নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার পরিচয় ও ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা করার অভিযোগে মো. রিয়াজ হোসেন (৩৭) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃত মো. রিয়াজ হোসেন বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার ডুবের দিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। শহরের খানপুর এলাকা থেকে বুধবার (৫ নভেম্বর) প্রতারক রিয়াজকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এরআগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম (৪৬) ফতুল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের সূত্রধরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  পরবর্তীতে এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় সরকারি কর্মচারী পরিচয়ে প্রতারণা ও ছদ্মবেশ ধারণের অভিযোগের মামলায় রিয়াজ হোসেনকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ০১৩৪০৯৬৪৮১৫ নম্বর মোবাইল ব্যবহার করে জেলা প্রশাসকের ছবি ও নাম দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ও ট্রুকলারে ভুয়া আইডি তৈরি করেন। ওই প্রতারক চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বিকাশসহ নানা মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন।

অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, পিপিএম (বার)-এর নির্দেশনায় দ্রুত অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) তারেক আল মেহেদী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মো.

সোহেল রানা’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর মো. এনায়েত হোসাইনের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায়।

অভিযানে একই দিন রাত ৯টায় শহরের খানপুর এলাকা থেকে প্রতারক রিয়াজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করে ডিবি পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রিয়াজ দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মকর্তাদের পরিচয় ও ছবি ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল।

ডিবি পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা বা জেলা প্রশাসক পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে টাকা নিতেন। প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির কামরুল ইসলাম জানান, ডিসি স্যার বা কার্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা কখনোই ফোন করে কারো কাছ থেকে টাকা চান না। এ ধরনের ঘটনায় সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র প ত র কর ব যবহ র কর কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি পলাশ গ্রেপ্তার

বন্দরে বিশেষ অভিযানে ৩৫ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রি নগদ ২৯'শ টাকাসহ নিহার উদ্দিন ওরফে পলাশ (৪৫) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ধৃত মাদক ব্যবসায়ী নিহার উদ্দিন ওরফে পলাশ বন্দর থানার ১৯ নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ লক্ষারচর দক্ষিনপাড়া এলাকার  মৃত শরীফ উদ্দিন মিয়ার ছেলে।

ইয়াবা উদ্ধার ঘটনায় বন্দর থানার উপ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন  বাদী হয়ে ধৃত মাদক ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট  থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে।

ধৃতকে উল্লেখিত মাদক মামলায় বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর)  দিবাগত রাত ২টায় বন্দর থানার মদনগঞ্জ লক্ষারচর উত্তরপাড়াস্থ ধৃত মাদক ব্যবসায়ী বসত বাড়িতে চালিয়ে উল্লেখিত মাদকদ্রব্যসহ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। 

থানা পুলিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ধৃত পলাশ একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘ দিন ধরে উল্লেখিত এলাকায় অবাধে মাদক বিক্রি করে আসছিল।

পুলিশ  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বসত বাড়িতে  অভিযান চালিয়ে তার দেহ তল্লাশি করে ৩৫ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ