা মনে রাখতে হবে।
ঢাকা/রফিক