নেত্রকোণায় বাসচাপায় অটোরিকশাচালক নিহত
Published: 5th, November 2025 GMT
নেত্রকোণায় বাসচাপায় ইয়াসিন মিয়া (২১) নামের এক অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পাঁচজন। বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার ঠাকুরাকোণায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ইয়াসিন মিয়া ঠাকুরাকোণা গ্রামের ওয়ারেছ মিয়ার ছেলে। নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
মনিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত
সিলেটে অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কা, যুবক নিহত
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোণার কলমাকান্দা থেকে সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা সাগরিকা নামের একটি যাত্রীবাহী বাস ঠাকুরাকোণা বাজার এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশারচালক ইয়াসিন মারা যান।
ওসি বলেন, ‘‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/ইবাদ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন ত রক ণ
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে ঠিকাদারি কাজের বিল নিতে এসে মারধরের শিকার আওয়ামী লীগ নেতা
ঝিনাইদহে এলজিইডি কার্যালয়ের ঠিকাদারি কাজের বিল নিতে এসে মারধরের শিকার হয়েছেন শামিম হোসেন মোল্লা নামের আওয়ামী লীগের এক নেতা। বুধবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই ব্যক্তির প্রাইভেট কার ভাঙচুর করা হয়।
শামিম হোসেন শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি। এলজিইডি কার্যালয়ে আটকে রাখার খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি সদর থানার হেফাজতে আছেন।
শামিম হোসেন মোল্লার বাড়ি শৈলকুপা উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামে। তিনি শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর বাবা সাব্দার হোসেন মোল্লা উমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
জেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শামিম হোসেন মোল্লা এলজিইডির ঠিকাদার। তাঁর কয়েক বছর আগে শেষ করা কাজের বিল পাওনা রয়েছে। সেই বিল নিতে তিনি বুধবার দুপুরে এলজিইডি কার্যালয়ে এসেছিলেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা সেখানে আসেন। পরে ১০-১৫ জন জড়ো হয়ে শামিম হোসেনকে মারধর ও তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে শামিম হোসেনকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনি সদর থানার পুলিশের হেফাজতে আছেন। ওসি জানান, তাঁর নামে সদর থানায় কোনো মামলা নেই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলার সাবেক আহ্বায়ক আবু হুরায়রা সাংবাদিকদের বলেন, শামিম মোল্লা শৈলকুপায় ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করে অনেক মিছিল–মিটিং করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সময় প্রভাব খাটিয়ে নিজে নিয়ে কাজ করতেন। তিনি অন্য কাউকে কাজ করতে দিতেন না। আজ দুপুরে এলজিইডি কার্যালয়ে গিয়ে তাঁকে দেখা যায়। এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে জনতা তাঁকে মারধর করে। শৈলকুপার কিছু লোক আগের ক্ষোভ থেকে গাড়ি ভাঙচুর করেছেন।