ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার মধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান। 

মাখোঁ জানিয়েছেন, পেজেশকিয়ানের কাছ থেকে ফোন পেয়েছেন তিনি। শনিবার (২১ জুন) তাদের মধ্যে এই ফোনালাপ হয়।

আলোচনার সময় মাখোঁ বলেন, ইউরোপীয় শক্তিগুলোর সঙ্গে ইরানের পরমাণু আলোচনাকে ‘গতিশীল’ করতে তিনি ও পেজেশকিয়ান একমত হয়েছেন।

আরো পড়ুন:

২৪ ঘণ্টায় ২৮টি ‘শত্রু বিমান’ ভূপাতিত করার দাবি ইরানের

প্যারিস এয়ার শো-তে ইসরায়েলি অস্ত্র নির্মাতারা নিষিদ্ধ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে মাখোঁ লিখেছেন, “আমি জোর দিয়ে বলছি, ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না এবং এটি ইরানের দায়িত্ব যে তারা তাদের শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যের যথাযথ প্রমাণ দেবে।”

তিনি আরো বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসার এবং আরো বড় বিপদ এড়ানোর পথ এখনো আছে।”

পেজেশকিয়ান বারবার বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার কোনো পরিকল্পনা নেই, তবে তারা পারমাণবিক শক্তি ও গবেষণার বৈধ অধিকার অনুসরণ করবে।

১৩ জুন ভোরে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তারপর পাল্টা হামলায় নামে ইরান। টানা ৯ দিন ধরে উভয় দেশ হামলা ও পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছে পৌঁছে গেছে বলে অভিযোগ তুলে দেশটিতে নজিরবিহীন হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল; যেখানে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা বলছে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর কাছাকাছি পৌঁছানোর কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই।

ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার আছে বলে অভিযোগে ২০০৩ সালে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। যদিও তেমন কোনো অস্ত্রই ছিল না ইরাকে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে ইসরায়েল ‘ইরাক মডেল’  অনুসরণ করে ইরানে হামলা চালাচ্ছে, যার কোনো ভিত্তিই নেই।

ইরানি সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ লিখেছে, জায়নবাদী শাসন ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে একটি উস্কানিমূলক আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে। তারা ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়, যার ফলে অনেক শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক নিহত হন। 

শনিবার (২১ জুন) পর্যন্ত ইরানে ইসরায়েলের হামলায় চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে অন্তত ৫৪ জন।

ইরানি সামরিক বাহিনী তাত্ক্ষণিকভাবে পাল্টা হামলা শুরু করে। ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর মহাকাশ বিভাগ ২১ জুন পর্যন্ত ‘ট্রু প্রমিজ থ্রি’ (সত্য প্রতিশ্রুতি-৩) অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দফায় দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

দশ লাখ টাকা ঘুষ দাবি: ফেনীতে সমন্বয়ক ও চাকরি প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

ফেনী সিভিল সার্জন অফিসে চাকরি জন্য ১০ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার একটি অডিও ফাঁসের পর সমন্বয়ক রাব্বি ও চাকরি প্রার্থী আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। শুক্রবার রাতে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ইফতেখার হাসান ভূঁইয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় প্রধান সাক্ষী করা হয়েছে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এমদাদুল হককে।

মামলার আসামিরা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ রাব্বি (২৮)। তিনি পরশুরাম পৌর এলাকার কোলাপাড়া গ্রামের নুরুন্নবীর ছেলে। মামলার অপর আসামি আব্দুল কাদের (৩০) অনন্তপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে।

ফেনীর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবদুল কাদের হৃদয় নামের এক বেকার যুবকের কাছে ১০ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরশুরাম উপজেলা সমন্বয়ক নাহিদ রাব্বিকে প্রধান আসামি করে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ডা. ইফতেখার হাসান ভূঁঞা হাসপাতালে অবস্থানকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও শোনেন। সেখানে শোনা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ রাব্বি ফেনীর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে অর্থের বিনিময়ে এক চাকরি প্রার্থীকে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে দশ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। দুই মিনিট ২১ সেকেন্ডের কথোপকথনে নাহিদ রাব্বি ফেনী সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়োগ পাইয়ে দেবেন বলে দশ লাখ টাকা দাবি করার ঘটনায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এজন্য নাহিদ রাব্বিকে প্রধান আসামি করে দুজনের বিরুদ্ধে তারা এ মামলাটি দায়ের করেছেন।

ফেনী সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ফেনী জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিভিন্ন পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১৫টি পদের জন্য ১২ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। শুক্রবার অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষায় প্রতিটি পদের জন্য গড়ে ১০৮ জন লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন।

পরশুরাম মডেল থানার ওসি মো. নুরুল হাকিম মামলা রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ