কানের লাল গালিচায় ‘নগ্ন’ পোশাক নিষিদ্ধ
Published: 15th, May 2025 GMT
ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের শহর কানে বসেছে চলচ্চিত্রজগতের সম্মানজনক অন্যতম আসর কান চলচ্চিত্র উৎসব। এ আসরের আলোচিত অংশ রেড কার্পেট বা লাল গালিচা। বিভিন্ন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রীরা যেমন অদ্ভুত পোশাক পরেন, তেমনি খোলামেলা পোশাকেও এই লাল গালিচায় হেঁটে থাকেন। সাধারণত, চিত্রগ্রাহকদের নজর কাড়তে এ ধরনের পোশাক পরে থাকেন তারা।
তবে ৭৮তম এই আসরে পোশাক নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কান কর্তৃপক্ষ। নগ্নতা এবং ট্রেন পোশাককে নিষিদ্ধ করেছেন। গত ১২ মে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এজন্য বিপাকে পড়েছেন অনেক অভিনেত্রী। অস্কারজয়ী অভিনেত্রী হ্যালি বেরি কানের জন্য তৈরি পোশাকটি পরতে পারেননি। খবর রয়টার্সের।
কান কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যে নতুন ড্রেস কোড অনুসরণ করবেন না, তাকে রেড কার্পেটে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
আরো পড়ুন:
ট্রাম্পকে ‘শিল্পের শত্রু’ বললেন ডি নিরো
জমজ সন্তানের মা হলেন অ্যাম্বার হার্ড
কানের এই আসরে ফরাসি অভিনেত্রী জুলিয়েট বিনোশের নেতৃত্বাধীন জুরি টিমে রয়েছেন আটজন। তার মধ্যে একজন হলেন অভিনেত্রী হ্যালি বেরি। তাকেও তার পোশাকটি পরার অনুমতি দেননি। হ্যালি বেরি বলেন, “আমার কাছে চমৎকার একটি পোশাক ছিল। এটি তৈরি করেছেন গৌরব গুপ্তা (ভারতীয়)। কিন্তু পোশাকটি পরতে পারছি না। কারণ ট্রেনটি অনেক বড়।”
নগ্ন পোশাক ছাড়াও ট্রেন পোশাক পরিধানে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। ট্রেন পোশাক বলতে পোশাকের পিছনের দীর্ঘ অংশকে বোঝায়। যা পরিধানকারীর পিছনে চলে যায়। এ ধরনের পোশাক পরিধানকারীকে ধীরে হাঁটতে হয়। ফলে লাল গালিচায় জ্যাম তৈরি হয়।
শালীনতা বজায় রাখতে ‘নগ্নতাকে’ পরিহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কান কর্তৃপক্ষ। আর অভিনেত্রী হ্যালি বেরি একটিকে ‘ভালো সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন।
পৃথিবীর অন্যতম বড় এ উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে ২২টি সিনেমা লড়ছে। বাংলাদেশের ‘আলী’ সিনেমাও এ উৎসবে প্রদর্শিত হবে। তবে আদনান আল রাজীব নির্মিত এই চলচ্চিত্র স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে লড়বে। গত ১৩ মে কান চলচ্চিত্র উৎসেবর পর্দা উঠেছে, চলবে ২৪ মে পর্যন্ত।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ন চলচ চ ত র উৎসব চলচ চ ত র প শ ক পর
এছাড়াও পড়ুন:
মাছবোঝাই পিকআপ খাদে, এলাকাবাসীর মাছ ধরার ‘উৎসব’
ফরিদপুরের নগরকান্দায় মাছবোঝাই একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এরপর খাদে ছড়িয়ে পড়া মাছ ধরতে স্থানীয় লোকজন ভিড় করেন। আজ শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের যদুরদিয়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাবদা মাছবোঝাই পিকআপটি গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গার দিকে যাচ্ছিল। রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যদুরদিয়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। এতে গাড়িতে থাকা মাছের ঝুড়িগুলো পানিতে তলিয়ে যায় এবং মাছ ছড়িয়ে পড়ে।
দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পর ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে রেকার দিয়ে পিকআপটি তোলা হয়। ওই সময় গাড়ির লোকজন যতটা সম্ভব মাছ উদ্ধার করে গাড়ি নিয়ে চলে যান। এরপর সকাল ছয়টা থেকে আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষ মাছ ধরতে খাদে নামেন। নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ—সবাই মাছ ধরায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মহাসড়কের ধারে দাঁড়িয়ে বহু মানুষ এ দৃশ্য উপভোগ করেন। কেউ খ্যাপলা জাল, কেউ গামছা, আবার কেউ হাত দিয়ে মাছ ধরতে থাকেন।
সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় যেন কেউ কারও থেকে পিছিয়ে থাকতে চান না। এক বালতি মাছ হাতে খাদ থেকে উঠলেন ফাতেমা বেগম (২৮)। তিনি জানান, প্রায় ১০ কেজি মাছ ধরতে পেরেছেন। হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমার থেকে অনেক বেশি মাছ ধরেছে অনেকে।’
স্থানীয় বাসিন্দা হারুন অর রশিদ (৫৫) বলেন, খবর পেয়ে গ্রামের মানুষ ছুটে আসে। এরপর শুরু হয় মাছ ধরার ধুম।
মাছ ধরার খবর শুনে সেখানে এসেছিলেন ভাঙ্গার মহেশ্বর্দী গ্রামের মাইনুদ্দীন আহমেদ (৩৫)। তিনি বলেন, সবাই পাবদা মাছ ধরছেন। কেউ খালি হাতে ফেরেননি। কেউ ১৫ কেজি, কেউ আধা মণ পর্যন্ত মাছ পেয়েছেন।
পিকআপটি কোথা থেকে এসেছিল, কোথায় যাচ্ছিল কিংবা মাছের পরিমাণ ও মালিকের পরিচয় জানা যায়নি। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকিবুজ্জামান বলেন, আজ ভোরে নগরকান্দার যদুরদিয়ায় মাছবোঝাই একটি পিকআপ খাদে পড়ে যায়। তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।